মোবাইল এবং কম্পিউটার আমাদের বর্তমান জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে দিন যতই যাচ্ছে ততই কম্পিউটারের জায়গা দখল করে নিচ্ছে মোবাইল ফোন। এখন শুধু ব্যক্তিগত জীবনে নয় অফিসিয়াল কাজ থেকে শুরু করে ব্যবসায়িক কাজেও মোবাইল নির্ভর হয়ে উঠছে সবাই। বিজ্ঞানের অতিমাত্রায় সফলতার কারণে এখন মোবাইলের মাধ্যমেই কম্পিউটারের সব কাজ করা যাচ্ছে। টেক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মোবাইল অচিরেই এ হাইটেক ডিভাইসটিরও ভাত মারবে। মোবাইল আগ্রাসনের কাছে হার মানছে অতি ছোট্ট আকৃতির ল্যাপটপও।
বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও সহজলভ্যতা হওয়ার বয়স বেশি দিনের নয়। এখন জনসংখ্যার এক বশাল অংশের হাতেই শোভা পাচ্ছে মোবাইল ফোন। প্রচন্ড দ্রুতগতিতে পাল্টে যাচ্ছে মোবাইল ফোনে প্রযুক্তির ব্যবহারও। কোম্পানিগুলো পাল্লা দিয়ে তৈরি করছে নতুন নতুন সব অভাবনীয় প্রযুক্তির হ্যান্ডসেট। এপ্লিকেশন প্রফেসর সংযুক্ত করে এর মাধ্যমে চালানো সম্ভব হবে আকর্ষণীয় সব এপ্লিকেশন। আধুনিক এসব মোবাইল সেটে যুক্ত থাকছে একাধিক হার্ডওয়্যার কম্পোন্যান্ট। এছাড়াও থাকছে থ্রি-জি নেটওয়ার্কে যুক্ত হবার জন্য বেজব্যান্ড চিফ। সেই সঙ্গে ব্লু-টুথ জিপিএস ফাংশন ও ওয়াইফাই এর জন্য রয়েছে অন্যান্য কমিউনিকেশন চিপ। মূলত মোবাইল ফোন দিয়েই কম্পিউটারের সব কাজ করার সুযোগ থাকবে। এ কারণে স্মাট ফোনগুলোতে আলাদাভাবে থাকে মেমোরি, গ্রাফিক্স প্রসেসরসহ আরও অনেক কিছু। তবে বাজারে সরবরাহকৃত মোবাইল সেটের মধ্যে দশভাগের এক ভাগ রয়েছে এমন স্মাট সেট। প্রযুক্তিনির্ভর এই মোবাইল সেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে স্মাট ফোনগুলোয় দ্রুতগতির ব্যবহারের কারণ হচ্ছে এর এপ্লিকেশন প্রফেসরসমূহ। সেই সঙ্গে আসছে প্রসেসরগুলোর মাল্টিকোর ভার্সন। যার ফলে খুব সহজে মোবাইল ফোনেই মাল্টি টাস্ক করা সম্ভব হবে। মোবাইল কোম্পানিগুলো এখন যেসব বিশেষ দিকে লক্ষ্য দিচ্ছে তাহলো ব্লুটুতলো-এনার্জি শরীরের ভাষায় মোবাইল ফোন সেটের রেডিয়েশনের প্রভাব ইত্যাদি। অনেক প্রতিষ্ঠান লো পাওয়ার চিপ তৈরি করে ব্লু টুথ। জিপিএস ও এফএম'র সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করছে। মেমোরির ক্ষেত্রেও স্মাট ফোনগুলো অনেক এগিয়ে। আঙ্গুলের আকৃতির মেমোরি ডিভাইসে ৬৪ গিগাবাইট পর্যন্ত মেমোরি সাপোর্ট পাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গটি তুলতেই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের এমডি এবং সিইও আহমেদ আবু দোমা বললেন, আমেরিকার মতো উন্নত দেশে ৫৭ শতাংশ ইন্টারনেটের কাজ মোবাইলের মাধ্যমে চলছে। অর্থনৈতিক ও বাস্তবতার দিক থেকে বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশে ইন্টারনেট ছড়িয়ে দিতে মোবাইল ফোনই সবচেয়ে বেশি কার্যকর প্রযুক্তি। আমি বিশ্বাস করি, মোবাইল ফোন কম্পিউটারের জায়গা দখল করে নিচ্ছে। সম্প্রতি গ্রামীণ ফোন মোবিটাক্স সার্ভিসের মাধ্যমে তার গ্রাহকদের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বুকিংয়ের সুযোগ করে দিয়েছে। আগামীতে বাংলাদেশেও যে কোনো ধরনের টিকিট, টাকার লেনদেন, উকিল নোটিশ মোবাইল বাটনে টিপেই সারতে পারবেন দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে, যে কোনো সময়। মোবাইলে এসব সুবিধা মিললে কম্পিউটারের কি বোর্ডের হামলে পড়ার আগ্রহ থাকবে কার? অনন্ত ডিজুস প্রজন্ম মোবাইল প্রযুক্তিকে রাতদিন সালাম জানাবে। আপাতদৃষ্টিতে পিসি আর ল্যাপটপ হটানো বেশ কঠিনই মনে হতে পারে। কারণ ২০০৯ সালেই যে যুক্তিটির বিক্রি সংখ্যা ২০ কোটি পিস ছাড়িয়ে গেছে, যে খাতে ব্যয় হয়েছে ২০ হাজার কোটি ডলারের বেশি, সেই প্রযুক্তি কি রাতারাতি হাওয়া হয়ে যাবে? মোটেও না। তবে মোবাইল ফোন পিসির ঘণ্টা ঠিকই বাজিয়ে রেখেছে। টেক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, জটিল ও অত্যাধুনিক বেশকিছু কাজে কাজে পিসি আর ল্যাপটপ থেকেই যাবে। কারণ একজন আর্কিটেক্ট যদি ডিজাইন প্রোগ্রাম চালাতে চান, তাহলে পিসিই হবে তার শ্রেষ্ঠ অবলম্বন। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়র যদি নতুন ধরনের সার্কিটের ডিজাইন তৈরি করতে চান, তাহলে তিনি পিসিকেই প্রাধান্য দেবেন। ফিল্ম মেকার যদি ভিডিও এডিট করতে চান, তাহলে পিসিই গ্রেট! কিন্তু গণমানুষের হাতের তালুতে ঠাঁই পাওয়া মোবাইল ফোনকে চোখ রাঙানোর ক্ষমতা কম্পিউটার দিন দিন হারিয়ে ফেলছে। বিষয়টাকে সম্ভবত এভাবেই বলা যায়, জটিল কাজে কম্পিউটার আরও দীর্ঘ কৌলিন্য বজায় রাখবে আর মোবাইল ফোন গণমানুষের কাতারে এসে গণসঙ্গীতের কোরাস তুলবে।
কম্পিউটারের আরও আধুনিকায়ন সম্ভব। তবে প্রযুক্তিবিদরা একবাক্যে মানছেন, কম্পিউটারের চেয়ে মোবাইল ফোনেরই সম্ভাবনা বেশি। কারণ কম্পিউটারের বিবর্তন হচ্ছে ধীরগতিতে। অথচ মোবাইল ফোনের বিবর্তন কল্পনাকেও হার মানাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে মোবাইল ফোন নিজেই এখন কম্পিউটার হয়ে উঠছে। টেক-পাগল লাখ লাখ জাপানি এখন মোবাইল ফোন ছাড়া ভিন্ন কিছু ভাবতেই পারছেন না। কারণ ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যাকআপ সার্ভিস এখন মোবাইলে পাওয়া যাচ্ছে। মোবাইলের সম্ভাব্য শক্তি এখন অতি দুর্দান্ত। সে আর পেছনে পড়বে না।
বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও সহজলভ্যতা হওয়ার বয়স বেশি দিনের নয়। এখন জনসংখ্যার এক বশাল অংশের হাতেই শোভা পাচ্ছে মোবাইল ফোন। প্রচন্ড দ্রুতগতিতে পাল্টে যাচ্ছে মোবাইল ফোনে প্রযুক্তির ব্যবহারও। কোম্পানিগুলো পাল্লা দিয়ে তৈরি করছে নতুন নতুন সব অভাবনীয় প্রযুক্তির হ্যান্ডসেট। এপ্লিকেশন প্রফেসর সংযুক্ত করে এর মাধ্যমে চালানো সম্ভব হবে আকর্ষণীয় সব এপ্লিকেশন। আধুনিক এসব মোবাইল সেটে যুক্ত থাকছে একাধিক হার্ডওয়্যার কম্পোন্যান্ট। এছাড়াও থাকছে থ্রি-জি নেটওয়ার্কে যুক্ত হবার জন্য বেজব্যান্ড চিফ। সেই সঙ্গে ব্লু-টুথ জিপিএস ফাংশন ও ওয়াইফাই এর জন্য রয়েছে অন্যান্য কমিউনিকেশন চিপ। মূলত মোবাইল ফোন দিয়েই কম্পিউটারের সব কাজ করার সুযোগ থাকবে। এ কারণে স্মাট ফোনগুলোতে আলাদাভাবে থাকে মেমোরি, গ্রাফিক্স প্রসেসরসহ আরও অনেক কিছু। তবে বাজারে সরবরাহকৃত মোবাইল সেটের মধ্যে দশভাগের এক ভাগ রয়েছে এমন স্মাট সেট। প্রযুক্তিনির্ভর এই মোবাইল সেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে স্মাট ফোনগুলোয় দ্রুতগতির ব্যবহারের কারণ হচ্ছে এর এপ্লিকেশন প্রফেসরসমূহ। সেই সঙ্গে আসছে প্রসেসরগুলোর মাল্টিকোর ভার্সন। যার ফলে খুব সহজে মোবাইল ফোনেই মাল্টি টাস্ক করা সম্ভব হবে। মোবাইল কোম্পানিগুলো এখন যেসব বিশেষ দিকে লক্ষ্য দিচ্ছে তাহলো ব্লুটুতলো-এনার্জি শরীরের ভাষায় মোবাইল ফোন সেটের রেডিয়েশনের প্রভাব ইত্যাদি। অনেক প্রতিষ্ঠান লো পাওয়ার চিপ তৈরি করে ব্লু টুথ। জিপিএস ও এফএম'র সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করছে। মেমোরির ক্ষেত্রেও স্মাট ফোনগুলো অনেক এগিয়ে। আঙ্গুলের আকৃতির মেমোরি ডিভাইসে ৬৪ গিগাবাইট পর্যন্ত মেমোরি সাপোর্ট পাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গটি তুলতেই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের এমডি এবং সিইও আহমেদ আবু দোমা বললেন, আমেরিকার মতো উন্নত দেশে ৫৭ শতাংশ ইন্টারনেটের কাজ মোবাইলের মাধ্যমে চলছে। অর্থনৈতিক ও বাস্তবতার দিক থেকে বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশে ইন্টারনেট ছড়িয়ে দিতে মোবাইল ফোনই সবচেয়ে বেশি কার্যকর প্রযুক্তি। আমি বিশ্বাস করি, মোবাইল ফোন কম্পিউটারের জায়গা দখল করে নিচ্ছে। সম্প্রতি গ্রামীণ ফোন মোবিটাক্স সার্ভিসের মাধ্যমে তার গ্রাহকদের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বুকিংয়ের সুযোগ করে দিয়েছে। আগামীতে বাংলাদেশেও যে কোনো ধরনের টিকিট, টাকার লেনদেন, উকিল নোটিশ মোবাইল বাটনে টিপেই সারতে পারবেন দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে, যে কোনো সময়। মোবাইলে এসব সুবিধা মিললে কম্পিউটারের কি বোর্ডের হামলে পড়ার আগ্রহ থাকবে কার? অনন্ত ডিজুস প্রজন্ম মোবাইল প্রযুক্তিকে রাতদিন সালাম জানাবে। আপাতদৃষ্টিতে পিসি আর ল্যাপটপ হটানো বেশ কঠিনই মনে হতে পারে। কারণ ২০০৯ সালেই যে যুক্তিটির বিক্রি সংখ্যা ২০ কোটি পিস ছাড়িয়ে গেছে, যে খাতে ব্যয় হয়েছে ২০ হাজার কোটি ডলারের বেশি, সেই প্রযুক্তি কি রাতারাতি হাওয়া হয়ে যাবে? মোটেও না। তবে মোবাইল ফোন পিসির ঘণ্টা ঠিকই বাজিয়ে রেখেছে। টেক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, জটিল ও অত্যাধুনিক বেশকিছু কাজে কাজে পিসি আর ল্যাপটপ থেকেই যাবে। কারণ একজন আর্কিটেক্ট যদি ডিজাইন প্রোগ্রাম চালাতে চান, তাহলে পিসিই হবে তার শ্রেষ্ঠ অবলম্বন। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়র যদি নতুন ধরনের সার্কিটের ডিজাইন তৈরি করতে চান, তাহলে তিনি পিসিকেই প্রাধান্য দেবেন। ফিল্ম মেকার যদি ভিডিও এডিট করতে চান, তাহলে পিসিই গ্রেট! কিন্তু গণমানুষের হাতের তালুতে ঠাঁই পাওয়া মোবাইল ফোনকে চোখ রাঙানোর ক্ষমতা কম্পিউটার দিন দিন হারিয়ে ফেলছে। বিষয়টাকে সম্ভবত এভাবেই বলা যায়, জটিল কাজে কম্পিউটার আরও দীর্ঘ কৌলিন্য বজায় রাখবে আর মোবাইল ফোন গণমানুষের কাতারে এসে গণসঙ্গীতের কোরাস তুলবে।
কম্পিউটারের আরও আধুনিকায়ন সম্ভব। তবে প্রযুক্তিবিদরা একবাক্যে মানছেন, কম্পিউটারের চেয়ে মোবাইল ফোনেরই সম্ভাবনা বেশি। কারণ কম্পিউটারের বিবর্তন হচ্ছে ধীরগতিতে। অথচ মোবাইল ফোনের বিবর্তন কল্পনাকেও হার মানাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে মোবাইল ফোন নিজেই এখন কম্পিউটার হয়ে উঠছে। টেক-পাগল লাখ লাখ জাপানি এখন মোবাইল ফোন ছাড়া ভিন্ন কিছু ভাবতেই পারছেন না। কারণ ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যাকআপ সার্ভিস এখন মোবাইলে পাওয়া যাচ্ছে। মোবাইলের সম্ভাব্য শক্তি এখন অতি দুর্দান্ত। সে আর পেছনে পড়বে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন