আমরা যারা কম্পিউটার ইউজার তারা ভাইরাস এর নাম শুনিনি এমন একজন কেও খুজে পাওয়া খুব মুশকিল। তাই একটুকু জানার চেষ্টা করতে তো কোন দোষ নেই এই ভাইরাস কী আর তা কীভাবে কাজ করে।
ভাইরাস কী?
আর সাধারন দশটি প্রোগ্রামের মত ভাইরাস ও একটি প্রোগ্রাম। ইতিমধ্যে আমাদের টেকটিউনস এর অনেক টিউনার গন আমাদের ভাইরাস এর বিভিন্ন কোডিং প্রদান করেছেন। আমরা যারা একটু কম বুঝি তারা শুধু স্টেপ গুলো ফলো করেছি। আর যাদের প্রোগ্রমিং এর একটু ধারনা আছে তারাতো তা নিয়ে রিতিমত গবেষনা করে তার আপডেট করেছে।
ভাইরাস কিন্তু খুব ভাল প্রোগ্রামার কর্তৃক তৈরী হয়ে থাকে। কিছু কিছু ভাইরাস আছে যা একের প্রয়োজনীয় কাজের জন্য তৈরী হয় কিন্তু তা আবার অন্যকে ভোগায়। যেমন আপনি একটি প্রোগ্রাম তৈরী করলেন যার কাজ হল আপনার কম্পিউটার এর USB Storage কে ৩০মিনিট পর পর ব্লক করে দেয়া যা আপনার সিকিউরিটির জন্য প্রয়োজন। কিন্তু তা আমার জন্য এক ধরনের সমস্যা কারন আমাকে সার্বক্ষনিক কাজের সময় USB Storage এ ডাটা ব্যাকআপ রাখতে হয়। সাধারন দৃষ্টিতে এই জিনিষটি না জানার কারনে আপনার কাছে তা ভাইরাস মনে হতে পারে। কিন্তু এটি কিন্তু একজন প্রোগ্রামার এর চিন্তাশক্তির ফসল।
কিন্তু ভাইরাস প্রোগ্রমের কোডিং এমন ভাবে করা হয় যতে আমাদের উইন্ডোজ এর বিভিন্ন ফাইল এর সাথে লিংক হয়ে যায়। যার দ্বারা আমাদের নজরের বাইরে সে তার কাজ করে থকে।
আমার জানা মতে প্রথম ভাইরাসটি তৈরী হয়ে ছিল শুধুমাত্র মজা করার জন্য এবং কৌতুহল মেটানোর জন্য, আর সেটি হল একটি ফ্লপি কে একটি নির্দিষ্ট বার কপি করার পর (সম্ভবত ২০ বার) সে একটি মেসেজ দেখাতো। কিন্তু সেটি ছিল ডিস্ক অপারেটিং সিস্টমের আমলে। আমরা এখন গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেজ এর যুগে বসবাস করি, তাই আমাদের আমলের ভাইরাস অনেক কমপ্লেক্স।
ভাইরাস প্রোগ্রামে কী কী থাকে?
Repliction Engine : এর মাধ্যমে একটি অনুলিপি (Copy) তৈরী করে এবং অন্যান্য ফাইলে তা ছড়িয়ে দেয়।
Protection : এর মাধ্যমে একটি ভাইরাস তার কোডিং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ফাইল এর কোডিং এর মাঝে লুকিয়ে রাখে।
Trigger : একটি ঘটনা বা সময় যার জন্য ভাইরাস ফাইলটি অপেক্ষা করতে থাকে। ঘটনা ঘটলে বা ঐ সময় এ পৌছলে সে নিজেকে একটিভ্যাট করে তোলে। এই সময়কে ভাইরাস কম্পউটার এর সিস্টেম এর ক্লক এর মাধ্যমে বুঝতে পারে, যেমন – সকাল ১০.৫০মিনিট অথবা একটি প্রোগ্রম চালু করার ১৫ মিনিট সময় অতিবাহিত হবার পরে। আবার এমন ও হতে পারে যেমন ব্যবহার কারী উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার দ্বারা wav ফরমেটের কোন অডিও চালালে ব্যাগগ্রউন্ডে ঐ প্রোগ্রাম চালাও -এমন।
Payload : এটি হল ভাইরাস চালানোর পরের অংশ। অর্থাৎ সে তার কাজ সম্পন্ন করার পর যা ঘটে থাকে। যেমন – একটি প্রোগ্রম রান করানোর কিছুক্ষন পর দেখা গেল আপনার ডেক্সটপে টুলটিপ এর বক্সে লেখা ভাসছে “Hacker’s Day, Countdown 1Day 15Hour” এরকম কিছু।
আজ এই পর্যন্তই। আশাকরি পরবর্তী সময় আপনাদের সাথে আমার ভাল সময় কাটবে।
আবার ও বলে রাখি আমি কম্পউটার এর টেকনোলজির সবজান্তা নই। আমি মানুষ, আমার ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমার ও অজ্ঞানতা রয়েছে।
তাই আমার ভুল গুলো যদি আপনারা ধরিয়ে না দেন তবে আমার ও যেমন অপূর্ণতা থেকে যাবে, তেমনি যারা এই টিউনটি পরবে তাদের ও জ্ঞান পিপাসা থেকে যাবে।
তাই আপনাদের আহোরিত জ্ঞান টুকু আমাদের সকলের সাথে সেয়ার করুন। এতে করে আপনিও জানতে পারবেন, আমাদের ও উপহার দিতে পারবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ।
ভাইরাস কী?
আর সাধারন দশটি প্রোগ্রামের মত ভাইরাস ও একটি প্রোগ্রাম। ইতিমধ্যে আমাদের টেকটিউনস এর অনেক টিউনার গন আমাদের ভাইরাস এর বিভিন্ন কোডিং প্রদান করেছেন। আমরা যারা একটু কম বুঝি তারা শুধু স্টেপ গুলো ফলো করেছি। আর যাদের প্রোগ্রমিং এর একটু ধারনা আছে তারাতো তা নিয়ে রিতিমত গবেষনা করে তার আপডেট করেছে।
ভাইরাস কিন্তু খুব ভাল প্রোগ্রামার কর্তৃক তৈরী হয়ে থাকে। কিছু কিছু ভাইরাস আছে যা একের প্রয়োজনীয় কাজের জন্য তৈরী হয় কিন্তু তা আবার অন্যকে ভোগায়। যেমন আপনি একটি প্রোগ্রাম তৈরী করলেন যার কাজ হল আপনার কম্পিউটার এর USB Storage কে ৩০মিনিট পর পর ব্লক করে দেয়া যা আপনার সিকিউরিটির জন্য প্রয়োজন। কিন্তু তা আমার জন্য এক ধরনের সমস্যা কারন আমাকে সার্বক্ষনিক কাজের সময় USB Storage এ ডাটা ব্যাকআপ রাখতে হয়। সাধারন দৃষ্টিতে এই জিনিষটি না জানার কারনে আপনার কাছে তা ভাইরাস মনে হতে পারে। কিন্তু এটি কিন্তু একজন প্রোগ্রামার এর চিন্তাশক্তির ফসল।
কিন্তু ভাইরাস প্রোগ্রমের কোডিং এমন ভাবে করা হয় যতে আমাদের উইন্ডোজ এর বিভিন্ন ফাইল এর সাথে লিংক হয়ে যায়। যার দ্বারা আমাদের নজরের বাইরে সে তার কাজ করে থকে।
আমার জানা মতে প্রথম ভাইরাসটি তৈরী হয়ে ছিল শুধুমাত্র মজা করার জন্য এবং কৌতুহল মেটানোর জন্য, আর সেটি হল একটি ফ্লপি কে একটি নির্দিষ্ট বার কপি করার পর (সম্ভবত ২০ বার) সে একটি মেসেজ দেখাতো। কিন্তু সেটি ছিল ডিস্ক অপারেটিং সিস্টমের আমলে। আমরা এখন গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেজ এর যুগে বসবাস করি, তাই আমাদের আমলের ভাইরাস অনেক কমপ্লেক্স।
ভাইরাস প্রোগ্রামে কী কী থাকে?
Repliction Engine : এর মাধ্যমে একটি অনুলিপি (Copy) তৈরী করে এবং অন্যান্য ফাইলে তা ছড়িয়ে দেয়।
Protection : এর মাধ্যমে একটি ভাইরাস তার কোডিং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ফাইল এর কোডিং এর মাঝে লুকিয়ে রাখে।
Trigger : একটি ঘটনা বা সময় যার জন্য ভাইরাস ফাইলটি অপেক্ষা করতে থাকে। ঘটনা ঘটলে বা ঐ সময় এ পৌছলে সে নিজেকে একটিভ্যাট করে তোলে। এই সময়কে ভাইরাস কম্পউটার এর সিস্টেম এর ক্লক এর মাধ্যমে বুঝতে পারে, যেমন – সকাল ১০.৫০মিনিট অথবা একটি প্রোগ্রম চালু করার ১৫ মিনিট সময় অতিবাহিত হবার পরে। আবার এমন ও হতে পারে যেমন ব্যবহার কারী উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার দ্বারা wav ফরমেটের কোন অডিও চালালে ব্যাগগ্রউন্ডে ঐ প্রোগ্রাম চালাও -এমন।
Payload : এটি হল ভাইরাস চালানোর পরের অংশ। অর্থাৎ সে তার কাজ সম্পন্ন করার পর যা ঘটে থাকে। যেমন – একটি প্রোগ্রম রান করানোর কিছুক্ষন পর দেখা গেল আপনার ডেক্সটপে টুলটিপ এর বক্সে লেখা ভাসছে “Hacker’s Day, Countdown 1Day 15Hour” এরকম কিছু।
আজ এই পর্যন্তই। আশাকরি পরবর্তী সময় আপনাদের সাথে আমার ভাল সময় কাটবে।
আবার ও বলে রাখি আমি কম্পউটার এর টেকনোলজির সবজান্তা নই। আমি মানুষ, আমার ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমার ও অজ্ঞানতা রয়েছে।
তাই আমার ভুল গুলো যদি আপনারা ধরিয়ে না দেন তবে আমার ও যেমন অপূর্ণতা থেকে যাবে, তেমনি যারা এই টিউনটি পরবে তাদের ও জ্ঞান পিপাসা থেকে যাবে।
তাই আপনাদের আহোরিত জ্ঞান টুকু আমাদের সকলের সাথে সেয়ার করুন। এতে করে আপনিও জানতে পারবেন, আমাদের ও উপহার দিতে পারবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন