২।Drive (2011):
এই মুভিটি যখন থিয়েটারে রিলিজ পায় শুরু থেকেই এইটার গায়ে বেশ ভালো রেটিংয়ের লেভেল লাগানো ছিলো, তাই ঐরকম হাই এক্সপেক্ট্যাশানের দরুন কিনা জানি না,দেখার পর বেশ কিছুটা হতাশ হয়েছি।তবে এইটার কারন বলতে গেলে আমি বলবো, এই মুভির প্লট খুবই দূর্বল আর বেশ প্রেডিক্ট্যাবল ছিলো।মুভির শুরুটা ছিলো আউটস্ট্যান্ডিং লেভেলের, খুবই ইনটেনসড আর এনগেজিং,বিশেষ করে ফার্স্ট ১০ মিনিটের কথা আলাদা করে বলতেই হয়।এবারে প্লটটা হালকা বলে নেই, এইখানে দেখা যাবে একজন মুভির স্ট্যান্ট পারফর্মারকে যে খুবই ভালো গাড়ি ড্রাইভ করতে পারে, মাঝেমাঝে সে কিছু স্মাগলার কিংবা অপরাধীকে গাড়ি চালিয়ে সেই কাজে সাহায্য করে থাকে,কিন্তু হঠাৎ একদিন সব পাল্টে যায়,সেই স্ট্যান্ট পারফর্মারের একটি প্ল্যান ভেস্তে যায়, আর এভাবেই গোটা মুভিটি চরম নাটকীয়তায় রূপ নেয়।
মুভিটার পজিটিভ দিক বলতে গেলে একটাই, আর তা হলো সেই স্ট্যান্টম্যানের চরিত্রে রায়ান গসলিংয়ের অনবদ্য পারফরম্যান্স।সিনেমাটা পুরাই ওয়ান ম্যান শো, রায়ান গসলিং একাই টেনে গেছেন মুভিটিকে।সিনেমাটার গতি বেশ শ্লো, কোন কোন জায়গায় তা মানানসই হলেও কিছু জায়গায় তা অতিরিক্ত লেগেছে,বিশেষ করে রায়ান গসলিং আর ক্যারি মালিগানের মধ্যে জোর করে কেমিস্ট্রী ফুটানোর প্রচেষ্টা বেশ বিরক্তির উদ্রেক করেছে।মুভিটির আইএমডিবি রেটিং ৮.১ এবং এটি টপ ২৫০ তালিকায় ১৮৮ নাম্বারে রয়েছে।মুভিটিতে রায়ান গসলিং অসাধারন অভিনয়ের জন্য গো্ল্ডেন গ্লোবের নমিনেশান পেয়েছেন।তবে সবমিলিয়ে মুভিটি আমার কাছে বেশ ওভাররেটেড লেগেছে।আমার পার্সোনাল রেটিং ৬.৫/১০।
ডাউনলোড লিংক: Click This Link
অথবা,
Click This Link
৩।30 Minutes or Less (2011):
এই মুভিটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।একটি নিখাদ কমেডি মুভি, বেশ ভালো টাইম পাস।রানিংটাইমও বেশ ছোটো, ১ ঘন্টা ২০ মিনিটের মতো, এইখানে দেখা যাবে, দুইজন ক্রিমিনাল মাইন্ডেড লোক একজন পিজা ডেলিভারী বয়কে কিডন্যাপ করে এবং তার গায়ে বোমা বেঁধে রাখে, শর্ত দেয় ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে ১ মিলিয়ন ডলার যোগাড় করতে হবে নাহলে তারা বোমাটি এক্টিভেট করে দিবে।ঐ পিজা ডেলিভারী বয় কি আর করবে, সে সি্দ্ধান্ত নেয় ব্যাংক ডাকাতি করার, আর এভাবেই নানান হাস্যকর ঘটনার মাধ্যমে এগিয়ে যায় সিনেমাটি।পিজা ডেলিভারী বয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন Jesse Eisenberg, তাকে মনে আছে তো? ঐ যে সোশাল নেটওয়ার্কে মার্ক জুকারবার্গের চরিত্রে অসাধারন অভিনয় করেছিলো যেই ছেলেটা।
মুভিটি লাইট কমেডি হিসেবে ফাটাফাটি।যাদের ভারী ভারী সিনেমা দেখে মনটা একটু বিষিয়ে গেছে তাদের জন্য পারফেক্ট একটা সিনেমা।মুভিটির আইএমডিবি রেটিং ৬.৩, আমার পার্সোনাল রেটিং ৭/১০।
ডাউনলোড লিংক: Click This Link
৪।Moneyball (2011):
এই মুভিটা আমার দেখা ২০১১ এর অন্যতম সেরা। বেসবল খেলার কিছু সত্যি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই মুভিটা বানানো হয়েছে।এইটাকে স্পোর্টসের পাশাপাশি বায়োগ্রাফিক্যাল মুভিও বলা যায়।আমেরিকার ওকল্যান্ড এ বেসবল টীমের জেনারেল ম্যানেজার বিলি বিনের জীবনের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাকে আবর্তিত করে এই মুভিটির প্লট গড়ে উঠেছে।সেই বিলি বিনের চরিত্রে মাইন্ডব্লোয়িং অভিনয় করেছেন আমার খুব পছন্ডের ব্র্যাড পিট।মুভির শুরুতে দেখা যায়, ওকল্যান্ড এ দলের অ্যানুয়াল বাজেট খুবই কম,বিশেষ করে বাঘা বাঘা দলের তুলনার নস্যি মাত্র।সেই স্বল্প বাজেটকে পুঁজি করে একজন ইয়ং ইকোনমিকস পড়ুয়া কম্পিউটার অ্যানালিস্টকে সাথে নিয়ে বিলি বিন তার গোটা দলকে ঢেলে সাজান এবং ভয়াবহ যাত্রা শুরু করেও শেষ মুহূর্তে এক সীজনে বেসবল ইতিহাসে টানা ২০ টি জয়ের রেকর্ডের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
মুভিটির রানিংটাইম বেশ লম্বা, প্রায় দুই ঘন্টা ১৫ মিনিটের মতো, তবে মুভিটির জন্য এইরকম লম্বা সময় খুবই দরকারি ছিলো। আমি বেসবল খেলার কোনো কোনো নিয়ম জানি না, আর আমার খুবই অপছন্দের একটা খেলা, কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি, সেই খেলাকে কেন্দ্র করে বানানো মুভিটা আমার কাছে অসাধারন মানের লেগেছে।না জানি যারা এই খেলার হার্ডকোর ফ্যান তাদের কাছে কেমন লাগবে? ব্র্যাড পিটের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স,সাথে সেই ইয়ং অ্যানালিস্টের চরিত্রে জোনাহ হিলের দারুন অভিনয়,আর শেষের গানটা---সবমিলিয়ে ক্ষ্যাপা একটা সিনেমা।মুভিটির আইএমডিবি রেটিং ৭.৯, এইবারের গোল্ডেন গ্লোবে চারটি ক্যাটাগরীতে মুভিটি নমিনেশান পেয়েছে,ব্র্যাড পিট আর জোনাহ হিল তো নমিনেশান লিস্টে আছেনই, এছাড়া সেরা মুভি এবং সেরা চিত্রনাট্যতেও মুভিটি নমিনেশান পেয়েছে।আমার পার্সোনাল রেটিং ৯/১০,এইটা সবার জন্য হাইলি রেকমেন্ড করছি।
ডাউনলোড লিংক: Click This Link
এই মুভিটি যখন থিয়েটারে রিলিজ পায় শুরু থেকেই এইটার গায়ে বেশ ভালো রেটিংয়ের লেভেল লাগানো ছিলো, তাই ঐরকম হাই এক্সপেক্ট্যাশানের দরুন কিনা জানি না,দেখার পর বেশ কিছুটা হতাশ হয়েছি।তবে এইটার কারন বলতে গেলে আমি বলবো, এই মুভির প্লট খুবই দূর্বল আর বেশ প্রেডিক্ট্যাবল ছিলো।মুভির শুরুটা ছিলো আউটস্ট্যান্ডিং লেভেলের, খুবই ইনটেনসড আর এনগেজিং,বিশেষ করে ফার্স্ট ১০ মিনিটের কথা আলাদা করে বলতেই হয়।এবারে প্লটটা হালকা বলে নেই, এইখানে দেখা যাবে একজন মুভির স্ট্যান্ট পারফর্মারকে যে খুবই ভালো গাড়ি ড্রাইভ করতে পারে, মাঝেমাঝে সে কিছু স্মাগলার কিংবা অপরাধীকে গাড়ি চালিয়ে সেই কাজে সাহায্য করে থাকে,কিন্তু হঠাৎ একদিন সব পাল্টে যায়,সেই স্ট্যান্ট পারফর্মারের একটি প্ল্যান ভেস্তে যায়, আর এভাবেই গোটা মুভিটি চরম নাটকীয়তায় রূপ নেয়।
মুভিটার পজিটিভ দিক বলতে গেলে একটাই, আর তা হলো সেই স্ট্যান্টম্যানের চরিত্রে রায়ান গসলিংয়ের অনবদ্য পারফরম্যান্স।সিনেমাটা পুরাই ওয়ান ম্যান শো, রায়ান গসলিং একাই টেনে গেছেন মুভিটিকে।সিনেমাটার গতি বেশ শ্লো, কোন কোন জায়গায় তা মানানসই হলেও কিছু জায়গায় তা অতিরিক্ত লেগেছে,বিশেষ করে রায়ান গসলিং আর ক্যারি মালিগানের মধ্যে জোর করে কেমিস্ট্রী ফুটানোর প্রচেষ্টা বেশ বিরক্তির উদ্রেক করেছে।মুভিটির আইএমডিবি রেটিং ৮.১ এবং এটি টপ ২৫০ তালিকায় ১৮৮ নাম্বারে রয়েছে।মুভিটিতে রায়ান গসলিং অসাধারন অভিনয়ের জন্য গো্ল্ডেন গ্লোবের নমিনেশান পেয়েছেন।তবে সবমিলিয়ে মুভিটি আমার কাছে বেশ ওভাররেটেড লেগেছে।আমার পার্সোনাল রেটিং ৬.৫/১০।
ডাউনলোড লিংক: Click This Link
অথবা,
Click This Link
৩।30 Minutes or Less (2011):
এই মুভিটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।একটি নিখাদ কমেডি মুভি, বেশ ভালো টাইম পাস।রানিংটাইমও বেশ ছোটো, ১ ঘন্টা ২০ মিনিটের মতো, এইখানে দেখা যাবে, দুইজন ক্রিমিনাল মাইন্ডেড লোক একজন পিজা ডেলিভারী বয়কে কিডন্যাপ করে এবং তার গায়ে বোমা বেঁধে রাখে, শর্ত দেয় ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে ১ মিলিয়ন ডলার যোগাড় করতে হবে নাহলে তারা বোমাটি এক্টিভেট করে দিবে।ঐ পিজা ডেলিভারী বয় কি আর করবে, সে সি্দ্ধান্ত নেয় ব্যাংক ডাকাতি করার, আর এভাবেই নানান হাস্যকর ঘটনার মাধ্যমে এগিয়ে যায় সিনেমাটি।পিজা ডেলিভারী বয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন Jesse Eisenberg, তাকে মনে আছে তো? ঐ যে সোশাল নেটওয়ার্কে মার্ক জুকারবার্গের চরিত্রে অসাধারন অভিনয় করেছিলো যেই ছেলেটা।
মুভিটি লাইট কমেডি হিসেবে ফাটাফাটি।যাদের ভারী ভারী সিনেমা দেখে মনটা একটু বিষিয়ে গেছে তাদের জন্য পারফেক্ট একটা সিনেমা।মুভিটির আইএমডিবি রেটিং ৬.৩, আমার পার্সোনাল রেটিং ৭/১০।
ডাউনলোড লিংক: Click This Link
৪।Moneyball (2011):
এই মুভিটা আমার দেখা ২০১১ এর অন্যতম সেরা। বেসবল খেলার কিছু সত্যি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই মুভিটা বানানো হয়েছে।এইটাকে স্পোর্টসের পাশাপাশি বায়োগ্রাফিক্যাল মুভিও বলা যায়।আমেরিকার ওকল্যান্ড এ বেসবল টীমের জেনারেল ম্যানেজার বিলি বিনের জীবনের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাকে আবর্তিত করে এই মুভিটির প্লট গড়ে উঠেছে।সেই বিলি বিনের চরিত্রে মাইন্ডব্লোয়িং অভিনয় করেছেন আমার খুব পছন্ডের ব্র্যাড পিট।মুভির শুরুতে দেখা যায়, ওকল্যান্ড এ দলের অ্যানুয়াল বাজেট খুবই কম,বিশেষ করে বাঘা বাঘা দলের তুলনার নস্যি মাত্র।সেই স্বল্প বাজেটকে পুঁজি করে একজন ইয়ং ইকোনমিকস পড়ুয়া কম্পিউটার অ্যানালিস্টকে সাথে নিয়ে বিলি বিন তার গোটা দলকে ঢেলে সাজান এবং ভয়াবহ যাত্রা শুরু করেও শেষ মুহূর্তে এক সীজনে বেসবল ইতিহাসে টানা ২০ টি জয়ের রেকর্ডের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
মুভিটির রানিংটাইম বেশ লম্বা, প্রায় দুই ঘন্টা ১৫ মিনিটের মতো, তবে মুভিটির জন্য এইরকম লম্বা সময় খুবই দরকারি ছিলো। আমি বেসবল খেলার কোনো কোনো নিয়ম জানি না, আর আমার খুবই অপছন্দের একটা খেলা, কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি, সেই খেলাকে কেন্দ্র করে বানানো মুভিটা আমার কাছে অসাধারন মানের লেগেছে।না জানি যারা এই খেলার হার্ডকোর ফ্যান তাদের কাছে কেমন লাগবে? ব্র্যাড পিটের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স,সাথে সেই ইয়ং অ্যানালিস্টের চরিত্রে জোনাহ হিলের দারুন অভিনয়,আর শেষের গানটা---সবমিলিয়ে ক্ষ্যাপা একটা সিনেমা।মুভিটির আইএমডিবি রেটিং ৭.৯, এইবারের গোল্ডেন গ্লোবে চারটি ক্যাটাগরীতে মুভিটি নমিনেশান পেয়েছে,ব্র্যাড পিট আর জোনাহ হিল তো নমিনেশান লিস্টে আছেনই, এছাড়া সেরা মুভি এবং সেরা চিত্রনাট্যতেও মুভিটি নমিনেশান পেয়েছে।আমার পার্সোনাল রেটিং ৯/১০,এইটা সবার জন্য হাইলি রেকমেন্ড করছি।
ডাউনলোড লিংক: Click This Link
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন