আমরা বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিতে অনেক
এগিয়েছি।আজ আমরা একটা সভ্য এবং অধুনিক সমাজ গড়ে তুলেছি।ইতোমধ্যেই বিজ্ঞানের
হাজারো শাখা প্রশাখা সৃষ্টি হয়েছে।সূর্যের মত বিশাল বস্তু আবার ইলেকট্রনের
মত ক্ষুদ্র কণিকাও আজ আমাদের আশ্চর্য়ের বিষয় নয়।ন্যানোটেকনোলজি,
মাইক্রোবায়োলজি, মাইক্রোইলেকট্রনিক্স বর্তমান যুগের গবেষণার মূল
কেন্দ্রবিন্দু। তারপরও আমাদের আজকের এই আধুনিক পৃথিবীতে দাড়িয়ে, আপনিও কি
বলবেন, কিছু কিছু ঘটনার ব্যাখ্যা বিজ্ঞান আজো দিতে পারে না এমনকি ভবিষ্যতেও
দিতে পারবে না?
বিজ্ঞান যখন কোন বিষয়কে ব্যখ্যা করতে সমর্থ হয় অথবা হয় না
বিজ্ঞান
পরীক্ষা-নিরীক্ষা, গবেষণা,পরিমাপ এবং পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে কোন ঘটনা এবং
বিষয়বস্তুকে বিশ্লেষণ করে থাকে। কোন একটা ঘটনা বা বিষয়বস্তুর সাথে বিভিন্ন
কারণ, তত্ব, সময়, গতীশীলতা, পরিমান ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট থাকে। যেগুলো নিয়ে
বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে থাকেন এবং বিভিন্ন তত্ব ও সূত্র উদ্ভাবন করেন,
যেখানে ঘটনা বা বিষয়বস্তুর সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয় সমূহকে চলক বা ভেরিয়েবলের
মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। যদি কোন একটা ঘটনাকে ব্যাখ্যা করতে পারে এমন কোন
তত্ব এরং এর সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন ভেরিয়েবল সমূহের মান যদি আপনার জানা
থাকে তাহলে আপনি ঐ ঘটনাকে সহজেই বিশ্লেষণ করতে পারবেন।
যেমন,
আপনি অফিস থেকে মোটর সাইকেলে চেপে আপনার বাসায় পৌঁছালেন।আপনি যদি পৌঁছানোর
সময় এবং মটরসাইকেলের গতিবেগ জানতে পারেন তাহলে আপনি অফিস থেকে বাসার
দূরত্ব বের করতে পারবেন। এখানে সময়(t),গতিবেগ(v) এবং দূরত্ব(s) ভেরিয়েবল
হিসেবে কাজ করবে।
আসলে
আমাদের জ্ঞানের সীমানা সীমাবদ্ধ আর আমাদের বাস্তব পৃথিবীতে ঘটে চলা ঘটনার
সংখ্যা অসংখ্য। প্রতিটা ঘটনাকেই এ ধরণের ভেরিয়েবল দ্বারা প্রকাশ করা সম্ভব।
বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা যখন গবেষণা করেন তখন বিভিন্ন কারণ বিশ্লেষণ করে প্রথমে
ভেরিয়েবল দ্বারা প্রকাশ করার চেষ্টা করেন। এর পর প্রতিটা ভেরিয়েবলেন
প্রকৃতি এবং সম্পর্ক নির্ণয়ের চেষ্টা করেন যা থেকে উদ্ভাবিত হয় বিভিন্ন
তত্ব এবং সূত্র।
আমাদের জ্ঞানের
সীমাবদ্ধতার করণে আমরা বিভিন্ন ঘটনাকে বিশ্লেষণ করতে ব্যার্থ হই।আমরা আসলে
প্রতিদিন বেশ কিছু ঘটনার সম্মুখীন হই যেগুলোকে নিম্নোক্তভাবে সংজ্ঞায়িত করা
যায়
- কিছু ঘটনা যে গুলোকে উপযুক্ত বিজ্ঞান প্রয়োগ করে উপযুক্ত ব্যাক্তি ব্যাখ্যা করতে পারেন।
- কিছু ঘটনা যেগুলোকে ভেরিয়েবল দ্বারা প্রকাশ করতে আমরা ব্যার্থ হই।
- কিছু ঘটনা যেগুলো হঠাৎ ঘটে এবং প্রয়োজনীয় সবগুলো ভেরিয়েবল জানা সম্ভব হয় না।
- আর কিছু ঘটনা ঘটে যে গুলোর জন্য প্রয়োজনীয় তত্ব এখনো উদ্ভাবিত হয় নি যার জন্য গবেষণার প্রয়োজন আছে।
বাস্তব
জীবনে অনেকেই বলে থাকেন, যে তারা বিভিন্ন যাদুবিদ্যা, মায়াবী, ভৌতিক এবং
আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতার সাথে পরিচিত। একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে আমি বলবনা যে
ভৌতিক এবং আধ্যাত্মিকতা বলে কিছু নেই, তবে এটা বলতে দ্বিধা নেই যে আমাদের
অনেক ভৌতিক এবং আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতার অন্যতম কারণ আমাদের জ্ঞানের
সীমাবদ্ধতা।আর তাই আমরা বলে থাকি “কিছু কিছু ঘটনার ব্যাখ্যা বিজ্ঞান আজো
দিতে পারে না এমনকি ভবিষ্যতেও দিতে পারবে না?”
…………………………………………………………..
বিজ্ঞানকে
জানুন এবং নিজের ব্যাক্তিগত জীবনে প্রয়োগের চেষ্টা করুন। আর বিজ্ঞানের ভুল
ব্যাখ্যা প্রদান করে সার্থ উদ্ধারের প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন