রবিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৫

জোর যার মূল্লুক তার।

বাস্তব জীবনে কিছুদিন পর পর একেকটা ঘটনা ঘটে, আর তার বিশাল বিশাল সব ঢেঁও এসে আঁছড়ে পরে সামাজিক গনমাধ্যমগুলোতে।আর আমার মতো কিছু ফেবু, টুইটার অথবা ব্লগের পোকারা মেতে উঠি সেগুলো নিয়ে।

মানবাধীকার থেকে শুরু করে জঙ্গীবাদের চৌদ্দগোষ্ঠী হয়তো এতক্ষণে চৌদ্দহাজারেরও বেশি বার উদ্ধার করে ফেলেছেন অনেকে।

গতকালের এই ঘটনার পর, আজ ফেবু কর্তৃপক্ষ নিজে থেকে সেধে আপনার পিক কালার করে দিচ্ছে, টুইটারে বিশেষভাবে আহ্বান চলছে প্যারিস কর্তৃক পোস্ট করার জন্য, তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য, ইতিমধ্যেই বেশকিছু দেশীয় চ্যানেলে প্রচার হয়ে গেছে বা হচ্ছে 'প্যারিস হামলা কর্তৃক আলোচনা' টাইপ অনুষ্ঠান।

সত্য কথাটা জানেন কি?
আসলে জোর যার মূল্লুক তার।

সেটা না হলে, ফ্রান্সের পতাকার বহু আগেই ফেসবুক সয়লাব হতো ইরাক, আফগানিস্থান, ফিলিস্তিন, সিরিয়া, মায়ানমার কিংবা আফ্রিকার শোষিত নীপিড়িত দেশগুলোর জাতীয় পতাকায়।
টুইটারের টুইটে হাজার হাজার রিপোর্ট হতো যেখানে উঠে আসতো ইসরাইলি পিশাচদের গুলিতে নিহত হওয়া ফিলিস্তিনি শিশুদের শেষ চিতকারগুলো।

কই ??
কিছুই তো এতোদিন আসেনি।
তবে আজ কেন এতো কোলাহল??
এখানে তো কেবল দেরশোটা প্রান গিয়েছে কিন্তু যেখানে দের হাজার, দেরলাখ লাশের স্তুপেও যাদের ঘুমন্ত চোখ কিছুই ধরা পড়ে না, সেখানে এই দেরশো জনের কি আলাদা বৈশিষ্ট্য কিংবা সকিয়তা আমাদের আকৃষ্ট করছে?? তবে কি এই দেরশো জনই মানুষ? অন্যরা কুকুর, বেড়াল, নাকি শেয়ালের বাচ্চা????

আমার দেশে রাস্তাঘাটে মানুষ মরছে, কথা বললে গলা কাটা হচ্ছে, কিছু দেখলে চোখ উপড়ে ফেলা হচ্ছে, মানবাধীকারের হন্তদন্ত করে চৌদ্দটা বাজানো হচ্ছে।

কই???
কেও তো বুক এগিয়ে বের হয়ে আসছে না তা রুখতে?
আমরা আমাদের সকিয়তা হারিয়ে ফেলছি।আমরা ভেদাভেদ করতে শিখে গেছি। মানুষকে প্রাণী ভাবতে শিখে গেছি।
অথচ,মানুষ হিসেবে মানুষের সেবা করবো এমনটিই মূল মন্ত্র হওয়া উচিত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন