দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস টেলিফিল্ম সরকারের ৬ কোটি ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকা রাজস্ব ‘ফাঁকি’ দিয়েছে বলে মহাহিসাব নিরীক্ষকের দপ্তর জানিয়েছে।
এ বিষয়ে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিষয়টি রাজস্ব বোর্ডের আপিল আদালতে বিচারাধীন আছে। মহাহিসাব নিরীক্ষকের দপ্তরের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যথযথভাবে উৎসে মূল্য সংযোজন কর কেটে তা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়নি ইমপ্রেস টেলিফিল্ম।
২০০৬-০৭ অর্থবছরে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম মটর গাড়ি ওয়ার্কশপ, প্রকাশনা, পরামর্শ (কনসালট্যান্সি), নিরাপত্তা, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণসহ নানা ধরনের সেবা নিয়েছে। এসব ক্ষেত্রে উৎসে কর না কাটায় সরকার ৬ কোটি ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকা হারিয়েছে বলে বলা হয় ওই প্রতিবেদনে।
এ বিষয়ে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের পরিচালক (অর্থ) জহিরুদ্দিন মাহমুদ মামুন বলেন, বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আপিল আদালতে বিচারাধীন। “তারা বলছে যে, ওয়ার্কশপে গাড়ি মেরামত করায় আমি ভ্যাট কাটিনি। কিন্তু আমি কীভাবে ওয়ার্কশপ থেকে ভ্যাট চালান সংগ্রহ করবো,” বলেন মামুন। “কোনো খুচরা দোকান থেকে এক প্যাকেট সিগারেট কিনলেও তার ক্ষেত্রে ভ্যাট প্রযোজ্য। কিন্তু কেউ ভ্যাট দেয় না,” যুক্তি তুলে ধরেন তিনি।
ইমপ্রেস টেলিফিল্মের এই কর্মকর্তা বলেন, “আমি কর দিতে চাই এবং এটা সত্য যে আমার কোম্পানি প্রতি মাসে ৮০ লাখ থেকে এক কোটি টাকা কর দেয়। তবে এক্ষেত্রে করবান্ধব ব্যবস্থা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।”
মহাহিসাব নিরীক্ষকের দপ্তর বলেছে, ভ্যাট আইন-১৯৯১ অনুযায়ী যে কোনো ধরনের সেবার ক্ষেত্রে গ্রহীতাকে অবশ্যই উৎসে কর কেটে তা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে। কী পণ্য কেনা হলো বা কোন ধরনের সেবা নেওয়া হলো এক্ষেত্রে তা কোনো বিবেচনার বিষয় নয়।
নাটক, মিউজিক ভিডিও, ভ্যারাইটি শো, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান, সঙ্গীত বিষয়ক অনুষ্ঠান, প্রামাণ্যচিত্র, চলচ্চিত্র প্রযোজনাসহ সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বিস্তৃত পরিসরে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের কার্যক্রম রয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন