অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রেমিট্যান্স সেবা চালু করা হয়েছে। ঢাকা ও ইর্স্টান ব্যাংক লিমিটেডের সঙ্গে মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংক যৌথভাবে এ সেবা চালু করেছে।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর স্থানীয় একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান, নির্বাহী পরিচালক চৌধুরী মহিদুল হক, বিটিআরসির চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ পিএসসি, রেমিট্যান্স এ্যান্ড পেমেন্ট চ্যালেঞ্জ ফান্ডের ম্যানেজার রবার্ট স্মিথ, ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার ফজলে রশীদ, ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা ইফতেখার এবং বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ আবু দোমা বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক পর্যায়ে শুধুমাত্র ঢাকাতেই এ মোবাইলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স তোলা যাবে। এর একমাসের মধ্যে সারাদেশে ব্যাংলালিংকের ২ হাজার ২২২টি রেমিট্যান্স সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে এ সেবা পাওয়া যাবে। যারা মোবাইল ব্যবহার করছেন আর যারা করছেন না তারা সকলেই এ সেবা পাবেন। তবে যারা মোবাইল ব্যবহার করছেন না তাদের একটি নিরাপদ ও নির্দিষ্ট ট্র্যানজেকশন রেফারেন্স নাম্বারের মাধ্যমে রেমিট্যান্স তুলতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে রেমিট্যান্স প্রেরণকারী গ্রাহকের কাছে থাকা ওই ট্র্যানজেকশন রেফারেন্স নাম্বারটি প্রয়োজন হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ও বিটিআরসির যৌথ উদ্যোগে দেশে একটি নতুন যুগের সূচনা করা হয়েছে। এখন থেকে ব্যাংকের পাশাপাশি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স সংগ্রহ করা যাবে। এটি শুধু দেশেই নয়, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম উদ্যোগ। তিনি বলেন, প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ যাতে খুব সহজে পাওয়া যায় এবং দেশের বৃহত্তম একটি জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবায় নিয়ে আসা সম্ভব হয় এজন্যই এ পদ্ধতি নেয়া হয়েছে। এখন থেকে কোন ধরনের হয়রানি ছাড়াই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ বাংলালিংকের রেমিট্যান্স শাখা অফিসে গিয়ে টাকা তুলতে পারবেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ৰেত্রে এ পদ্ধতি অনেক গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মানিলন্ডারি নিয়ে গবর্নর বলেন, দেশে-বিদেশে যারা লেনদেন করবেন অবশ্যই তারা সকলে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করবেন। ব্যাংকিং চ্যানেল ছাড়া লেনদেন করা হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশিস্নষ্টদের বিরম্নদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। আইএমএফের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে আইএমএফ যা বলেছে তা আমরা মেনে নিতে পারি না। তারা তাদের কথা বলেছে, কিন্তু বাংলাদেশের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। আইএমএফ বলেছে, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৫-এর বেশি হবে না। আসলে প্রবৃদ্ধি আরও বৃদ্ধি পাবে। কারণ দেশের ব্যাপাক হারে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে, অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ছে এবং মানুষের মাথাপিছু আয়ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব মিলিয়ে দেশের অবস্থা দ্রুত উন্নয়ন হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক চৌধুরী মহিদুল হক বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে মাত্র ১৩ শতাংশের ব্যাংক এ্যাকাউন্ট রয়েছে। বাকি ৮৭ শতাংশের ব্যাংক এ্যাকাউন্ট নেই। ফলে তারা ব্যাংকিং সেবা থেকে দূরে রয়েছেন। মোবাইল ব্যাংকিং হওয়ার ফলে এ সমস্যার সমাধান হবে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষরা এখন থেকে ব্যাংকিং সেবায় আসতে পারবেন
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর স্থানীয় একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান, নির্বাহী পরিচালক চৌধুরী মহিদুল হক, বিটিআরসির চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ পিএসসি, রেমিট্যান্স এ্যান্ড পেমেন্ট চ্যালেঞ্জ ফান্ডের ম্যানেজার রবার্ট স্মিথ, ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার ফজলে রশীদ, ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা ইফতেখার এবং বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ আবু দোমা বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক পর্যায়ে শুধুমাত্র ঢাকাতেই এ মোবাইলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স তোলা যাবে। এর একমাসের মধ্যে সারাদেশে ব্যাংলালিংকের ২ হাজার ২২২টি রেমিট্যান্স সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে এ সেবা পাওয়া যাবে। যারা মোবাইল ব্যবহার করছেন আর যারা করছেন না তারা সকলেই এ সেবা পাবেন। তবে যারা মোবাইল ব্যবহার করছেন না তাদের একটি নিরাপদ ও নির্দিষ্ট ট্র্যানজেকশন রেফারেন্স নাম্বারের মাধ্যমে রেমিট্যান্স তুলতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে রেমিট্যান্স প্রেরণকারী গ্রাহকের কাছে থাকা ওই ট্র্যানজেকশন রেফারেন্স নাম্বারটি প্রয়োজন হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ও বিটিআরসির যৌথ উদ্যোগে দেশে একটি নতুন যুগের সূচনা করা হয়েছে। এখন থেকে ব্যাংকের পাশাপাশি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স সংগ্রহ করা যাবে। এটি শুধু দেশেই নয়, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম উদ্যোগ। তিনি বলেন, প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ যাতে খুব সহজে পাওয়া যায় এবং দেশের বৃহত্তম একটি জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবায় নিয়ে আসা সম্ভব হয় এজন্যই এ পদ্ধতি নেয়া হয়েছে। এখন থেকে কোন ধরনের হয়রানি ছাড়াই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ বাংলালিংকের রেমিট্যান্স শাখা অফিসে গিয়ে টাকা তুলতে পারবেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ৰেত্রে এ পদ্ধতি অনেক গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মানিলন্ডারি নিয়ে গবর্নর বলেন, দেশে-বিদেশে যারা লেনদেন করবেন অবশ্যই তারা সকলে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করবেন। ব্যাংকিং চ্যানেল ছাড়া লেনদেন করা হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশিস্নষ্টদের বিরম্নদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। আইএমএফের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে আইএমএফ যা বলেছে তা আমরা মেনে নিতে পারি না। তারা তাদের কথা বলেছে, কিন্তু বাংলাদেশের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। আইএমএফ বলেছে, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৫-এর বেশি হবে না। আসলে প্রবৃদ্ধি আরও বৃদ্ধি পাবে। কারণ দেশের ব্যাপাক হারে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে, অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ছে এবং মানুষের মাথাপিছু আয়ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব মিলিয়ে দেশের অবস্থা দ্রুত উন্নয়ন হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক চৌধুরী মহিদুল হক বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে মাত্র ১৩ শতাংশের ব্যাংক এ্যাকাউন্ট রয়েছে। বাকি ৮৭ শতাংশের ব্যাংক এ্যাকাউন্ট নেই। ফলে তারা ব্যাংকিং সেবা থেকে দূরে রয়েছেন। মোবাইল ব্যাংকিং হওয়ার ফলে এ সমস্যার সমাধান হবে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষরা এখন থেকে ব্যাংকিং সেবায় আসতে পারবেন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন