ইসলাম মানে ফরমাবরদারী এবং আনুগত্য, শান্তি বা সম্পূর্ণ আত্মসমর্পন।
ইসলাম খোদার জন্য ফানা বা বিলীন হয়ে যাওয়া, খোদার ইচ্ছায় নিজের ইচ্ছাকে
বিলীন করিয়া দেওয়ার নাম ই ইসলাম। নিশ্চয় আল্লাহ্র নিকট ইসলাম ই পরিপূর্ণ দীন। (আ লে
ইমরানঃ ২০)
আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করিলাম এবং তোমাদের উপর আমার নেয়ামতকে সম্পূর্ণ করিলাম, এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীনরূপে মনোনীত করিলাম। (আল্-মায়েদাঃ ৪)
সকল ধর্মই আল্লাহ্র একত্ব এবং তাহার কাছে পরিপূর্ণ আত্মসমর্পনের ধারনা পরিপূর্নতা লাভ করিয়াছে। কারন পরিপূর্ণ আত্মসমর্পনের পূর্বশর্ত হইলে আল্লাহ্ তা'লার গুণাবলীর পরিপূর্ণ প্রকাশ ঘটিয়াছে, এত পরিপূর্ণভাবে পূর্বে তাহা ঘটে নাই। অতএব সকল ধর্মের মধ্যে একমাত্র ইসলাম ই সঠিক অর্থে দাবী করিতে পারে, ইহাই আল্লাহ্র নিজস্ব ধর্ম। আসলে সকল সত্য ধর্মই প্রকৃত পক্ষে, আংশিকভাব ইসলাম ছিল এবং অনুসারিগণও আক্ষরিক অর্থে মুসলমান ছিলেন। কিন্তু যে পর্যন্ত ধর্ম সকল দিক হতে পরিপূর্ণতা লাভ করে নাই, সে পর্যন্ত ইহা ইসলাম নাম প্রাপ্ত হয় নাই। যখন ধর্মের সকল আনুষাঙ্গিক ও সংশ্লিষ্ট বিষয়বলী সমন্বিত করিয়া কোরাআনের মাধ্যমে শেষ ঐশীবিধানের পরিপূর্ণতা দেওয়া হইল, তখনই আল্লাহ্ তা'আলা ইহাকে আল-ইসলাম নামে অভিহিত করিলেন। কুরআন স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করিতেছে যে ইসলামই একমাত্র ধর্ম, যাহা আল্লাহ্র গ্রহণযোগ্য। ইহুদী, খৃষ্টান, সাবিয়ান বা অন্য যে কোন ধর্মেরই হওক না কেন, যদি আল্লাহ্তে ও আখেরাতে তাহাদের অটল ও অকপট বিশ্বাস থাকে এবং সত্য ধর্মের (ইসলামের) সারবস্তু সৎকর্মশীলতাকে জীবনের অবলম্বন করে তাহা হইলে পরিণামে তাহাদের কোনও ভয়ের কারণ নাই এবং তাহারা দুঃখে নিপতিত হইবেনা। ইসলাম স্বীয় অনুসারিদিগকে নির্দেশ দিতেছে যে, তাহারা যেন সর্বকালের, সর্বজাতির, সর্বদেশের ও সর্বসম্প্রদায়ের নবীগণকেই বিনা ব্যতিক্রমে স্বীকৃতি দান করে। ইহা ইসলামকে অন্যান্য সকল ধর্মের উপর শ্রেষ্ঠত্ব ও মাহাত্ব দান করিয়াছে। ইসলামের প্রধান উদ্দেশ্য ফানা (আত্মবিলীন অবস্থা), আল্লাহ্র কাছে সম্পূর্ণরূপে আত্মসমর্পন দ্বারা ইহাই বুঝায় যে, আমাদের সমস্ত শক্তি, সামর্থ্য, দেহ-মন, এবং আমাদের যাহা কিছু আছে সবকিছু আল্লাহ্র কাছে সমর্পন করিয়া একমাত্র তাহারই সেবায় ন্যাস্ত করা। এই অবস্থায় ফানা বা মৃত্যু, যাহা একজন সত্যিকার মুসলমান নিজের উপর আনয়ন করিয়া লয়। সে সৎ কর্মে সর্বদা নিয়োজিত থাকে। বাকা বা পুনুরুজ্জীবনের অবস্থার দিকে ইঙ্গিত করিতেছে, কেননা যখন কোন ব্যাক্তি আল্লাহ্র ভালবাসায় নিজেকে বিলীন করিয়া দেয় এবং তাহার পার্থিব আশা-আকাঙ্খা ও কামনা বাসনা সব নির্বাপিত হইয়া যায় এবং এক প্রকার মৃত্যুবরন করে। যেমন আঁ-হযরত (সাঃ) বলিয়াছেন, মৃত্যু বরণ করার পূর্বে মৃত্যু বরণ কর, এই মৃত্যুর পর তাহাকে এক নব জীবন দান করা হয় যাহাকে বাকা নামে অভিহিত করা হয়। তখন সে আল্লাহ্র জন্যই বাঁচে এবং মানুষের সেবায় আত্ম-নিয়োগ করে। উচ্চতম অবস্থা লেকা বুঝাইতেছে, যেখানে সে আল্লাহ্র সাথে মিলিত হয়। এই শেষ অবস্থার অপর নাম নাফ্স মুতমায়িন্নাহ্ (শান্তি-প্রাপ্ত আত্মা)। (আল্ ফাজরঃ ২৮) ইসলাম নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নিখুঁত ও পূর্ণতম ধর্ম বলিয়া দাবী করে, ইহা সম্পুর্ণ সত্য। কিন্তু তাই বলিয়া, অন্য ধর্মগুলির সত্য এবং সৎ গুণাবলীকে অকপটে স্বীকার করিতে কুন্ঠা বোধ করে না। ইসলামের উদ্দেশ্য আল্লাহ্র সহিত শান্তি প্রতিষ্ঠা। ইসলামের অন্য অর্থ সৃষ্ট জীবের সহিত শান্তি। সৃষ্ট জীবের সহিত শান্তি রাখিতে হইলে ইসলাম গ্রহণ আবশ্যক। সুতরাং ইসলাম শান্তির ধর্ম, শান্তিই ইহার কাম্য, শান্তি নিকেতন বা দারুস সালাম ইহার মুখ্য উদ্দেশ্য এবং ইহার নবী বিশ্ব-শান্তি দূত।
আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করিলাম এবং তোমাদের উপর আমার নেয়ামতকে সম্পূর্ণ করিলাম, এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীনরূপে মনোনীত করিলাম। (আল্-মায়েদাঃ ৪)
সকল ধর্মই আল্লাহ্র একত্ব এবং তাহার কাছে পরিপূর্ণ আত্মসমর্পনের ধারনা পরিপূর্নতা লাভ করিয়াছে। কারন পরিপূর্ণ আত্মসমর্পনের পূর্বশর্ত হইলে আল্লাহ্ তা'লার গুণাবলীর পরিপূর্ণ প্রকাশ ঘটিয়াছে, এত পরিপূর্ণভাবে পূর্বে তাহা ঘটে নাই। অতএব সকল ধর্মের মধ্যে একমাত্র ইসলাম ই সঠিক অর্থে দাবী করিতে পারে, ইহাই আল্লাহ্র নিজস্ব ধর্ম। আসলে সকল সত্য ধর্মই প্রকৃত পক্ষে, আংশিকভাব ইসলাম ছিল এবং অনুসারিগণও আক্ষরিক অর্থে মুসলমান ছিলেন। কিন্তু যে পর্যন্ত ধর্ম সকল দিক হতে পরিপূর্ণতা লাভ করে নাই, সে পর্যন্ত ইহা ইসলাম নাম প্রাপ্ত হয় নাই। যখন ধর্মের সকল আনুষাঙ্গিক ও সংশ্লিষ্ট বিষয়বলী সমন্বিত করিয়া কোরাআনের মাধ্যমে শেষ ঐশীবিধানের পরিপূর্ণতা দেওয়া হইল, তখনই আল্লাহ্ তা'আলা ইহাকে আল-ইসলাম নামে অভিহিত করিলেন। কুরআন স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করিতেছে যে ইসলামই একমাত্র ধর্ম, যাহা আল্লাহ্র গ্রহণযোগ্য। ইহুদী, খৃষ্টান, সাবিয়ান বা অন্য যে কোন ধর্মেরই হওক না কেন, যদি আল্লাহ্তে ও আখেরাতে তাহাদের অটল ও অকপট বিশ্বাস থাকে এবং সত্য ধর্মের (ইসলামের) সারবস্তু সৎকর্মশীলতাকে জীবনের অবলম্বন করে তাহা হইলে পরিণামে তাহাদের কোনও ভয়ের কারণ নাই এবং তাহারা দুঃখে নিপতিত হইবেনা। ইসলাম স্বীয় অনুসারিদিগকে নির্দেশ দিতেছে যে, তাহারা যেন সর্বকালের, সর্বজাতির, সর্বদেশের ও সর্বসম্প্রদায়ের নবীগণকেই বিনা ব্যতিক্রমে স্বীকৃতি দান করে। ইহা ইসলামকে অন্যান্য সকল ধর্মের উপর শ্রেষ্ঠত্ব ও মাহাত্ব দান করিয়াছে। ইসলামের প্রধান উদ্দেশ্য ফানা (আত্মবিলীন অবস্থা), আল্লাহ্র কাছে সম্পূর্ণরূপে আত্মসমর্পন দ্বারা ইহাই বুঝায় যে, আমাদের সমস্ত শক্তি, সামর্থ্য, দেহ-মন, এবং আমাদের যাহা কিছু আছে সবকিছু আল্লাহ্র কাছে সমর্পন করিয়া একমাত্র তাহারই সেবায় ন্যাস্ত করা। এই অবস্থায় ফানা বা মৃত্যু, যাহা একজন সত্যিকার মুসলমান নিজের উপর আনয়ন করিয়া লয়। সে সৎ কর্মে সর্বদা নিয়োজিত থাকে। বাকা বা পুনুরুজ্জীবনের অবস্থার দিকে ইঙ্গিত করিতেছে, কেননা যখন কোন ব্যাক্তি আল্লাহ্র ভালবাসায় নিজেকে বিলীন করিয়া দেয় এবং তাহার পার্থিব আশা-আকাঙ্খা ও কামনা বাসনা সব নির্বাপিত হইয়া যায় এবং এক প্রকার মৃত্যুবরন করে। যেমন আঁ-হযরত (সাঃ) বলিয়াছেন, মৃত্যু বরণ করার পূর্বে মৃত্যু বরণ কর, এই মৃত্যুর পর তাহাকে এক নব জীবন দান করা হয় যাহাকে বাকা নামে অভিহিত করা হয়। তখন সে আল্লাহ্র জন্যই বাঁচে এবং মানুষের সেবায় আত্ম-নিয়োগ করে। উচ্চতম অবস্থা লেকা বুঝাইতেছে, যেখানে সে আল্লাহ্র সাথে মিলিত হয়। এই শেষ অবস্থার অপর নাম নাফ্স মুতমায়িন্নাহ্ (শান্তি-প্রাপ্ত আত্মা)। (আল্ ফাজরঃ ২৮) ইসলাম নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নিখুঁত ও পূর্ণতম ধর্ম বলিয়া দাবী করে, ইহা সম্পুর্ণ সত্য। কিন্তু তাই বলিয়া, অন্য ধর্মগুলির সত্য এবং সৎ গুণাবলীকে অকপটে স্বীকার করিতে কুন্ঠা বোধ করে না। ইসলামের উদ্দেশ্য আল্লাহ্র সহিত শান্তি প্রতিষ্ঠা। ইসলামের অন্য অর্থ সৃষ্ট জীবের সহিত শান্তি। সৃষ্ট জীবের সহিত শান্তি রাখিতে হইলে ইসলাম গ্রহণ আবশ্যক। সুতরাং ইসলাম শান্তির ধর্ম, শান্তিই ইহার কাম্য, শান্তি নিকেতন বা দারুস সালাম ইহার মুখ্য উদ্দেশ্য এবং ইহার নবী বিশ্ব-শান্তি দূত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন