শুক্রবার, ১৮ মে, ২০১৮

বিষের বোতলে মধুর লেবেল

ইচ্ছেগুলোকে আটকে রেখেছি-
প্রিয় সেই কাঁচের বয়ামে,
মাঝে মাঝে দেখি পলকহীন অপলক।
ওরা হৈ চৈ করে বেরুবার জন্য,
তবু অবাধ্য হয়না,
আটকে থাকে আমার নিষেধে।

সম্পর্ক ও দূরত্ব, সংযোজন-বিয়োজন , হিসাব- নিকাশ , চাওয়া - পাওয়া এমন কি সামাজিক ও মানবিক সব কিছুই পাবেন এক জীবনে।

আসলে জীবন একটা আনলিমিটেড কী ওয়ার্ড লিস্ট। আর এই কী ওয়ার্ড লিস্টের মালিক আপনি। যখন যে কী ওয়ার্ড চান মুছে দিতে পারেন। চাইলে আবার নতুন একটা কী ওয়ার্ড যোগ করে নিতে পারেন।

বৃহস্পতিবার, ১৭ মে, ২০১৮

কোথাও কেউ নেই

জীবন মাঝে মাঝে মনে হয়  খুবই ছোট্ট আবার কখনো বা মনে হয় দীর্ঘ পথের যাত্রা,একা আশে পাশে কাউকে পাই না - কোথাও কেউ নেই, কোথাও কেউ নেই, কোথাও কেউ নেই..............😭😭😭😭

আমি ভালোবেসেছিলাম তোমার চোখের নির্বাক চাহুনি,
ভালোবেসেছিলাম তোমার কম্পিত ঠোটের
ভূবন ভুলানো অমলিন হাসি।
চেয়েছিলাম তোমার আকাশের এক টুকরো নীল হবো,
কিংবা তোমার উঠোনের অলস বিকেলের সোনা রোদ।

চেয়েছিলাম অপলক দৃষ্টিতে তোমার শীতল সৌন্দর্য্য,
আর তোমার নির্মল কেশরাজির মিষ্টি ঘ্রান নিতে।
তোমার মোহে আচ্ছন্ন হয়ে আমার জীবনের শেষ সূর্যাস্ত
কিংবা তোমার কোলে মাথা রেখে আমার অন্তিমযাত্রা।

আর তুমি?????????😔😔😔😔😔😔😔

শুক্রবার, ৯ জুন, ২০১৭

ভালো থাকুক দেশের বাহিরে থাকা মানুষগুলো

আম্মা এক গ্লাস পানি দাও, টি শার্ট টা ধুয়ে দেও টাইপের ছেলে মেয়ে গুলো কখোনো বুঝবে না দেশের বাহিরে থাকা মানুষের কষ্ট। কষ্ট বললে ভুল হবে অনেক বেশি কষ্টই থাকতে হয়।

জীবন টা কতো কঠিন তারাই ভাল বুঝে। মায়ের আদর, বাবার শাসন, ভাই বোনদের স্নেহ মারামারি সবকিছু মিস করে তারা। খাওয়া দাওয়ার কষ্ট, গোসলের কষ্ট, কোন কষ্ট বাকি থাকে তাদের? যেই ছেলে মেয়ে কখোনো বাসি পচাঁ খাবার খেতে পারে না, সে ও খাওয়া শিখে যায়। অপছন্দনীয় খাবার খাওয়া শিখে যায়। তারা বুঝে কিভাবে রান্না করতে হয়। তারা বুজে কিভাবে অল্প টাকায় চলতে হয়। কিভাবে হিসাব করতে হয়। তারা অনেক কিছুই বুঝে যা দেশে ফেমিলির সাথে থাকা মানুষরা কখোনোই বুঝে না ।

দেশের বাহিরের লাইফে যে শুধু কষ্ট আর কষ্ট তাও নয় কিন্তু। এখানে আছে হ্যাপিনেসের অনেক কিছু। দেশের বাহিরে থাকলে স্ট্রাগল কি তা শিখা যায়। বাপ মার কমতিটা বুঝতে পারা য়ায। জীবন টাকে অন্যভাবে দেখতে পারা য়ায। জগৎ টাকে চিনতে পারা য়ায।স্বাধীন ভাবে থাকা য়ায।

আর আমি যতো যা ই বলি দেশের বাহিরের লাইফ অভিশাপ না আর্শিবাদ তা যারা দেশের বাহিরে থাকে তারাই ভালো বুঝে। আপনারা যারা পরিবারের ছাতার নিচে থাকি তারা কখোনো বুঝবেন না।

বাই দ্য ওয়ে, দেশের বাহিরে থাকা মানুষগুলো ভালো থাকুক,যে যেখানে থাকুক......

এক ইফতার চোরের হৃদয়বিদারক কাহিনী


‘মাফ চাই, ছাইড়া দেন স্যার’,
স্যার! দুইটা পায়ে ধরি, আর মাইরেন না, স্যার আমি রোজা রাখছি, আর আমু না কুনোদিন।
রোজার কথা শুনে থেমে গেলো দু'জন মারধোরকারী!
বাড়ি কই তোর??
-- কলাবাগান বস্তিতে।
--তুই মসজিদ থেকা চুরি করস? তোর কলিজা কত বড়?
শুনে পাশের লোকটা বললো, ‘’ভাই থামলেন কেন? দেন আর কয়ডা, রোজার মাসে চুরি কইরা বেড়ায়, সালারে লাইত্থান। তুই চুরি করস আবার কিসের রোজা রাখস রে? মিছা কথার জায়গা পাস না?
এই বলেই কান বর়াবর আরেকটা থাপ্পড় বসিয়ে দিলো। ছেলেটা গালে হাত দিয়ে দেয়াল ঘেঁষে বসে রইলো। কান্না আর হই হুল্লাড়ের শব্দে ইমাম সাহেব দোতলা থেকে নেমে এলেন। দেখলেন মসজিদের আঙিনায় লোক জড়ো হয়ে আছে। আজকে এলাকার মসজিদে ইফতার পার্টি, সেই আয়োজন চলছিলো মসজিদে।
ইমাম সাহেব বললেন- কি হইছে এখানে?
লোকেরা বলা শুরু করলো, হুজুর চোর ধরছি! ছেচড়া চোর! ইমাম সাহেব এগিয়ে গিয়ে দেখলেন ১২-১৩ বছর বয়সের এক ছেলে দেয়াল ঘেঁষে বসে আছে, ছেলেটির পুরো গাল চোখের পানিতে ভেসে গেছে, গায়ের রঙ কালো হলেও আঘাতের রেখাগুলো স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।
ইমাম সাহেব সামনে আসাতে ছেলেটি আরও বেশি ভয় পেয়ে গেল।
--কী চুরি করছে, দেখি?
পাশে লোকটি পলিথিনের পোটলা আগায় দিয়ে বললো- দেখেন হুজুর, দেখেন... ইফতারের আয়োজন চলতেছে, এই ফাঁকে শালায় পলিথিনে ভইরা লইছে। এক্কেরে হাতেনাতে ধরছি!
হুজুর পলিথিন হাতে নিয়ে দেখলেন কয়েকটি জিলাপি, ৬টা আপেল আর কিছু খেজুর।
হুজুর বললেন- তাই বইলা এভাবে গণপিটুনি দিচ্ছো কেন? একটা বাচ্চারে কেউ এভাবে মারে নাকি?
এবার লোক জনের উত্তেজনা একটু কমল।
হুজুর ছেলেটিকে জিজ্ঞ্যেস করলেন- তোর বাপ কি করে?
ছেলেটা কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেলো। বললো- সাইকেল ঠিক করতো, বাপের অসুখ তাই অহন কাম করে না। হুজুর আমারে ছাইড়া দেন। আমি আগে কুনোদিন চুরি করি নাই। কয়েকটা বাসায় হাত পাইতা একটা দানাও সাহায্য পাই নাই। পরে দেহি মসজিদে খাবার। বাড়িতে নিবার জন্যে তুইলা নিছি। ভুল হইয়া গেছে আমারে মাফ কইরা দেন
পাশ থেকে লোকগুলো বলতেছে, এগুলা সব মিথ্যাকথা, ধরা খাইয়া এখন ভদ্র সাজে।
হুজুর বললো- ইফতার শেষ হোক, সত্য মিথ্যা দেখে ওর বাপের কাছে জানিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হবে। ছেলেটাকে কেউ পানি দেও, ও অনেক হাঁপাইতেছে।
একজন পানির বোতল আগায় দেয়। ছেলেটি উত্তর দেয়- ইফতারের সময় খামু। আমি রোজা!
ইমাম সাহেব এবার লোকগুলোর দিকে একটু বিরক্ত মুখ নিয়ে তাকালেন। ছেলেটিকে অজু করিয়ে তার পাশে বসিয়ে ইফতার করালেন।
ইফতার আর নামাজ শেষে সেই দুইজন লোক ও ছেলেটিকে নিয়ে ইমাম সাহেব বস্তির দিকে আগালেন। এক চালা টিনের ঘর, বাইরে দুয়ারে ছেলেটির বাবা বসে আছে।
সব কিছু শুনে বাবাটি তার ছেলের গালে থাপ্পড় মারার জন্যে হাত উঠালো। হুজুর বাধা দিয়ে বললেন- যথেষ্ট মার হইছে, ওরে আর মাইরেন না।
বাবাটি কাঁদতে কাঁদতে বলে- বিশ্বাস করেন হুজুর, আমার ছেলেরে আমি এই শিক্ষা দেই নাই। বেশ কয়দিন ধইরা আমার অসুখ। কাম কাজ নাই, পোলাপানগো ঠিক মত খাওন যোগাইতে পারি না। কিন্তু পোলায় চুরি করবো কুনোদিন ভাবি নাই। ও অমন পোলা না।
এসব কথার মধ্যেই ছেলেটির বোন বেরিয়ে আসে। মেয়েটির বয়স ৬ বছর হবে।
বোনটি তার ভাইয়ের দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়, কোমল স্বরে বলে- ভাইয়া, জিলাপি আনোনাই? তুমি না আইজকা জিলাপি আনবা কইছো?
ভাইটির মুখে কোনো কথা নেই, চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে।
এর মধ্যেই আরেকটি ৪ বছরের ছোট্ট বোন ঘর থেকে ছুটে আসে-ভাইয়া, ওরে না, ওরে না আমারে আগে দিবা, আমারে।
এই বলেই হাতটি বাড়িয়ে দেয়, ভাইয়ের মুখের দিকে কিছুক্ষন চুপ থেকে বলে- ভাইয়া তুমি একলা একলাই খাইয়া আইছো? আমার জন্যে আনো নাইই?
ভাইটি এবার ছোট বোনের কথা শুনে কেঁদে ফেলে।
বোন দুইটা মন খারাপ করে ঘরে ঢুকে যায়। ছোট বোনটা মায়ের কোলে উঠে কান্নাজুড়ে দেয়। মা আচল দিয়ে মুখ চেপে বাইরে বের হয়ে আসে।
মা বলে-মাইয়া দুইটা কয়দিন ধইরা জিলাপি খাইতে চাইতেছে, ওগো বাপের অসুখ। টেকা পয়সাও নাই, তাই পোলাটারে বাইরে পাঠাইছিলাম বাড়ি বাড়ি গিয়া কিছু সাহায্য চাইয়া আনতে। ছোট মানুষ বুঝে নাই, তাই ভুল করে ফেলছে। খাবার সামনে পাইয়া নিয়া নিছে, অরে আফনেরা মাফ কইরা দিয়েন।
এদিকে বাচ্চা মেয়েটা চোখ ভিজিয়ে মায়ের কাছে কেঁদে কেঁদে নালিশ করেই যাচ্ছে- মা, ভাইয়া আইজকাও জিলাপি আনে নাই, ভাইয়া আমাগো খালি মিছা কথা কয়!
ভাইটি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে
হঠাৎ বোনটি খেয়াল করে ভাইয়ের শার্টের পকেট ভেজা! ভাইয়া তোমার পকেটে কি? এই বলেই হাত ঢুকিয়ে দেয়, বের করে দেখে দুইটা জিলাপি!!
ভাই তুমি আনছো? দুই বোনের মুখে হাসি ফুটে উঠে!
ভাইটি এবার ভয়ে মুখ চুপসে যায়! লোক দুটির দিকে ভয়ার্ত ভাবে তাকিয়ে বলে- স্যার এইটা আমি চুরি করি নাই। আশা ভরা চোখ নিয়ে হুজুরের দিকে তাকিয়ে বলতে থাকে- বিশ্বাস করেন হুজুর, এইটা আমার ভাগের জিলাপি, ইফতারির সময় আমার ভাগেরটা উঠাইয়া রাখছিলাম বোইন দুইটার জন্যে, সত্যি আমি চুরি করি নাই হুজুর।
সবাই স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, হুজুর ছেলেটারে টেনে বুকে জড়িয়ে নেয় মাথাটা বুকে চেপে ধরে রেখে চোখের পানি ফেলতে থাকে, লোক দুইটা এবার স্বশব্দে কাঁদতে থাকে, কাঁদতে কাঁদতে ছেলেটির বাবার কাছে এগিয়ে যায় বাবার হাতদুটি ধরে বলে-ভুল হয়ে গেছে আমাদের, আপনার ছেলের গায়ে হাত তুলছি আমরা, মাফ করে দিয়েন আমাদের।
লোক দুইজনের একজন পকেট থেকে মানিব্যাগটা বের করে বাবার হাতে দিয়ে দেয়, বলে- এখানে যা আছে তা দিয়ে বাচ্চাদের কিছু ভালোমন্দ খাওয়ায়েন।
এ সময় সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়,
তারা লজ্জায় আর বেশিক্ষণ থাকতে পারলো না, বিদায় নিয়ে দ্রুত সবাই চলে এলো।
পুনশ্চঃ
আমরা শুধু অপরাধীকে দেখি, কিন্তু অপরাধের পেছনের অংশটুকু দেখি না, দেখতে চাইও না। আমরা চকের বাজার, বাবুবাজার, খানদানী, নামিদামি, নানা শাহী ভোজ দিয়ে ইফতার করতে যাই অথচ পাশের মানুষটি যে দু’মুঠো খাবারের জন্যে রাস্তায় বের হয়েছে, সেদিকে দৃষ্টি দেই না। নামিদামি রেস্টুরেন্টে গেলে আর ইভেন্ট করে সেল্ফি তুললে কি আমাদের পূণ্য দশ গুণ বেশি হয়ে যাবে? আমরা ইফতার পার্টির নাম দিয়ে পিকনিক করি, আমরা এলাকায় দোয়া মাহফিল করে এ বাসায় ও বাসায় প্যাকেট বিলি করি, যাদের খাদ্য আছে তাদের মাঝেই চলে বিতরণ, অথচ যারা অভাবী তাদের ভাগ্যে এসব জোটে না। আমরা কি পারি না সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু টাকা দিয়ে ওদের পাশে দাঁড়াতে? আমরা কি এতটাই ফকির? আসলে ফকির আমরা না, ফকির ওরাও না, ফকির হচ্ছে আমাদের মন-মানসিকতা! ফকির হচ্ছে আমাদের বিবেক।
(পড়ুন এবং নিজের বিবেককে জাগান। গত বছর রমজানে এই পোস্টটি ভাইরাল হয়েছিলো। লেখকের নাম জানা যায়নি। ধারণা করছি, মসজিদটি বশিরউদ্দিন রোডেরই হবে)।  

#সংরহিত

বৃহস্পতিবার, ১৮ মে, ২০১৭

ধন্যবাদ টেনশন তোমাকে

টেনশন জিনিসটার মাঝেই মহা চিন্তার ময় এক ভাবনা লুকাইয়া আছে ।জীবনের নানা বাকে নানা ভাবে নিজেকে নিয়ে মিথ্যার বেড়া জাল যখন বাস্তবে এসে পড়ে তখন এক টা ছেলে বা মেয়ে টেনশনে পতিত হয় ।

চারদিক থেকে যখন ধেয়ে আসে ক্যারিয়ার গড়ে তুলার নানা কথা বার্তা । কে হয় না ,কি হলো ,কবে হবে ইত্যাদি কথার তীরে বিদ্দ্য হতে হতে টেনশন এর মাত্রা বেড়েই চলে ।

জীবন নামক রেলগাড়ি টা তখন ঠিক লাইনচুত্য হবার আশঙ্কাও থাকে । অনেকেই অনেক খারাপ পথে পা বাড়ায় । কেউ বা জীবন যুদ্ধ পরাজিত হয়ে চুপসে যায় সমাজ থেকে ।

আমাদের মূল টেনশন টাই হইতাছে অর্থ কেন্দ্রিক । বাড়ি,বাবা, মা তার প্রতিক্ষায় রয়েছে । কিছু তো একটা করতেই হবে । আর এই টেনশন নামক জিনিসটাই হাজার টা সম্ভবনা কে নস্ট করে দিয়ে যায় । কেউ কিন্তু ইচ্ছা করে টেনশন করে না ।

বুধবার, ১৭ মে, ২০১৭

মেচ লাইফের বিয়া

অনেক বিয়ের কার্ড দেখেছি যেখানে লেখা থাকে, 'উপহার নয়, দোআ ই কাম্য'

আর এক বুক দোআ নিয়ে খেতে গিয়ে আবিষ্কার করলাম, সেখানে উপহার গ্রহণের জন্য একটি টেবিল বরাদ্দ রাখা হয়েছে । উপহার লিপিবদ্ধ করার জন্য একজন জ্যান্ত মানুষ রীতিমত বসে আছে।

আবার আরেকজন আছে বেশ ভালোভাবে তদারকি করে। ভাবখানা এমন খালি হাত দেখলে পারে না বয়কে ডেকে বলে, হেতেরে মুরগীর রান দিস না, কিছু না নিয়ে বিয়া খাইতো আইছে। মনে হয় জীবনে কোন দিন বিয়া খায় নাই।

বাই দ্য ওয়ে, চট্টগ্রাম থাকা কালীন মেচ লাইফে অনেক বিয়ার দাওয়াত খাইচ্ছি আমি আর মেচের মাহফুজ ভাই । কোনটা অনুমোদিত আবার কোনটা অনুমোতি ছাড়াই তবে বেশির ভাগ অনুমোতি ছাড়াই ।

রাতের গল্প


প্রত্যেক রাতেরই একটি করে গল্প থাকে,ফিসফিসানি থাকে, থাকে কয়েকশ দীর্ঘশ্বাস কিংবা ছোট্ট একটা ইতিহাস। ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে সবটাই আড়াল হয়ে যায় কর্মব্যস্ত দিন কিংবা ঘুমন্ত দুপুর এ।

প্রত্যেক রাতের গল্পেরই প্রাণ আছে, কিছু নিঃশ্বাস আছে, কিছু বিশ্বাস-অবিশ্বাস আছে,আছে মন ভাঙার শব্দ কিংবা, অভিমানের গন্ধ। আর সে রাত কেউ অনুভব করে কেউ বা করে না,তাতে কী আসে যায়

একেকটা রাত যেন শতবর্ষের জমানো গল্পের পাহাড়, কান্না-হাসির বোঝা। সব শহরেই রাত নামে, গল্প জমে। আর তা কেউ জানে বা হয়তো জানে না।

খুব চুপচাপ চারপাশটা,কয়েক ঘণ্টা আগেই যে আবারও রাত নেমেছে, কারন দিনের আলো যে একটু অন্যরকম, যে আলো রাতের আঁধারকে যে আড়াল করে চায়।