মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৬

ক্রিকেটে মোড়লদের অনাচার নতুন কিছু না

২য় ম্যাচে ২৩৮ রানে বাংলাদেশকে আটকে ফেলে ভেবেছিলো সিরিজ হাতের মুঠোয়, ধবল ধোলাইয়ের মিশন নিয়ে। কিন্তু বাঘেদের বোলিং বিষে নীল হবার পর বুঝলেন এই বাঘ জিম করবেটের আমলের বাঘ না। ফলে মেজাজ আর কন্ট্রোলে থাকলো না !

ইংলিশ ক্যাপ্টেন জোস বাটলার টাইগার্সদের উইকেট পাওয়ার সেলিব্রেশনটা মন থেকে মানতে পারেননি। আর তাই খেলা শেষেও তামিম হ্যান্ডসেক করার জন্য জনি বেয়ারস্টো'র দিকে হাত বাড়ালে তিনি তাতে সাড়া দেননি।বেয়ারস্টো হাত না বাড়ালে তামিম তাকে বোঝাতে গিয়ে তার (বেয়ারস্টো'র) পিঠে হাত রাখেন। তিনি ওটাও ভালো ভাবে নেননি। এ সময় অপর ইংলিশ খেলোয়াড় বেন স্টোকস এক পর্যায়ে তামিমকে ধাক্কা দেয়। 




সব চেয়ে অবাক কান্ড করেছেন আইসিসির ম্যাচ রেফারি। যিনি তেড়ে গেলেন তিনি ভালো, ভদ্রলোক। যারা আনন্দ করলো তারা দোষী। যিনি টুইট করে হুমকি দিলেন তিনি তো ডাকই পেলেন না। মাঠের আম্পায়ারগণ আম্পায়ারিং হারাবার ভয়ে রিপোর্ট করার সাহস পেলেন না।


দ্বিতীয় ওয়ানডে'র মাঠের ওই ঘটনায় মাশরাফি ও সাব্বিরের ম্যাচ ফি'র ২০ ভাগ কেটে নিয়েছে আইসিসি। আর মূল অপরাধী জোস বাটলারকে একটু ইসারায় চোখ রাঙিয়ে দিয়েছে।এতদিন আমরা ক্রিকেটকে সবচেয়ে ভদ্র খেলা হিসেবে জানতাম। কিন্তু ইংলিশরা যখন হারে তখন এটা আর ভদ্র খেলা থাকে না। এটা তখন তাদের পেস্টিজ পাংচারের দেমাগে আচর কাটে। আইসিসি'র বড় মাতবরও তারা। তাই নিজেদের মত বিচার করছে। গত দুই বছরে মোট চারবার ওরা আমাদের কাছে হারছে। আগামি কাল হারলে সংখ্যাটা হবে ৫। পুরা এক হাত!!

আসলে ক্রিকেটে মোড়লদের অনাচার নতুন কিছু না । একসময় গ্যারি গিলমোরের (অস্ট্রেলিয়া) বল সবচেয়ে দ্রুতগতির বলে রেকর্ড ছিলো। শোয়েব আক্তার যখন একশ মাইল স্পীডে বল করলো। তখন বলা হলো স্পীড গানের মেশিনে গোলমাল আছে। শেন ওয়ার্ন স্পিনার হিসাবে নিঃসন্দেহে সর্বকালের সেরাদের একজন। তাঁর রেকর্ড বাঁচাবার জন্য মুরলীধরনের জীবন অতীষ্ট করেদিল মোড়লরা। অস্ট্রেলিয়ার আম্পায়ার ডেরিল হার্পার নো-বল ডাকতে ডাকতে হাত ব্যাথা করে ফেললেন। কতবার যে মাঠ থেকে তাঁকে বাইরে থাকতে হয়েছে। কতোবার যে পরীক্ষা দিয়ে মাঠে ফিরতে হয়েছে। সব মিলে অন্তত বছর দুয়েক খেলা থেকে বাইরে থাকলেন। কিন্তু ওপরওয়ালার বিচার বড়োই কঠিন ! মুরলীই পেলেন টেস্টের ৮০০ উইকেট। শেন প্রায় ১০০ উইকেট পেছনে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন