দেখতে দেখতে আজ অনেক দিন হয়ে গেল।বাবা হারা ছেলেটা বাবাকে মনে করে
কাটিয়ে দিচ্ছে রাত-দিন।বাবা যখন মারা যায় তখন ছেলেটার মাঝে খুব ব্যস্ততা
ছিল।মারা যাওয়ার পরে কয়েকটা দিন ব্যস্ততাবিহীন দিন কাটলো ছেলেটার।বাবাকে
ভেবে ভেবে সারাদিন কাঁদত।আড়ালে আড়ালে চোখের পানি ফেলত।সবাই বলে বুক চেপে
কান্না করলে নাকি বুকে ব্যাথা হয়।তবুও ছেলেটা বুক চেপেই কাঁদত নিজের বাবার
জন্য,মা বোনকে বুঝতেও দিতনা।রাতে কেউ তার সাথে ঘুমোতে চাইলেও সে সাথে নিতে
চায়না।কারন হলো সে জানে রাতের আঁধারে তার চোখের পানি আর বুকের কষ্ট কেউ
দেখতে বা অনুভব করতে পারবেনা।তাই একা একটা রুমে অন্ধকারে কেঁদে কেঁদে রাতটা
কাটিয়ে দিত ছেলেটা।বাবার জন্য দোয়া করত সারাক্ষন।বাবার মৃত্যুর পরেও বাবার
স্মৃতিগুলো,বাবার দেখা স্বপ্নগুলো তাকে আঁকড়ে ধরত।তাই মাঝে মাঝে মরার
ইচ্ছা পোষন করলেও বাবার স্বপ্ন পুরন করতে হবে তাই পারত না।এসব কথা,এসব
চিন্তা অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছিল সে।ভাবলো মরবে না।বাবার স্বপ্নগুলো কিভাবে
পুরন করবে? মা-বোনের দিকে তাকিয়ে এসব আজগুবি চিন্তাগুলো ভুলেই যেত
ছেলেটা।ভেবে নিত এদের জন্য হলেও তাকে ভাল থাকতে হবে।
ছোটবেলার কথা মনে পরতেই কুকড়ে কুকড়ে কেঁদে উঠে ছেলেটা।বাবা তাকে অনেক স্বপ্ন দেখাত,তাই কষ্টগুলোকে আড়াল করার জন্য যখন বাবার স্বপ্ন গুলোর দিকে তাকাত তখন কষ্ট কমার বদলে উল্টে বেরে যেত।
বাবা মারা যাবার দিন নতুন জামা পরেছিল ছেলেটা।বাবার অনেক আল্লাদের ছেলে সে।কিছু চাইলে বাবা কখনোই না করে না।কষ্ট হলেও সব এনে দেয়।কোন কিছুর অভাব নেই তার।বিকেলের শেষ সময়টায় উজ্জল দেখাচ্ছিল বাবার চেহারাটা।ছেলেটা ভাবতেও পারেনি এটাই শেষ দেখা ছিল।
তখন রাত ১০টা ৩০।বাবাকে হসপিটালে ভর্তি করিয়েছে।ছেলেটা ভেবেছিল হয়ত হালকা কিছু।ঠিক হয়ে যাবে।আল্লাহকে ডাকছে শুধু।ছেলেটা নিজেও মেডিকেলের ছাত্র কিন্ত নিজের উপর আস্থা রাখতে পারছে না।তাই বাবা বাঁচবে সেই আশায় ডাক্তারকে বাবাকে চেক-আপ করতে বলল।ছেলেটা মনে মনে হালকা কষ্ট পাচ্ছে তবুও ধরেই নিয়েছে বাবার কিছু হয়নি।ডাক্তার খানিকক্ষন চেক করার পরে ছেলেটার বাবার গায়ের উপর থাকা চাদরটা দিয়ে ঢেকে দিল তার বাবার মুখ।ছেলেটা মনে মনে ফুঁসতে থাকে।তবে কি তার বাবা!!! না না এভাবে বাবা যেতে পারেনা অসম্ভব।ডাক্তার বলেন সরি।সাথে সাথেই বুকটা পাথর হয়ে গেল ছেলেটার।
অবশেষ বাড়িতে ফিরে এলো।এর আগেরদিনেও তো বাবা এমন সময় খাবার খাচ্ছিলেন।আর আজ.!! বাড়িতে ঢুকতেই কেমন যেন লাগল তার। পুরো বাড়িটাই নিঝুম।
বাবার পায়ের কাছে ছেলেটা খাটের পায়া ধরে আস্তে আস্তে কবরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সে।চিন্তা করছে বাবাকে সে কিভাবে নিজ হাতে মাটিচাপা দিবে? এর চাইতে নিজে মরে গেলেও তো সেটা ভাল হত।এত কষ্ট যে তার সহ্য হবেনা।বাবাকে কবরে শুইয়ে দিল।কবরটায় খুব পানি।বাবা এখানে কিভাবে থাকবে? ছেলেটা রাতে আরাম করে বিছানায় ঘুমাবে আর তার বাবা এভাবে এই জায়গাতে? না এটা হতে দেয়া যাবেনা।এর চাইতে ভাল সেই মরে যাক।কিন্তু কি আর করা বাস্তবতা।
বাবাকে কবরে নামানোর পর বাঁশ আর তার উপরে কাপড় দিয়ে আড়াল করে দিল সব।আর বাবাকে দেখতে পারবে না সে কখনো।কিভাবে থাকবে? পুরো ঘড়টাই যে বাবার স্মৃতিতে ঘেরা।বাবার কবরের উপর প্রথম মাটিটুকু ছেলেটা নিজ হাতে দিল।সে কত নিষ্ঠুর মনে মনে ভাবছে।তার নিজের বাবার কবরে মাটি দিচ্ছে সে।ছিহ.!! একটা সন্তান হয়ে কিভাবে সে এটা পারল? এগুলো ভাবতে ভাবতে কবরটা পুরো মাটিতে ভরে গেল।
বাসায় ফিরে এসে কান্নায় ফেটে পরল সব।অতঃপর দ্বীর্ঘশ্বাস।মাত্র ২টা দিন।মাত্র কয়েক ঘন্টা,কয়েকশ মিনিট,কয়েকহাজার সেকেন্ড আর ছেলেটার জীবনের সব শেষ।তার মা,বোনের জীবনের সব শেষ।পুরো বাড়িটাই আজ নিস্তব্ধ। চারিদিক শুধুই ধুধু করছে।পরিবেশটা হঠাৎ কেমন যেন হয়ে নিশ্চুপ।আজ তার বাবা নেই।এটা ভেবে বুকের ভিতরটা খুবড়ে খাচ্ছে।কষ্টে ফেটে যায় ছেলেটা আর তার মা,বোনের বুক।কিন্তু বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে,ভাগ্যকে মেনে নিয়ে আজো তারা এগিয়ে চলেছে সামনের দিকে।এ যেন বাবাহারা জীবন নয়, এ যেন কোন নতুন এক যুদ্ধ।সেই যুদ্ধে তাদের যে জয়ী হতেই হবে।
ছোটবেলার কথা মনে পরতেই কুকড়ে কুকড়ে কেঁদে উঠে ছেলেটা।বাবা তাকে অনেক স্বপ্ন দেখাত,তাই কষ্টগুলোকে আড়াল করার জন্য যখন বাবার স্বপ্ন গুলোর দিকে তাকাত তখন কষ্ট কমার বদলে উল্টে বেরে যেত।
বাবা মারা যাবার দিন নতুন জামা পরেছিল ছেলেটা।বাবার অনেক আল্লাদের ছেলে সে।কিছু চাইলে বাবা কখনোই না করে না।কষ্ট হলেও সব এনে দেয়।কোন কিছুর অভাব নেই তার।বিকেলের শেষ সময়টায় উজ্জল দেখাচ্ছিল বাবার চেহারাটা।ছেলেটা ভাবতেও পারেনি এটাই শেষ দেখা ছিল।
তখন রাত ১০টা ৩০।বাবাকে হসপিটালে ভর্তি করিয়েছে।ছেলেটা ভেবেছিল হয়ত হালকা কিছু।ঠিক হয়ে যাবে।আল্লাহকে ডাকছে শুধু।ছেলেটা নিজেও মেডিকেলের ছাত্র কিন্ত নিজের উপর আস্থা রাখতে পারছে না।তাই বাবা বাঁচবে সেই আশায় ডাক্তারকে বাবাকে চেক-আপ করতে বলল।ছেলেটা মনে মনে হালকা কষ্ট পাচ্ছে তবুও ধরেই নিয়েছে বাবার কিছু হয়নি।ডাক্তার খানিকক্ষন চেক করার পরে ছেলেটার বাবার গায়ের উপর থাকা চাদরটা দিয়ে ঢেকে দিল তার বাবার মুখ।ছেলেটা মনে মনে ফুঁসতে থাকে।তবে কি তার বাবা!!! না না এভাবে বাবা যেতে পারেনা অসম্ভব।ডাক্তার বলেন সরি।সাথে সাথেই বুকটা পাথর হয়ে গেল ছেলেটার।
অবশেষ বাড়িতে ফিরে এলো।এর আগেরদিনেও তো বাবা এমন সময় খাবার খাচ্ছিলেন।আর আজ.!! বাড়িতে ঢুকতেই কেমন যেন লাগল তার। পুরো বাড়িটাই নিঝুম।
বাবার পায়ের কাছে ছেলেটা খাটের পায়া ধরে আস্তে আস্তে কবরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সে।চিন্তা করছে বাবাকে সে কিভাবে নিজ হাতে মাটিচাপা দিবে? এর চাইতে নিজে মরে গেলেও তো সেটা ভাল হত।এত কষ্ট যে তার সহ্য হবেনা।বাবাকে কবরে শুইয়ে দিল।কবরটায় খুব পানি।বাবা এখানে কিভাবে থাকবে? ছেলেটা রাতে আরাম করে বিছানায় ঘুমাবে আর তার বাবা এভাবে এই জায়গাতে? না এটা হতে দেয়া যাবেনা।এর চাইতে ভাল সেই মরে যাক।কিন্তু কি আর করা বাস্তবতা।
বাবাকে কবরে নামানোর পর বাঁশ আর তার উপরে কাপড় দিয়ে আড়াল করে দিল সব।আর বাবাকে দেখতে পারবে না সে কখনো।কিভাবে থাকবে? পুরো ঘড়টাই যে বাবার স্মৃতিতে ঘেরা।বাবার কবরের উপর প্রথম মাটিটুকু ছেলেটা নিজ হাতে দিল।সে কত নিষ্ঠুর মনে মনে ভাবছে।তার নিজের বাবার কবরে মাটি দিচ্ছে সে।ছিহ.!! একটা সন্তান হয়ে কিভাবে সে এটা পারল? এগুলো ভাবতে ভাবতে কবরটা পুরো মাটিতে ভরে গেল।
বাসায় ফিরে এসে কান্নায় ফেটে পরল সব।অতঃপর দ্বীর্ঘশ্বাস।মাত্র ২টা দিন।মাত্র কয়েক ঘন্টা,কয়েকশ মিনিট,কয়েকহাজার সেকেন্ড আর ছেলেটার জীবনের সব শেষ।তার মা,বোনের জীবনের সব শেষ।পুরো বাড়িটাই আজ নিস্তব্ধ। চারিদিক শুধুই ধুধু করছে।পরিবেশটা হঠাৎ কেমন যেন হয়ে নিশ্চুপ।আজ তার বাবা নেই।এটা ভেবে বুকের ভিতরটা খুবড়ে খাচ্ছে।কষ্টে ফেটে যায় ছেলেটা আর তার মা,বোনের বুক।কিন্তু বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে,ভাগ্যকে মেনে নিয়ে আজো তারা এগিয়ে চলেছে সামনের দিকে।এ যেন বাবাহারা জীবন নয়, এ যেন কোন নতুন এক যুদ্ধ।সেই যুদ্ধে তাদের যে জয়ী হতেই হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন