মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৫

ক্রাশ খাওয়া আর মুগ্ধ হওয়া এক কথা না

ক্রাশ খাওয়া আর মুগ্ধ হওয়া এক কথা না। হালের আবিস্কার ক্রাশ যেমন বলিউডের কোন নায়কের সিক্স প্যাকের উপর খাওয়া যায় তেমনি কাটাবনের কুকুরের খাচার ডগির উপরও খাওয়া যায়। কিন্তু মুগ্ধ সবকিছুতে হওয়া যায়না। মুগ্ধ হওয়ার মধ্যে একটা আন্তরিকতার ব্যাপার আছে। বাঙ্গালীত্বের ব্যাপার আছে
.
শর্ট স্কার্টের কোন মেয়েকে দেখে আপনি বড়জোড় স্মার্ট সিজলিং বলতে পারবেন। কিন্তু আপনার অস্থিত্ব কে কাপিয়ে দেয়ার ক্ষমতা শুধুমাত্র ওই লাল পাড় সাদা শাড়ির আলতা পায়ের বাংলাদেশের মেয়েটারই আছে
.
সিক্সপ্যাক দেখে আপনি বড়জোড় ও এম জি বলতে পারবেন। কিন্তু আপনার দিন রাত এক করে দেবে সাদা পাঞ্জাবিতে সরল বাঙ্গালী যুবক
.
আপনি দিনে রাতে ক্রাশ খাবেন। হালের অত্যা আধুনিকা ফটোসুন্দরি এবং ফটোসুন্দর ইয়ো মডেল কাম অভিনেতাদের উপর কিন্তু দিনের শেষে জীবনের ভাগ দিতে ওই সহজিয়া বাঙ্গালী ছেলে মেয়েগুলোকে খুজবেন
.
আপনার মাথা ঝিম ঝিম করবে। নাওয়া খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। কারো খোপার রক্তজবা দেখে। হৃদয়ে জ্বর উঠানোর ক্ষমতা খোপায় জবা ফুলের আছে প্যারিসের পারফিউমের না।
.
আপনার কিশোরী গালে হাল্কা লাল আভা এনে দেবে কোন এক পাঞ্জাবিওয়ালার গালের খোচা খোচা দাড়ি।
.
মুগ্ধ আপনি জীবনে খুব বেশী হবেন না। কদাচিত হবেন। ভালোবাসার মানুষটা হুটহাট মুগ্ধ করবে আপনাকে। সে মুগ্ধতা হবে অন্তরের মনি। সযতনে তুলে রাখা হবে।
.
কোন এক শীতের রাতে এক চাদরে উষ্ণতা ভাগাভাগি করার সময় তার গালে চেরাগের আভা দেখে মুগ্ধ হবেন আপনি। এমন মুগ্ধ তাজমহল ও আপনাকে করতে পারবে না। মুগ্ধতার একটা প্রাণ আছে। মুগ্ধতা আপনজনেরা দেয়। মাখামাখি করে।
.
ক্রাশ তো চুইংগাম চাবাতে চাবাতে বারোবার খাওয়া যায়। মুগ্ধতা অনেক দামী জিনিস। লুকায় রাখতে হয়। মুগ্ধতার মানুষটাকেও আদরে বেধে রাখতে হয়

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন