মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৫

উপস্হিত থাকায় বুঝতে পারিনি আপুর ভালোবাসাটা

আপু পঞ্চাশটা টাকা দেতো ।
- কি !! টাকা কি গাছে ধরে নাকি
তুইনা কাল টিউশনির টাকা পেলি, ঐখান থেকে দেনা আপু ।
- কানের কাছে ঘেনর ঘেনর করিস নাতো, ভাগএখান থেকে
আমাকে টাকা দিলেই তো চলে যাই আচ্ছা পঞ্চাশ টাকা না চল্লিশ টাকা দে ।
- ইস্ তোর জ্বালায় আর পারা গেল না,এই নে বিশ টাকা ভাগ এখন থেকে ।
মাত্র বিশ টাকা দিলি । ওকে সমস্যা নাই চটপটি এনে তোকে দেখিয়ে দেখিয়ে খাব ।
তখন কিন্তু আবার নজর দিস না ।
- কি !! চটপটি খাবি তুই । এইনে আরো বিশ টাকা আমার জন্যে আনিস ।



মোট চল্লিশ টাকা নিয়ে দরজার সামনে গিয়ে বলতে লাগলাম।
আমি কি তোর মত মেয়ে মানুষ নাকি যে চটপটি খাব ।
আমার টাকাটা দরকার ছিল তাই তোকে বোকা বানিয়ে নিয়ে গেলাম ।
-তবেরে পাজি তোর একদিন কি আমার একদিন ।
খবরদার আমার টাকা দিয়ে যা, না হয় বাসায় ডুকতে দিব না ।
কে পায় আর আমার নাগাল । আমি চমপট । আমার বড় বোন আমি যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই চটপটি রান্না করেছে কিন্তু খায়নি । মনস্থির করেছে আমি আসলে
আমাকে দিখিয়ে দেখিয়ে খাবে । একফোঁটাও দিবে না আমাকে ।


রাত আটটায় বাড়ি ফিরেছি আমি । আমি ভেবে রেখেছি আপু অবশ্যই আমাকে বকা
দিবে কিন্তু কোন টু শব্দ পর্যন্ত করলো না ।আমি ড্রয়িং রুমে বসে টিভি দেখছি। কিছুক্ষণ পর আপু একটি প্লেটে করে কি যেন এনে খেতে শুরু করলো।
- কি খাস আপু
মধু খাই মধু । এই মধুর নাম চটপটি, খাবি.....
- দেনা আপু একটু খাই ।
ভাগ এখান থেকে । বিকালে আমার থেকে চটপটির কথা বলে টাকা নিয়েছিস মনে আছে । এখন আমি খাই তুই চেয়ে চেয়ে দেখ ।
আমি গুমরা মুখে বসে আছি।আপু চটপটি খাচ্ছে আর মিটমিট করে হাসছে ।
- শুন ...
বল
- ফ্রিজে, প্লেটে চটপটিপ রাখা আছে নিয়ে খা ।আবার না দিলে তো আমার পেট খারাপ হবে ।
মূহুর্তেই আমার চেহারা উজ্জ্বল হয়ে গেল ।লক্ষ্মী আপু আমার, এই কথা বলে
আপুর গাল টিপে দিয়ে চটপটি আনতে ফ্রিজের দিকে অগ্রসর হয়ই আমি ।


আপু উপস্হিত থাকায় বুঝতে পারিনি আপুর ভালোবাসাটা ।
আজ আপু নাই এই জন্য মাঝে মাঝে খুব আফসোস হয়। আজ আপুর
ভালোবাসাটা শুধুই স্মৃতি আর সেই স্মৃতিতে ও আপুর
ভালোবাসাটা উপলব্ধি করেতে পারি..................

1 টি মন্তব্য: