রবিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৫

যত ইচ্ছা ঝোল খাব, বাধা দিলে জামায়াত-শিবির


সবাই ফ্রান্সের বর্বর হামলা নিয়ে ব্যস্ত।কিন্তু দেশে যে এত বড় মানবতা বিরোধী অপরাধ হয়ে গেলো,কেউ একটা প্রতিবাদও করলো না।

কি দোষ করেছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক এম এ মমিন পাটওয়ারী।না হয় ফাও একটু ঝোলই খেতে গিয়েছিলেন। তাতে কি হয়েছে। এজন্য গণপিটুনি দিতে হবে! এই গণপিটুনির তীব্র নিন্দা করা উচিত।

গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে একই উপজেলার একটি কলেজ পড়ুয়া মেয়ের বাড়ির বাইরে অসামাজিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় তাঁদের ধরে ফেলেন লোকজন। পরে মমিন পাটওয়ারীকে ধরে গ্রামের লোকজন গণপিটুনি দেন। 

তিনি কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগের নেতা। অথচ তারঁ পক্ষে কোনো নেতার বক্তব্য পেলাম না। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।বিপদের সময় দল যদি পাশে না দাঁড়ায় তবে কবে দাঁড়াবে।

অথচ এ বিষয়ে রামগঞ্জ উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দেওয়ান বাচ্চু বলেন, বিয়ে করবেন বলে কথা দিয়ে ওই মেয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে অসামাজিক কাজ করে আসছেন মমিন পাটওয়ারী। গতকাল রাতে দুজনকে বাড়ির বাইরে আপত্তিকর পেয়ে গণপিটুনি দেওয়ার কথা শুনেছি। এটি ন্যক্কারজনক ঘটনা।

মমিন পাটওয়ারী অবশ্য স্বভাব সুলভ ভাবেই বলছেন, গতকাল রাতের ঘটনাটি পরিকল্পিত। জামায়াত-শিবিরের ৭-৮ জন লোক তাঁর ওপর হামলা করেছে।

সুতরাং ঐ এলাকায় লোকজনদের নামে মামলা করা হোক এবং মিনিমাম ১০০ লোককে রিমান্ডে নিয়ে এই মর্মে স্বীকারোক্তি আদায় করা হোক, এম এ মমিন পাটওয়ারী যত ইচ্ছা ঝোল খাবে,যারা বাধা দিবে তারাই জামায়াত-শিবিরের লোক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন