অস্থায়ী
বোলিং কোচ ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর সাবেক ফাস্ট বোলার অ্যান্ডি রবার্টসের নজর
কেড়ে জায়গা করে নেন এ-দলে আর এ-দলের হয়ে একটিমাত্র ম্যাচ খেলেই জাতীয়
দলে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পান। ৮ নভেম্বর, ২০০১ এ বঙ্গবন্ধু জাতীয়
স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে তার পথচলা । ওয়েস্ট
ইন্ডিজ এর কোচ অ্যান্ডি রবার্টস এর হাত ধরেই ক্রিকেট টিমের সাথেই পথ চলা
তিনি আমাদের মাশরাফি বিন মুর্তজার (পাগলা)।
হা এটা সত্য টেস্টে তার এক ইনিংসে ৫ উইকেট নেই। ওয়াসিম, ম্যাকগ্রার মতো শত শত উইকেট নেই তার। ব্রেট লি, শোয়েব আখতারের মতো গতিদানব নন তিনি। ক্রিকেটের পরিসংখ্যান, স্পিড গানের হিসাব দিয়ে যাকে চেনা যাবে না। কাগজ-কলম আর বই খুলে যাকে চিনতে পারবেন না। শুধু টেলিভিশন আর ছাপার অক্ষর যার পরিচয় দিতে পারবে না। সেই আমাদের মাশরাফি বিন মুর্তজা আমাদের পাগলা।
তবে হে নিঃসন্দেহে তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার। এই দেশের প্রথম গতিতারকা। মাশরাফি বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল অধিনায়কের একজন। মাশরাফি দেশের ক্রিকেটারের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণার নাম। ক্রিকেটার কেবল নয়, কোনো জাতির ইতিহাসে এমন মানুষই আসে শতবর্ষের আরাধনায়। মাশরাফি হলো গ্রিক ট্র্যাজেডি আর ভারতীয় রোমান্টিকতার মিশেলে এক মহাকাব্য।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম লিজেন্ড তিনি- যার জন্যে সম্পুর্ন অচেনা অজানা মানুষটাও পার্সোনাল ত্যাগ করতে রাজি হয়ে যাবে। তিনি বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেট খেলোয়াড়- যে কিনা সবার কাছ থেকেই শর্তহীন ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, বন্ধুত্ব পেয়েছে। ক্রিকেটার মাশরাফির থেকে বড় অর্জন আজ অনেক জুনিয়র ক্রিকেটারেরই আছে, কিন্তু ব্যক্তি মাশরাফির যে ব্যক্তিত্ব আর সবার কাছে থেকে তিনি যে সম্মানটা পান সেই অর্জন আর কারো নেই। সুপারস্টার ক্রিকেটার আজ আছে আমাদের দলে, তবে লিজেন্ড নেই মাশরাফির মত।
আমাদের পাগলা টাকার লোভে নাচেন না। নৈতিকতার প্রশ্নে আপসহীন তিনি ত্যাগ করতে রাজি কাছের বন্ধুকেও। আবার বন্ধু অন্তপ্রান মাশরাফি আইপিএল থেকে পাওয়া কোটি টাকা দিয়ে কি করবেন জানতে চাইলে বলেন, রানার বাসায় কিছু টাকা দেয়া লাগবে, আমাদেরই তো বাসা ঐটা।
আর তাইতো দুরারোগ্য রোগের রোগী ফ্যান জানায়, লিগামেন্ট প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হলে আমার কাছ থেকে নিন, জীবিত মানুষের লিগামেন্ট লাগালে আপনি আরো কয়দিন বেশি খেলতে পারবেন। এই মাশরাফি যখন নিজের স্ত্রীর জন্যে যখন রক্তের ব্যাংকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন, সম্পুর্ন অচেনা মানুষ এগিয়ে এসে নিজের হাতের রক্তের প্যাকেট এগিয়ে দেয়। মাশরাফির শরীরে ইঞ্জুরি হয়নি এমন জায়গা কম । মেডিক্যাল মিরাকল এই মানুষটার শেষ জীবন কাটবে হুইল চেয়ারে, তীব্র ব্যথায়- এই নিষ্ঠুর সত্য জেনেও তিনি লাফিয়ে পড়েন মাঠে ক্যাচ ধরতে। কারন তিনি মাশরাফি তিনি আমাদের পাগলা।
১৬ কোটি মানুষের ভরসা নিয়ে নামেন তিনি মাঠে। মাথায় লাল সবুজের পতাকা বেধে যান ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে। দল থেকে বাদ পড়ার খবর শুনলে কাঁদেন, দলের কোন ছোটভাই কাদলে তাকে থামাতে সবার আগে নিজে ছুটে যান।
গতকালই তিনি নিজেই অবসরের ঘোষণা দিলেন আর বলেন ''নিউজিল্যান্ড সফরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেট পেয়েছিল রুবেল। ভালো করার পরও লঙ্কানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে নেই। তার না থাকাটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না ।মনে হলো ও (রুবেল) আমার জন্য খেলতে পারছে না। আমাদের পেসারদের দিকে তাকিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার জন্য এটাই সবচেয়ে ভালো সময়, এটা আমাদের তরুণ বোলারদের গড়ে তোলার জন্য সঠিক সময়। টি-টোয়েন্টিতে খেলে কিছু অভিজ্ঞতা নিয়ে ওয়ানডে, টেস্টের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে পারবে। আমার সিদ্ধান্তে পেছনে এটি আরেকটি বড় ব্যাপার। ''
একটা মানুষ আর কত দিবে? জুনিয়র ভাইদের সুযোগ তৈরি করেদিতে আজ নিজের জায়গাটাও ছেড়ে দিলেন আর এ যেন শুধু মাশরাফির পক্ষেই সম্ভব।
হা এটা সত্য টেস্টে তার এক ইনিংসে ৫ উইকেট নেই। ওয়াসিম, ম্যাকগ্রার মতো শত শত উইকেট নেই তার। ব্রেট লি, শোয়েব আখতারের মতো গতিদানব নন তিনি। ক্রিকেটের পরিসংখ্যান, স্পিড গানের হিসাব দিয়ে যাকে চেনা যাবে না। কাগজ-কলম আর বই খুলে যাকে চিনতে পারবেন না। শুধু টেলিভিশন আর ছাপার অক্ষর যার পরিচয় দিতে পারবে না। সেই আমাদের মাশরাফি বিন মুর্তজা আমাদের পাগলা।
তবে হে নিঃসন্দেহে তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার। এই দেশের প্রথম গতিতারকা। মাশরাফি বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল অধিনায়কের একজন। মাশরাফি দেশের ক্রিকেটারের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণার নাম। ক্রিকেটার কেবল নয়, কোনো জাতির ইতিহাসে এমন মানুষই আসে শতবর্ষের আরাধনায়। মাশরাফি হলো গ্রিক ট্র্যাজেডি আর ভারতীয় রোমান্টিকতার মিশেলে এক মহাকাব্য।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম লিজেন্ড তিনি- যার জন্যে সম্পুর্ন অচেনা অজানা মানুষটাও পার্সোনাল ত্যাগ করতে রাজি হয়ে যাবে। তিনি বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেট খেলোয়াড়- যে কিনা সবার কাছ থেকেই শর্তহীন ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, বন্ধুত্ব পেয়েছে। ক্রিকেটার মাশরাফির থেকে বড় অর্জন আজ অনেক জুনিয়র ক্রিকেটারেরই আছে, কিন্তু ব্যক্তি মাশরাফির যে ব্যক্তিত্ব আর সবার কাছে থেকে তিনি যে সম্মানটা পান সেই অর্জন আর কারো নেই। সুপারস্টার ক্রিকেটার আজ আছে আমাদের দলে, তবে লিজেন্ড নেই মাশরাফির মত।
আমাদের পাগলা টাকার লোভে নাচেন না। নৈতিকতার প্রশ্নে আপসহীন তিনি ত্যাগ করতে রাজি কাছের বন্ধুকেও। আবার বন্ধু অন্তপ্রান মাশরাফি আইপিএল থেকে পাওয়া কোটি টাকা দিয়ে কি করবেন জানতে চাইলে বলেন, রানার বাসায় কিছু টাকা দেয়া লাগবে, আমাদেরই তো বাসা ঐটা।
আর তাইতো দুরারোগ্য রোগের রোগী ফ্যান জানায়, লিগামেন্ট প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হলে আমার কাছ থেকে নিন, জীবিত মানুষের লিগামেন্ট লাগালে আপনি আরো কয়দিন বেশি খেলতে পারবেন। এই মাশরাফি যখন নিজের স্ত্রীর জন্যে যখন রক্তের ব্যাংকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন, সম্পুর্ন অচেনা মানুষ এগিয়ে এসে নিজের হাতের রক্তের প্যাকেট এগিয়ে দেয়। মাশরাফির শরীরে ইঞ্জুরি হয়নি এমন জায়গা কম । মেডিক্যাল মিরাকল এই মানুষটার শেষ জীবন কাটবে হুইল চেয়ারে, তীব্র ব্যথায়- এই নিষ্ঠুর সত্য জেনেও তিনি লাফিয়ে পড়েন মাঠে ক্যাচ ধরতে। কারন তিনি মাশরাফি তিনি আমাদের পাগলা।
১৬ কোটি মানুষের ভরসা নিয়ে নামেন তিনি মাঠে। মাথায় লাল সবুজের পতাকা বেধে যান ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে। দল থেকে বাদ পড়ার খবর শুনলে কাঁদেন, দলের কোন ছোটভাই কাদলে তাকে থামাতে সবার আগে নিজে ছুটে যান।
গতকালই তিনি নিজেই অবসরের ঘোষণা দিলেন আর বলেন ''নিউজিল্যান্ড সফরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেট পেয়েছিল রুবেল। ভালো করার পরও লঙ্কানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে নেই। তার না থাকাটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না ।মনে হলো ও (রুবেল) আমার জন্য খেলতে পারছে না। আমাদের পেসারদের দিকে তাকিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার জন্য এটাই সবচেয়ে ভালো সময়, এটা আমাদের তরুণ বোলারদের গড়ে তোলার জন্য সঠিক সময়। টি-টোয়েন্টিতে খেলে কিছু অভিজ্ঞতা নিয়ে ওয়ানডে, টেস্টের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে পারবে। আমার সিদ্ধান্তে পেছনে এটি আরেকটি বড় ব্যাপার। ''
একটা মানুষ আর কত দিবে? জুনিয়র ভাইদের সুযোগ তৈরি করেদিতে আজ নিজের জায়গাটাও ছেড়ে দিলেন আর এ যেন শুধু মাশরাফির পক্ষেই সম্ভব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন