বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৫

জি হা,আপনাকেই বলছি মাননীয়া মন্ত্রী তারানা হালিম

মাননীয়া মন্ত্রী তারানা হালিম,
আপনি শুধু ফেসবুক ব্যাবহার করে নাশকতামূলক কাজ করার সম্ভাব্যতা দেখলেন, দেখলেন না এই ফেসবুক থেকে রক্তদানের ডাক পেয়ে ডোনেট করতে ছুটে চলা রক্তযোদ্ধাটার মানবিকতার ঘাম
.
আপনার কাছে মনে হয় ফেসবুক ইজ রুট অফ অল এভিল, কিন্তু আপনি জানেন না এই ফেসবুক থেকে সংগ্রহ কর শত শত কম্বল ট্রাকে চেপে উত্তরের শীতার্ত মানুষের দিকে হিউম্যানিটির লাইট হাউজ ছুটে চলা ছেলে মেয়েগুলোকে
.
আপনার কথা বার্তা শুনে আজকাল মনে হয় ,ফেসবুক ব্যাবহার করে বিশাল অপরাধ করে ফেলছি। কিন্তু সত্যিটা হচ্ছে আপনারই দলের অনেক নেতা যখন মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা কারী দলের কারো গলায় ফুলের মালা পড়ায় এই ফেসবুকেরি ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনায়
.
জি হা ,মন্ত্রী আপনাকে শুনতে হবে আপনি শুনবেন। জানিনা দেশে বন্যা হলে ঠিক কতজন কেবিনেট মেম্বারের হৃদয়ে মানবতার বন্যা নাইমা যায় ,তবে এই ফেসবুকে সারাদিন পরে থাকা সো কলড গুড ফর নাথিং জেনারেশনের ডুডরাই নিজেদের জিন্সের প্যান্টটা গুটাইয়া রিলিফ বিতরণে নাইমা যায়
.
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা আজায়গা কুজায়গা বড় বড় নেতারা বললেও , ইন্ডিয়ার কোন মুভিতে স্বাধীনতা তাহাদের দান বলে ,সব নষ্টের মূল এই ফেসবুক থেকেই প্রথম প্রতিবাদের ঝড় ওঠে
.
রবীন্দ্র ,নজরুল ,হুমায়ূনদের দেশে যখন গল্প লেখা কবিতা লেখা ব্রাত্য হয়ে যায় ,এই ফেসবুক থেকেই দু চার লাইন লেখা ছেলেটা কিংবা মেয়েটা বাংলা ভাষাকে বুকে ধারণ করে সাহিত্যের সংগ্রামে নেমে পরে
.
মাননীয় মন্ত্রী তারানা হালিম, ফেসবুক নাকি দেশের নিরাপত্তার জন্য বিরাট হুমকি হয়ে গেছে। বিরাট হ্যাডমওয়ালা কোন নেতার ভাতিজার SUV এর স্পিডে যখন খেটে খাওয়া রিকশাওয়ালাদের নিরাপত্তা নিয়ে টানাটানি পরে তখন এই নিরাপত্তা হুমকি ফেসবুকই সেই হ্যাডম ওয়ালা নেতার ভাতিজার লুঙ্গি ধইরা টান দিয়া খুইলা দেয়
.
জি হা মন্ত্রী সাহেবা ,শুনতে তিতা হলেও শুনে রাখেন , রাজনৈতিক নেতারা যখন ভোটের আগে কথা দিয়া ভোটের পরে হাওয়া হয়ে যায়, ফেসবুকের মাধ্যমে দেশের জন্য কাজ করা ছেলে মেয়েরা আগে কাজ করে দেখায়
.

.
আপনার মতই একসময় এদেশের মুরুব্বিরা ফেসবুক ব্যাবহারকে সময়ের অপচয় করত। ফেসবুকের ইউজার ছেলে মেয়েদের অপদার্থ বলত। যদিও আজকে বহু মুরুব্বি নেতা, মেয়র ঠেকায় পইড়া ফেসবুকেই ভোটের প্রচারণা চালায়।
কিন্তু শেষপর্যন্ত বাংলা ফেসবুক কমিউনিটি তরুণ প্রজন্মের কমিউনিটি হিসেবেই থাকবে।
.
মাননীয় মন্ত্রী ,পারলে এই চরম প্রতিভাবান ইয়ুথ কে কাজে লাগান। দেশ কোথায় গিয়ে পৌছে দেখেন। তবে আপনি যতই নজরদারি করেন আর খবরদারি করেন
বুকে একটুকরো বাংলাদেশ নিয়ে চলা ফেসবুকের এই রক্তযোদ্ধারা ,ভলান্টিয়ার, গল্পকথকরা ভালোর যুদ্ধটা চালিয়ে যাবেই

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন