বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৭

কেউ কেউ খেলতে নামে না বরং যুদ্ধে নামে

২০০৯ সালে কৌশিক বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছিল। প্রথম ম্যাচেই ইঞ্জুরিতে পড়েন কৌশিক তারপর দেড় বছর পর আবার ফিরে এসে কৌশিক থেকে একজন সফল অধিনায়ক মাশরাফি হওয়ার গল্প পৃথিবীর ইতিহাসে আর দ্বিতীয়টি নেই ।

শুনেছি একজন সৌরভ গাঙ্গুলি যে কিনা ভারতের আইডল এন্ড আইকন ক্রিকেটার সে বলছে, 'ইশ!! আমাদের যদি একটি মাশরাফি থাকতো ।'

কেনো বলবে না? যে ক্রিকেটার ইনজুরি নিয়েও বলতে পারে, 'ফ্যাকচার যেহেতু নেই তাই পেইন কিলার নিয়ে খেলতে নামবো কোন অসুবিধা হবে না কারণ গত ম্যাচও তো পেইন কিলার খেয়েই খেলেছি।'

বুকে হাত দিয়ে কোন খেলোয়ার কি মাশরাফির মতো বলতে পারবে, আমার পায়ে হাজারটা অস্ত্রোপচার হোক তবুও আমি এই দৌড় থামাতে চাই না। আমি বিশ্বাস করি আমাদের মাশরাফিকে প্রজন্ম কখনো হারবে না । আমাদের সফল হওয়ার জন্য আব্রাহাম লিংকনের জীবন কাহিনী লাগবে না একজন মাশরাফির জীবন কাহিনীই যথেষ্ট।

#ম্যাশের_অবসর_নিয়ে_আমি_একটি_কথায়_বলবো,
হুইল চেয়ার নিয়ে দ্রুত বেগে আসছেন মাশরাফি বল ছুড়ে মারলেন ঠিক অফ স্টাম্পের উপর দিয়ে। ব্যাটসম্যান অলতো করে ক্যাচ উঠিয়ে দিয়ে প্যাভলিয়নে ফিরে গেলেন।এমন দৃশ্য আমি অন্তত দেখতে চাই না।

সেই কবে থেকেই দেখতেছি মানুষটা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে খেলে যাচ্ছে। আমি খেলা চাই না আমি মাশরাফিকে চাই। আমি তাকে পঙ্গু দেখতে চাই না। আপনারা কি তাকে পঙ্গু করে মেরে ফেলবেন? আসেন তাকে জোর করে অবসরে নিয়ে যাই না হলে এই ক্রিকেট পাগলা একদিন খেলতে খেলতে মাঠেই মারা যাবে ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন