রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

পবিত্র কোরবানি ও ঈদুল আজহা

আগামী দিনই আমার এখানে (মালয়েশিয়া) পবিত্র কোরবানি ও ঈদুল আজহা । আর তাই সবাই কে জানাই পবিত্র কোরবানি ও ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা ও হৃদয় নিংড়ানো অভিনন্দন

আল্লাহ পাকের প্রতি অপার আনুগত্য এবং তাঁরই রাহে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের এক ঐতিহাসিক ঘটনার স্মরণে মুসলিম বিশ্বে ঈদু-উল-আযহা উদযাপিত হয়ে আসছে। ইসলামের পরিভাষায় কোরবানি হলো- নির্দিষ্ট পশুকে একমাত্র আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে তাঁরই নামে জবেহ করা।

কোরবানি সমক্ষে সূরা হজে বলা হয়েছে, ‘‘এগুলোর গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, কিন্তু তোমাদের তাকওয়া অর্থাত্ আল্লাহ ও তাঁর নির্দেশের বিষয়ে সতর্কতা ও ভীতি পৌঁছে যায়।’ প্রত্যেক আর্থিক সামর্থ্যবান মুসলমানের ওপর কোরবানি ওয়াজিব করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকার পরও কোরবানি দিলো না, সে যেন আমার ঈদগাহে না আসে’’ (মুসনাদে আহমদ)। আল কুরআনের সূরা কাউসারে বলা হয়েছে, ‘‘অতএব তোমার পালনকর্তার উদ্দেশে নামাজ পড় এবং কোরবানি কর।’’ সূরা হজে বলা হয়েছে, ‘‘কোরবানির পশু মানুষের জন্য কল্যাণের নির্দেশনা।’’

জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখের যে কোন একদিন কোরবানি করা যায়। গরু, মহিষ, উট, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা এ শ্রেণীর প্রাণী কোরবানি করা যায়। কোরবানিকৃত পশুর ৩ ভাগের ১ ভাগ গরীব-মিসকিন, একভাগ আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে বিলিয়ে দিতে হয়। আবার পুরোটাই বিলিয়ে দেয়া যায়।বাই দ্য ওয়ে,পুরোটাই কিন্তু আবার নিজের কাছে রাখা জায়না!

ঈদ মুসলিম উম্মাহ্র জাতীয় বাত্‍সরিক আনন্দ-উত্‍‌সব এর দিন। এইদিনে ধনী-গরীব, বাদশাহ্-ফকির নির্বিশেষে সব মুসলমান এক কাতারে ঈদের নামাজ আদায় করে, একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে। আর তাই কাজী নজরুলর ইসলাম বলেছিলেন: ‘আজি আরাফাত ময়দান পাতা গায়ে গায়ে,/কোলাকুলি করে বাদশাহ্-ফকিরে, ভা’য়ে ভা’য়ে’..


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন