বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

আমাদের এই আশাটিকে বাঁচিয়ে রাখুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

হাজারো সমস্যায় জর্জরিত আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমি। অশিক্ষা, দারিদ্র্য, জনসংখ্যার চাপ, সন্ত্রাস, মাদক সবকিছু প্রতিদিন আমাদের গলা চেপে হত্যা করতে চায়, তারপও বেঁচে থাকার অপার তাগিদের মধ্য দিয়ে আমরা বেঁচে থাকি, স্বপ্ন দেখি কোন একদিন দু'বেলা পেট ভরে খেতে পারবো, পাবো একটি নিরাপদ বাসস্থান। এভাবেই আমাদের দিন যায়, স্বপ্ন দেখতে দেখতে আমরা ক্লান্ত হই, শংকিত হই অনিশ্চিত ভবিষ্যতের চিন্তায়।

আমার এ লেখার উদ্দেশ্য হচ্ছে সদ্য শৈশব থেকে কৈশরে উত্তীর্ণ হওয়া দেশের কয়েকজন মেধাবী সন্তানকে নিয়ে। তারা বাংলাদেশ অনুর্ধ ১৬ মহিলা ফুটবল দলের সদস্য।

নিউজটা শুনে হতবাক আমি !ওদের জন্য আলাদা কোন গাড়ির ব্যবস্থা করেনি ফেডারেশন। ফেডারেশনের দায়তো অবশ্যই আছে কিন্তু যারা তাদের অপমান করলো ? না হয় বাদই দিলাম ওরা বাংলাদেশের জন্য কি করেছে সেটা এদের মতো নিচু মানুষিকতার কোন মানুষ রুপি অমানুষদের পক্ষে বুঝা সম্ভব না কিন্তু ফেডারেশন ?

হারতে হারতে আমরা যখন বিশ্ব দরবারে আত্মপরিচয় সংকট এবং উপহাসে আমাদের মাথা নুইয়ে আসতে চায়। তখন এই মেয়েগুলোকে পাওয়া আমাদের কাছে সৌভাগ্য ও আশার সঞ্চার করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি এই মেয়েদের যত্ন নিন, প্রশিক্ষণ সহ তাদের অন্যান্য মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করুন। মুহুর্মুহু পরাজয়ের ভীড়ে আমাদের এই আশাটিকে বাঁচিয়ে রাখুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

জানি সব সমস্যার জন্য আপনার শরণাপন্ন হওয়া সমীচীন নয়, এক প্রধানমন্ত্রী পক্ষে সবদিক দেখা সম্ভবও নয়। কিন্তু কি করবো বলুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আর তো কেউ নেই যার কাছে চেয়ে পাওয়ার আশা করতে পারি। যারা পাঁচ তারকা হোটেল ভাড়া নিয়ে নির্বাচন করতে পারে কিন্তু এই মেয়েদের বাড়ি পৌঁছে দেয়ার জন্য একটি গাড়ি ভাড়া করতে পারে না তাদের কাছে চাইতে যাওয়াটাও তো লজ্জার। তাই বাধ্য হয়ে আপনার শরণাপন্ন হলাম। আপনার একটু সুদৃষ্টি সম্ভাবনাময় এই মেয়েদের কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে। এনে দিতে পারে লাল সবুজের একটি বিশ্বজয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন