বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

জহির রায়হান বাংলাদেশের লস্ট আইকনের নাম

ঢাকা কলেজের ছাত্র ছিল ছেলে । ছেলেবেলায় একের পর এক কবিতা লিখত ছেলে ,শুনাত আবার ছিড়ে ফেলত। মা জিজ্ঞেস করত
- ছিড়ছ কেন জহির
ছেলে উত্তর দিত এটাত শুনাই ফেলসি রেখে কি হবে। পুরাই তাড়ছিড়া
ফেনীর ছেলে ছিল। কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিলে কমরেড মনি সিংহ তার নামের শেষে লাগিয়ে দিলেন রায়হান। ছেলের নাম হয়ে গেল জহির রায়হান । বায়ান্নর এর আইয়ুব সরকারের চাপিয়ে দেয়া ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে মিছিলে নাম লেখান প্রথম দশজনের একজন ছিলেন জহির রায়হান।
৭১ এ যুদ্ধ শুরু হলে বর্ডার পেরিয়ে স্বাধীন বাংলা বেতারে যোগদানের জন্য রওনা দেয়ার আগে ভাই জাকারিয়া হাবীব কে জহির রায়হান বলেছিলেন “চলি আবার দেখা হবে, সুদিনে এই বাংলায়। ... আমার জন্য কোন চিন্তা করো না। পথের মানুষ আমি পথেই নেমে গেলাম।”প্রতিবাদ আন্দোলন রাস্তায় হতে পারলে গণমাধ্যম আর সিনেমাতেই হবে"
ফিল্ম প্রমোশনের জগতে এক নতুন ধারার প্রচলন করেন জহির রায়হান। মুভির পোস্টারে দু চারটা শব্দে পুরো মুভির গল্পটা বুঝিয়ে দিয়ে দর্শকের মনে থ্রিল জাগিয়ে হলে আসতে বাধ্য করার এক অদ্ভুত আইডিয়া আসল তার মাথায়। তখন বানাচ্ছেন জীবন থেকে নেয়া। জীবন থেকে নেয়ার পোস্টারে জহির রায়হান এই আইডিয়া কাজে লাগান। জীবন থেকে নেয়ার প্রমোশনে লেখা ছিল
একটি দেশ
একটি সংসার
একটি চাবির গোছা
একটি আন্দোলন...
এই কয়েকটা শব্দ দেখেই যে কেউ ভাববে চাবির গোছা ,আন্দোলন কাহিনীটা কি? মুভিটা দেখতে হয়।
This is Genius Jahir Raihan
৭২ সালের জানুয়ারীর আজকের এই দিনে প্রাণপ্রিয় ভাই শহীদুল্লাহ কায়সার কে খুজতে গিয়ে মিরপুর বিহারী ক্যাম্পে যান জহির রায়হান। চুয়াল্লিশ বছর চলে গেল আজো জহির রায়হান ফিরে আসেনি
জহির রায়হান এক মিথের নাম। জহির রায়হান কি দিতে পেরেছে তার চাইতে আফসোসের হল জহির রায়হান কি পারত আমাদের
একটা অস্কার
একটা মুভি ইন্ড্রাস্ট্রী
আজকে বলিউডের রাজত্ব দেখলে আফসোস লাগে।
আমাদের একজন জহির রায়হান ছিল আমরা হারিয়েছি
আমাদের সালমান শাহ ছিল অকালে হারিয়েছি তাকেও
জিনিয়াস জহির কে চিনে নিও প্রজন্ম। আমাদের অন্য দেশের আইকন লাগেনা আমাদের আপন আইকনদেরকে জেনে নিও

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন