সোমবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১২

যে মহিলা বিশ্বাস করতোনা বাংলাদেশ হবে

৭১ সালে লাখ লাখ মানুষ জিয়াউর রহমানের নাম শুনেছিলেন, কিন্তু যুদ্ধের সময় Z-Force এর ৬ শত লোক ব্যতিত অন্যরা তাঁকে দেখেননি। তাঁর চেহারায় যুদ্ধরত সৈনিকের অভিব্যক্তি ছিল; আরও ছিল নীরব নীল বেদনার ঘন ছায়া। যুদ্ধের প্রথম দিকে এই বেদনার ছায়াটি ছিল তাঁর নিজ পরিবারের জন্য দুচিন্তায়, স্ত্রী ক্যানটনমেন্টে। জুনের মাঝামাঝি থেকে এই বেদনার কারণ ছিল লজ্জা; তাঁর স্ত্রী তাঁর কাছে আসবে না, ক্যানটনমেন্টে থাকবে। ক্যনটনমেন্টে অবস্হানরত বেশ কয়েকটি ফ্যামিলীকে সরায়ে ভারতে নিয়ে আসা হয়; জিয়ার স্ত্রীকে আনার জন্য তিনবার চেস্টা চালানো হয়, সে তিনবারই 'না' করে দেয়।
পাকিস্তানী বাহিনীর একজন অফিসার খালেদার দেখাশুনার দায়িত্বে ছিল; সে অফিসার খালেদাকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছিল যে 'ভেতো বাংগালীরা' পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে খড়কুটার মত নিশেষ হয়ে যাবে, জিয়ারা মারা যাবে অথবা ত্রিপুরার জংগলে মশার খাদ্যে পরিণত হবে। সে অফিসার বলেছিল, "বাংগালী তো বাংগালী, পাক আর্মিকে দেখলে ভারতীয় অফিসাররা প্যান্টে পেশাব করে দেয়"। খালেদা নিজের স্বামী থেকে সে অফিসারকে অধিক গুরুত্ব দিত, পাক বাহিনীর শক্তিতে বিশ্বাস করতো, বিশ্বাস করতো মুক্তিযোদ্ধারা পাক বাহিনীর হাতে নিশেষ হয়ে যাবে,বাংলাদেশ কখনো হবে না।
হতভাগ্য জাতি; যে মহিলা বিশ্বাস করতোনা বাংলাদেশ হবে, সে মুর্খকে জাতি তাদের মাথায় স্হান দিলো?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন