রবিবার, ১ জানুয়ারী, ২০১২

আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক

অতঃপর জাদুঘরে যাচ্ছে আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক


বিভিন্ন লোকের হাত ঘুরে আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের কিছু অংশ ফিলাডেলফিয়ার মাটার মিউজিয়ামে প্রদর্শনের জন্য রাখা হচ্ছে। মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষকে আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের বেশ কিছু স্লাইড দান করেছেন ফিলাডেলফিয়ার এক নিউরোপ্যাথলজিস্ট। খবর এমএসএনবিসি-এর।

চিলড্রেন’স হসপিটাল অফ ফিলাডেলফিয়া-এর নিউরোপ্যাথলজিস্ট লুসি রোরকি-অ্যাডামস তার কাছে কয়েক দশক ধরে সংরক্ষিত থাকা স্লাইডগুলোর মধ্যে থেকে কিছু নমুনা মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষকে দান করেছেন।

১৯৭০ সালে লুসি আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের অপারেশন করা ডাক্তারের স্ত্রীর কাছ থেকে একটি বাক্সে রাখা ৪৬ টি স্লাইড পেয়েছিলেন। এসব স্লাইডেই আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের নমুনা সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।


১৯৫৫ সালে আইনস্টাইন মারা যাবার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই প্রিন্সটন হাসপাতালের ডাক্তার টমাস স্লজ হার্ভি আইস্টাইনের মস্তিষ্কে অস্ত্রপচার করেছিলেন। আর এ অস্ত্রপচারের সময় হার্ভি আইস্টাইনের পরিবারের কোনো অনুমতিও নেননি। গবেষণা কাজে ব্যবহারের জন্য আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক আলাদা করে শত শত স্লাইড তার নমুনা সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন তিনি।

আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণা করেও অস্বাভাবিক কোনো তথ্য উদ্ধার করতে পারেননি গবেষকরা। গবেষকদের মতে, তার মস্তিষ্কের আকারও স্বাভাবিক ছিলো। তবে আইনস্টাইনের মস্তিষ্কে ‘জিলিয়াল’ কোষের অনুপাত অন্যান্য মস্তিষ্কের তুলনায় বেশি ছিলো। গবেষকরা বলছেন, এতে করে নিউরনের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থায় সহায়তা পেতো তার মস্তিষ্কের বাকী অংশ।

হার্ভির হাত থেকে আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক চলে আসে লুসি রোরকি-অ্যাডামস-এর কাছে। তিনিও তার মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণা করেন। তার গবেষণার বিষয় ছিলো বিভিন্ন বয়সের মস্তিষ্কের সঙ্গে তুলনা করা। গবেষণার ফল হিসেবে লুসি যে তথ্য পেয়েছেন সে বিষয়ে তিনি লিখেছেন, ‘অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নীচে আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক তরুণ মস্তিষ্কের মতোই মনে হয়। আর তার মস্তিষ্কে বয়সের কোনো ছাপ পড়েনি’

আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক ঘিরে রহস্য ছিলো সবসময়ই। তার মস্তিষ্ক গোপনে বিভিন্নভাবে হাতবদলও হয়েছে। এমনকি আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক রহস্য নিয়ে মাইকেল প্যাটার্নিটি একটি বইও লিখেছেন।

মাইকেল প্যাটার্নিটির লেখা ‘ড্রাইভিং মি. অ্যালবার্ট’ নামের বইটিতে আইস্টানের মস্তিষ্কের হাতবদলের বিস্তারিত তথ্য রয়েছে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন