নিজের কাজ নিজের মতো করতে চাইলে অনেকেই স্বাধীন পেশা বেছে নেন। কিছু যন্ত্রপাতি, কিছু জ্ঞান আর সৃজনশীলতা নিয়েই শুরু করা যায় একটি পেশা।এসব ক্ষেত্রে শুরুটা অনেকেই করে শখের বশে। পরে সেটিই হয়ে ওঠে পেশা।আলোকচিত্র, মোবাইল ফোন প্রকৌশল, কম্পিউটার প্রকৌশল, গ্রাফিক ডিজাইন ইত্যাদি ক্ষেত্রে পেশা শুরু করতে নিজের ইচ্ছা আর দক্ষতাই মূল বিষয়। বিনিয়োগ এখানে সামান্যই।মূলত একটি যন্ত্র কিনেই আপনিও আসতে পারেন এ রকম পেশায়। আর এসব পেশার জন্য দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না; নেই উচ্চতর ডিগ্রির বাধ্যবাধকতাও।
পেশা যখন ছবি তোলা
তরুণ প্রজ্নের অনেকেরই আগ্রহের বিষয় আলোকচিত্র। শুধু তরুণ নয়, যে কেউ এ পেশায় আসতে পারে। তবে এ জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হবে। চঞ্চল মাহমুদ স্কুল অব ফটোগ্রাফির কোর্স সমন্বয়কারী চঞ্চল মাহমুদ জানান, আলোকচিত্রী হতে কোনো বয়স লাগে না; যেকোনো বয়সে যে কেউ এ পেশায় আসতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এসএসসি পাস হলে কর্মক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়া যায়। আলোকচিত্রকে যারা পেশা হিসেবে নিতে চায়, তাদের প্রথমে একটি প্রাথমিক ও একটি উচ্চতার পর্যায়ের প্রশিক্ষণ কোর্স করতে হবে। কোর্স করার পর এ বিষয়ে এক বছরের ডিপ্লোমা করলে সবচেয়ে ভালো হয়।
প্রশিক্ষণ নিলেই যে আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ শুরু করা যাবে, তা নয়। চঞ্চল মাহমুদ জানান, এরপর তাঁকে চর্চা করতে হবে। কোনো পেশাদার ও দক্ষ আলোকচিত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। তাঁর তত্ত্বাবধানে ন্যূনতম এক বছর কাজ করলে ভালো হয়। এরপর সে ইচ্ছা করলে নিজেই একটি স্টুডিও স্থাপন করতে পারবে। একজন আলোকচিত্রীর জন্য একটি ভালো মানের ক্যামেরা খুব বেশি জরুরি। এ ছাড়া সফট বক্স (আলো নিয়ন্ত্রণের বিশেষ ছাতা বা বাক্স), ট্রাই পড (ক্যামেরা রাখার স্ট্যান্ড), স্পট লাইট ইত্যাদি আনুষঙ্গিক অনেক কিছুরই প্রয়োজন হতে পারে। আর ক্যামেরা, লেন্স ইত্যাদি বহন করার জন্য একটি ব্যাগেরও প্রয়োজন হবে। একজন ভালো আলোকচিত্রীর পক্ষে মাসে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা, এমনকি তারও বেশি আয় করা সম্ভব।
মোবাইল ফোন ঘিরে
দেশে এখন বিপুল সংখ্যক মানুষমোবাইল ফোন ব্যবহার করে।ফলে মোবাইল ফোন মেরামতের চাহিদা প্রচুর।ঢাকার ইস্টার্ন প্লাজার সাইম ইলেকট্রনিকস ও সাইম টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো· কামাল হোসেন জানান, মোবাইল ফোন মেরামতকে পেশা হিসেবে নিতে হলে প্রথম শর্তই হচ্ছে, আগ্রহ ও ধৈর্য থাকতে হবে। আর ন্যূনতম মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হলে এ পেশায় কাজ করতে অনেক সুবিধা হয়-যদিও এর চেয়ে কম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষও এ পেশায় আসতে পারে। মোবাইল মেরামতের জন্য সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার-দুটোতেই দক্ষ হতে হবে। এ জন্য কম্পিউটার বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হবে।
মো· কামাল হোসেন আরও জানান, প্রথমে কোনো ভালো প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত দু-তিন মাসের প্রশিক্ষণ কোর্স করিয়ে থাকে। এ পেশায় ভালো করার জন্য এটিই যথেষ্ট নয়; সবচেয়ে ভালো হয় দেশের বাইরে থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পারলে। প্রশিক্ষণের পর কোনো মোবাইল মেরামত কেন্দ্র বা সার্ভিস সেন্টারে ন্যূনতম ছয় মাস শিক্ষানবিশ থেকে কাজ করা উচিত।বাস্তব ও প্রায়োগিক জ্ঞানের জন্য এটা খুব দরকারি। এ পেশায় কাজ শুরু করার আগে হটগান মেশিন, স্ক্রু ড্রাইভার, টুইজার, ইলেকট্রিক আয়রন, ডিজিটাল মিটার ইত্যাদি যন্ত্রপাতি কিনে নিতে হবে। পরিশ্রমী হলে এ পেশায় থেকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বা আরও বেশি আয় করা সম্ভব।
কম্পিউটার নিয়ে কাজ
সিমকো ইলেকট্রনিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম ইব্রাহিম জানান, কম্পিউটার মেরামতকারী হতে চাইলে কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও সফটওয়্যার সম্পর্কে মৌলিক ধারণা থাকতে হবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। কোনো ভালো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এ জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থাকলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সম্পর্কে ভালো ধারণা না থাকলে এ পেশায় আসা যাবে না। তাই শুধু কোর্স করলেই হবে না, কোনো দক্ষ প্রকৌশলীর সঙ্গে কয়েক মাস কাজ করতে হবে। যত বেশি সময় অভিজ্ঞ কারও সঙ্গে কাজ করা যাবে, তত বেশি বাস্তব ধারণা আসবে এবং কাজ ভালো শেখা যাবে।
কাজ শিখে চাকরি করতে না চাইলে নিজে নিজেই শুরু করতে পারবেন কম্পিউটার সারাইয়ের কাজ। তবে এ জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (স্ক্রু ড্রাইভার, হ্যান্ড ব্লোয়ার ইত্যাদি) কিনে নিতে হবে। সঙ্গে অপারেটিং সিস্টেমসহ বিভিন্ন সফটওয়্যারেরও প্রয়োজন হবে। এ পেশায় আয় নির্ভর করে নিজের দক্ষতা, প্রচার ও প্রসারের ওপর।
নকশা নিয়ে পেশা
কাকরাইলের মাল্টিমিডিয়া সেন্টারের আর্ট অ্যান্ড গ্রাফিকস প্রশিক্ষক মো· হারুন-অর-রশীদ টুটুল বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেগুলো গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত চার মাস, ছয় মাস বা এক বছরের কোর্স পরিচালনা করে। এ পেশায় আসতে চাইলে এর যেকোনো একটি কোর্স করতে হবে। প্রশিক্ষণের সময় কম্পিউটার গ্রাফিকসের বিভিন্ন সফটওয়্যার শেখানো হয়। অ্যাডোবি ফটোশপ, অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর, কোয়ার্ক এক্সপ্রেস অবশ্যই শিখতে হবে। এরপর কাজের প্রয়োজনে বা কাজে বৈচিত্র্য আনতে আরও কিছু সফটওয়্যার শিখে নেওয়া ভালো। এ পেশায় ভালো করতে চাইলে কল্পনাক্ষমতা থাকতে হবে। আর চারুকলা ও নকশা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকলে এ পেশায় ভালো করা যায়। ছবি আঁকা শিখলে তা এ ক্ষেত্রে অনেক কাজে লাগে।’
তিনি আরও জানান, গ্রাফিক ডিজাইনারদের ব্যাপক চাহিদা আছে। পেন্টিয়াম ফোর মানের একটি কম্পিউটার, স্ক্যানার, প্রিন্টার ইত্যাদি যন্ত্রপাতি লাগবে এ পেশা শুরু করতে। কাজ ভালো জানলে এবং পরিশ্রমী হলে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা কঠিন কোনো কাজ নয়।
মুহূর্ত ধরে রাখা
কাজের বাজারে এখন ভিডিও চিত্রগ্রাহকদের বেশ চাহিদা রয়েছে। তাই অনেকেই এটিকে পেশা হিসেবে নিতে আগ্রহী। এ জন্য শুধু ভিডিও ক্যামেরা হাতে তুলে নিলেই তো আর চলবে না; কীভাবে সেটি পরিচালনা করতে হবে, সেটিও জানতে হবে। এ বিষয়ে নিউ সান স্টার ভিডিওর কর্ণধার কাজী সহীদুল ইসলাম পনির জানান, ভিডিও চিত্রগ্রাহক হতে চাইলে ভিডিও ক্যামেরা পরিচালনা করা জানতে হবে। ভিডিওর আদ্যোপান্ত অর্থাৎ ‘হোয়াইট ব্যালেন্স’, ‘লাইট ব্যালেন্স’-এ সবকিছুই শিখতে হবে। এ জন্য কোনো প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতেও এ রকম প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ভিডিওগ্রাফি প্রতিষ্ঠানেও শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করা যায়। এতে কাজও শেখা যায়, পাশাপাশি মোটামুটি অঙ্কের বেতনও পাওয়া যায়। এ পেশায় কাজ শুরু করার আগে ভিডিও ক্যামেরা, সানগান, ২০ থেকে ৩০ গজ তার প্রভৃতি প্রয়োজনীয় উপকরণ কিনে নিতে হবে। এরপর পরিচিতি বাড়াতে হবে। প্রথম দিকে নিজে নিজেই পাড়া-প্রতিবেশীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ভিডিওচিত্র ধারণ করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। এরপর একসময় নিজেও একটি প্রতিষ্ঠান খুলে বসতে পারেন। গ্রাহকের ওপরই নির্ভর করবে এ পেশায় আপনার আয়-রোজগার।
পেশা যখন ছবি তোলা
তরুণ প্রজ্নের অনেকেরই আগ্রহের বিষয় আলোকচিত্র। শুধু তরুণ নয়, যে কেউ এ পেশায় আসতে পারে। তবে এ জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হবে। চঞ্চল মাহমুদ স্কুল অব ফটোগ্রাফির কোর্স সমন্বয়কারী চঞ্চল মাহমুদ জানান, আলোকচিত্রী হতে কোনো বয়স লাগে না; যেকোনো বয়সে যে কেউ এ পেশায় আসতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এসএসসি পাস হলে কর্মক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়া যায়। আলোকচিত্রকে যারা পেশা হিসেবে নিতে চায়, তাদের প্রথমে একটি প্রাথমিক ও একটি উচ্চতার পর্যায়ের প্রশিক্ষণ কোর্স করতে হবে। কোর্স করার পর এ বিষয়ে এক বছরের ডিপ্লোমা করলে সবচেয়ে ভালো হয়।
প্রশিক্ষণ নিলেই যে আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ শুরু করা যাবে, তা নয়। চঞ্চল মাহমুদ জানান, এরপর তাঁকে চর্চা করতে হবে। কোনো পেশাদার ও দক্ষ আলোকচিত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। তাঁর তত্ত্বাবধানে ন্যূনতম এক বছর কাজ করলে ভালো হয়। এরপর সে ইচ্ছা করলে নিজেই একটি স্টুডিও স্থাপন করতে পারবে। একজন আলোকচিত্রীর জন্য একটি ভালো মানের ক্যামেরা খুব বেশি জরুরি। এ ছাড়া সফট বক্স (আলো নিয়ন্ত্রণের বিশেষ ছাতা বা বাক্স), ট্রাই পড (ক্যামেরা রাখার স্ট্যান্ড), স্পট লাইট ইত্যাদি আনুষঙ্গিক অনেক কিছুরই প্রয়োজন হতে পারে। আর ক্যামেরা, লেন্স ইত্যাদি বহন করার জন্য একটি ব্যাগেরও প্রয়োজন হবে। একজন ভালো আলোকচিত্রীর পক্ষে মাসে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা, এমনকি তারও বেশি আয় করা সম্ভব।
মোবাইল ফোন ঘিরে
দেশে এখন বিপুল সংখ্যক মানুষমোবাইল ফোন ব্যবহার করে।ফলে মোবাইল ফোন মেরামতের চাহিদা প্রচুর।ঢাকার ইস্টার্ন প্লাজার সাইম ইলেকট্রনিকস ও সাইম টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো· কামাল হোসেন জানান, মোবাইল ফোন মেরামতকে পেশা হিসেবে নিতে হলে প্রথম শর্তই হচ্ছে, আগ্রহ ও ধৈর্য থাকতে হবে। আর ন্যূনতম মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হলে এ পেশায় কাজ করতে অনেক সুবিধা হয়-যদিও এর চেয়ে কম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষও এ পেশায় আসতে পারে। মোবাইল মেরামতের জন্য সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার-দুটোতেই দক্ষ হতে হবে। এ জন্য কম্পিউটার বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হবে।
মো· কামাল হোসেন আরও জানান, প্রথমে কোনো ভালো প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত দু-তিন মাসের প্রশিক্ষণ কোর্স করিয়ে থাকে। এ পেশায় ভালো করার জন্য এটিই যথেষ্ট নয়; সবচেয়ে ভালো হয় দেশের বাইরে থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পারলে। প্রশিক্ষণের পর কোনো মোবাইল মেরামত কেন্দ্র বা সার্ভিস সেন্টারে ন্যূনতম ছয় মাস শিক্ষানবিশ থেকে কাজ করা উচিত।বাস্তব ও প্রায়োগিক জ্ঞানের জন্য এটা খুব দরকারি। এ পেশায় কাজ শুরু করার আগে হটগান মেশিন, স্ক্রু ড্রাইভার, টুইজার, ইলেকট্রিক আয়রন, ডিজিটাল মিটার ইত্যাদি যন্ত্রপাতি কিনে নিতে হবে। পরিশ্রমী হলে এ পেশায় থেকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বা আরও বেশি আয় করা সম্ভব।
কম্পিউটার নিয়ে কাজ
সিমকো ইলেকট্রনিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম ইব্রাহিম জানান, কম্পিউটার মেরামতকারী হতে চাইলে কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও সফটওয়্যার সম্পর্কে মৌলিক ধারণা থাকতে হবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। কোনো ভালো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এ জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থাকলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সম্পর্কে ভালো ধারণা না থাকলে এ পেশায় আসা যাবে না। তাই শুধু কোর্স করলেই হবে না, কোনো দক্ষ প্রকৌশলীর সঙ্গে কয়েক মাস কাজ করতে হবে। যত বেশি সময় অভিজ্ঞ কারও সঙ্গে কাজ করা যাবে, তত বেশি বাস্তব ধারণা আসবে এবং কাজ ভালো শেখা যাবে।
কাজ শিখে চাকরি করতে না চাইলে নিজে নিজেই শুরু করতে পারবেন কম্পিউটার সারাইয়ের কাজ। তবে এ জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (স্ক্রু ড্রাইভার, হ্যান্ড ব্লোয়ার ইত্যাদি) কিনে নিতে হবে। সঙ্গে অপারেটিং সিস্টেমসহ বিভিন্ন সফটওয়্যারেরও প্রয়োজন হবে। এ পেশায় আয় নির্ভর করে নিজের দক্ষতা, প্রচার ও প্রসারের ওপর।
নকশা নিয়ে পেশা
কাকরাইলের মাল্টিমিডিয়া সেন্টারের আর্ট অ্যান্ড গ্রাফিকস প্রশিক্ষক মো· হারুন-অর-রশীদ টুটুল বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেগুলো গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত চার মাস, ছয় মাস বা এক বছরের কোর্স পরিচালনা করে। এ পেশায় আসতে চাইলে এর যেকোনো একটি কোর্স করতে হবে। প্রশিক্ষণের সময় কম্পিউটার গ্রাফিকসের বিভিন্ন সফটওয়্যার শেখানো হয়। অ্যাডোবি ফটোশপ, অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর, কোয়ার্ক এক্সপ্রেস অবশ্যই শিখতে হবে। এরপর কাজের প্রয়োজনে বা কাজে বৈচিত্র্য আনতে আরও কিছু সফটওয়্যার শিখে নেওয়া ভালো। এ পেশায় ভালো করতে চাইলে কল্পনাক্ষমতা থাকতে হবে। আর চারুকলা ও নকশা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকলে এ পেশায় ভালো করা যায়। ছবি আঁকা শিখলে তা এ ক্ষেত্রে অনেক কাজে লাগে।’
তিনি আরও জানান, গ্রাফিক ডিজাইনারদের ব্যাপক চাহিদা আছে। পেন্টিয়াম ফোর মানের একটি কম্পিউটার, স্ক্যানার, প্রিন্টার ইত্যাদি যন্ত্রপাতি লাগবে এ পেশা শুরু করতে। কাজ ভালো জানলে এবং পরিশ্রমী হলে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা কঠিন কোনো কাজ নয়।
মুহূর্ত ধরে রাখা
কাজের বাজারে এখন ভিডিও চিত্রগ্রাহকদের বেশ চাহিদা রয়েছে। তাই অনেকেই এটিকে পেশা হিসেবে নিতে আগ্রহী। এ জন্য শুধু ভিডিও ক্যামেরা হাতে তুলে নিলেই তো আর চলবে না; কীভাবে সেটি পরিচালনা করতে হবে, সেটিও জানতে হবে। এ বিষয়ে নিউ সান স্টার ভিডিওর কর্ণধার কাজী সহীদুল ইসলাম পনির জানান, ভিডিও চিত্রগ্রাহক হতে চাইলে ভিডিও ক্যামেরা পরিচালনা করা জানতে হবে। ভিডিওর আদ্যোপান্ত অর্থাৎ ‘হোয়াইট ব্যালেন্স’, ‘লাইট ব্যালেন্স’-এ সবকিছুই শিখতে হবে। এ জন্য কোনো প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতেও এ রকম প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ভিডিওগ্রাফি প্রতিষ্ঠানেও শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করা যায়। এতে কাজও শেখা যায়, পাশাপাশি মোটামুটি অঙ্কের বেতনও পাওয়া যায়। এ পেশায় কাজ শুরু করার আগে ভিডিও ক্যামেরা, সানগান, ২০ থেকে ৩০ গজ তার প্রভৃতি প্রয়োজনীয় উপকরণ কিনে নিতে হবে। এরপর পরিচিতি বাড়াতে হবে। প্রথম দিকে নিজে নিজেই পাড়া-প্রতিবেশীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ভিডিওচিত্র ধারণ করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। এরপর একসময় নিজেও একটি প্রতিষ্ঠান খুলে বসতে পারেন। গ্রাহকের ওপরই নির্ভর করবে এ পেশায় আপনার আয়-রোজগার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন