সমকাল প্রতিবেদক
মোবাইল ফোনে চাঁদাবাজি, হুমকি ও এর অপব্যবহার বন্ধে কঠোর আইন করতে যাচ্ছে সরকার। বিভিন্ন কোম্পানির নিবন্ধনহীন মোবাইল ফোনে চাঁদাবাজি, হুমকি ও মানসিক নির্যাতন ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। নেতা-নেত্রীসহ সমাজের প্রভাবশালীদের হুমকি দেওয়ার পরিমাণ বেড়েছে বেশি। ফলে সরকার মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত সিমের অপব্যবহার বন্ধে এই আইন করতে যাচ্ছে। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মোবাইল ফোনে চাঁদাবাজি, হুমকি ও অন্যান্য অপরাধ প্রতিরোধকল্পে প্রণীত সুপারিশ বাস্তবায়নে একটি সারসংক্ষেপ বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। সারসংক্ষেপেই একটি আইন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, এখন থেকে মোবাইলের সিম সহজে কেনা যাবে না। ১৮ বছর বয়সের নিচে কেউ সিম কিনতে পারবে না। সিম বা রিম কিনতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি ইচ্ছা করলেই আর কেউ ফুটপাত বা পাড়া-মহল্লার দোকানে সিম বিক্রি করতে পারবেন না। সিম বিক্রির জন্য প্রত্যেক অপারেটরের এলাকাভিত্তিক একজন খুচরা বিক্রেতা নিয়োগ দিতে হবে। এই খুচরা বিক্রেতা ও ডিলারদের একটি তালিকা বিটিআরসি ও স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে দিতে হবে। নূ্যনতম এসএসসি বা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলে কাউকে ডিলার ও খুচরা বিক্রেতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে না।
বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। সন্ত্রাসীদের ধরতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের আস্তানায় প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নিবন্ধনহীন সিম। অতি মাত্রায় অবৈধ সিমের ব্যবহার বেড়েছে।
মোবাইল ফোনের সিম বা রিম সহজলভ্য হওয়ার কারণে সন্ত্রাসীরা একাধিক নিবন্ধনহীন সিম ব্যবহার করছে। সরকারের মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে বহু প্রভাবশালী হুমকির শিকার হচ্ছেন। মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তরুণীরাও। পুলিশ এদের ধরতে হিমশিম খাচ্ছে। কারণ নিবন্ধন না থাকায় এদের মালিকদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আবার ভুয়া নামেও অনেক নিবন্ধন রয়েছে। এ কারণে পুলিশ এ বিষয়টা নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছে। ফলে সিম নিবন্ধন বাধ্যতামূলকসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে গতকাল।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, মোবাইল ফোনে হুমকি, চাঁদাবাজি ও এর অপব্যবহার বন্ধে করণীয় নির্ধারণ করতে সরকার গত ১ জুন বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে। এই কমিটি কয়েক দফা বৈঠক করে মোবাইল ফোনে চাঁদাবাজি বন্ধে একটি সুপারিশ করে। গতকাল বৈঠকে এই সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়। এই সুপারিশের ভিত্তিতেই মোবাইল ফোনে হুমকি ও চাঁদাবাজি বন্ধে ১০টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে একটি আইন তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উপস্থাপিত সারসংক্ষেপে বলা হয়, মোবাইলের মাধ্যমে সৃষ্ট অপরাধ তদন্তে প্রচলিত আইনে ঘাটতি রয়েছে। টেলিফোন অপরাধ সংক্রান্ত বিষয়াবলি দণ্ডবিধিতে অন্তর্ভুক্ত নেই। এতে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে এসব অপরাধ চিহ্নিতকরণ বিদ্যমান আইনের দুর্বলতা দূর করতে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করতে হবে।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, ১৮ বছরের নিচে কেউ সিমকার্ড কিনতে পারবে না। ১৮ বছরের ঊধর্ে্ব কারও সিমকার্ড কেনার ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ একজন শনাক্তকারীর নাম ও ঠিকানা লাগবে। তাদের নিবন্ধন ফরমে দেওয়া ঠিকানা নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেজে সংরক্ষিত ঠিকানার সঙ্গে মেলানো হবে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে নিবন্ধনহীন ২ লাখ সিম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আরও যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। এমন নিবন্ধনহীন সিম পাওয়া গেলে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমরা এখন রাস্তায় দেখি পানের দোকানদারও সিমকার্ড বিক্রি করছেন। নতুন সিদ্ধান্তে এসএসসি পাস ছাড়া কেউ সিমকার্ড কিনতে পারবে না। মোবাইল ফোনে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মোবাইল অপারেটরদের একটি কমিটি থাকবে। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরও একটি পর্যবেক্ষক দল থাকবে। আজ থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে তিনি মোবাইল অপারেটরদের প্রতি আহ্বান জানান।
বর্তমানেও কোনো সিম বা রিম বিক্রির সময় নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। একই সঙ্গে পরিচয়পত্র দেখাতে হয়। কিন্তু এ নিয়ম তেমনভাবে মানা হয় না। বহু মুদি দোকানে নিবন্ধন ছাড়াই সিম বিক্রি হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সিম বা রিম বিক্রয়কারী ডিলারদের যথাযথ পুলিশ ভেরিফিকেশনের আওতায় আনা হবে। প্রত্যেক খুচরা বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র থাকতে হবে। প্রত্যেক অপারেটর সর্বোচ্চ এলাকাভিত্তিক একজন খুচরা বিক্রেতা নিয়োগ দিতে পারবেন। খুচরা বিক্রেতাদের ঘন ঘন পরিবর্তন করা যাবে না। খুচরা বিক্রেতা নিয়োগের ক্ষেত্রে সাধারণত যারা কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় মোবাইল সেট বিক্রি এবং মোবাইলের যন্ত্রাংশ বিক্রি করে তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। খুচরা বিক্রয়কারীর কাছে অপারেটরদের দেওয়া পরিচয়পত্র থাকতে হবে। তারা অবৈধ সিম বিক্রি করছে কি-না এটা পর্যবেক্ষণ করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নির্দিষ্ট সময় পরপর তাদের ব্যবসা কেন্দ্র পরিদর্শন করবে। প্রত্যেক অপারেটর সিম বা রিমের ক্রেতা, বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্ট ডিলার সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য একটি ডাটাবেজে সংরক্ষণ করবে। সিম এবং ফোন বিক্রয় সংক্রান্ত নির্দেশনা অপারেটরদের সব খুচরা বিক্রয়কারীর কাছে পেঁৗছতে হবে। সিম নিবন্ধন ফরমটি সাধারণ জনগণের কাছে সহজ করতে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায় প্রণয়ন করতে হবে। পাশাপাশি ফরমের কপির সংখ্যা বাড়িয়ে চার কপি করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন ফরমে কোনো ক্রেতা ইচ্ছাকৃত ভুল তথ্য সরবরাহ করলে তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৮৬০ ধারায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিম বা রিম বিক্রয় ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত ডিলার, সাব-ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণ না করলে এবং অসত্য তথ্য পরিবেশন করলে অপারেটররা তাদের জামানত বাজেয়াপ্তসহ তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, নিবন্ধন ছাড়া কোনো সিম কার্ড বিক্রি হলে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেশে বর্তমানে মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা দু'কোটি ছাড়িয়ে গেছে। বেশ কয়েকটি বিদেশি কোম্পানি বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের ব্যবসা করছে। অবৈধ সিম বন্ধ করতে সরকার যে আইন করতে যাচ্ছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কোম্পানির সিনিয়র কর্মকর্তা সমকালকে জানান, মোবাইল ফোনের দ্রুত প্রসার হওয়া জরুরি। আধুনিক এ যোগাযোগ ব্যবস্থা অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে। তবে একথাও সত্য, সিমের অবৈধ ব্যবহার হচ্ছে। সেটাও নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। তবে আইনের অপব্যবহার যেন না হয় সেটাও দেখতে হবে। কোনোভাবেই সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে কোনো ভীতি সৃষ্টি করা ঠিক হবে না।
মোবাইল ফোনে চাঁদাবাজি, হুমকি ও এর অপব্যবহার বন্ধে কঠোর আইন করতে যাচ্ছে সরকার। বিভিন্ন কোম্পানির নিবন্ধনহীন মোবাইল ফোনে চাঁদাবাজি, হুমকি ও মানসিক নির্যাতন ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। নেতা-নেত্রীসহ সমাজের প্রভাবশালীদের হুমকি দেওয়ার পরিমাণ বেড়েছে বেশি। ফলে সরকার মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত সিমের অপব্যবহার বন্ধে এই আইন করতে যাচ্ছে। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মোবাইল ফোনে চাঁদাবাজি, হুমকি ও অন্যান্য অপরাধ প্রতিরোধকল্পে প্রণীত সুপারিশ বাস্তবায়নে একটি সারসংক্ষেপ বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। সারসংক্ষেপেই একটি আইন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, এখন থেকে মোবাইলের সিম সহজে কেনা যাবে না। ১৮ বছর বয়সের নিচে কেউ সিম কিনতে পারবে না। সিম বা রিম কিনতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি ইচ্ছা করলেই আর কেউ ফুটপাত বা পাড়া-মহল্লার দোকানে সিম বিক্রি করতে পারবেন না। সিম বিক্রির জন্য প্রত্যেক অপারেটরের এলাকাভিত্তিক একজন খুচরা বিক্রেতা নিয়োগ দিতে হবে। এই খুচরা বিক্রেতা ও ডিলারদের একটি তালিকা বিটিআরসি ও স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে দিতে হবে। নূ্যনতম এসএসসি বা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলে কাউকে ডিলার ও খুচরা বিক্রেতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে না।
বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। সন্ত্রাসীদের ধরতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের আস্তানায় প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নিবন্ধনহীন সিম। অতি মাত্রায় অবৈধ সিমের ব্যবহার বেড়েছে।
মোবাইল ফোনের সিম বা রিম সহজলভ্য হওয়ার কারণে সন্ত্রাসীরা একাধিক নিবন্ধনহীন সিম ব্যবহার করছে। সরকারের মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে বহু প্রভাবশালী হুমকির শিকার হচ্ছেন। মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তরুণীরাও। পুলিশ এদের ধরতে হিমশিম খাচ্ছে। কারণ নিবন্ধন না থাকায় এদের মালিকদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আবার ভুয়া নামেও অনেক নিবন্ধন রয়েছে। এ কারণে পুলিশ এ বিষয়টা নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছে। ফলে সিম নিবন্ধন বাধ্যতামূলকসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে গতকাল।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, মোবাইল ফোনে হুমকি, চাঁদাবাজি ও এর অপব্যবহার বন্ধে করণীয় নির্ধারণ করতে সরকার গত ১ জুন বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে। এই কমিটি কয়েক দফা বৈঠক করে মোবাইল ফোনে চাঁদাবাজি বন্ধে একটি সুপারিশ করে। গতকাল বৈঠকে এই সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়। এই সুপারিশের ভিত্তিতেই মোবাইল ফোনে হুমকি ও চাঁদাবাজি বন্ধে ১০টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে একটি আইন তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উপস্থাপিত সারসংক্ষেপে বলা হয়, মোবাইলের মাধ্যমে সৃষ্ট অপরাধ তদন্তে প্রচলিত আইনে ঘাটতি রয়েছে। টেলিফোন অপরাধ সংক্রান্ত বিষয়াবলি দণ্ডবিধিতে অন্তর্ভুক্ত নেই। এতে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে এসব অপরাধ চিহ্নিতকরণ বিদ্যমান আইনের দুর্বলতা দূর করতে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করতে হবে।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, ১৮ বছরের নিচে কেউ সিমকার্ড কিনতে পারবে না। ১৮ বছরের ঊধর্ে্ব কারও সিমকার্ড কেনার ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ একজন শনাক্তকারীর নাম ও ঠিকানা লাগবে। তাদের নিবন্ধন ফরমে দেওয়া ঠিকানা নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেজে সংরক্ষিত ঠিকানার সঙ্গে মেলানো হবে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে নিবন্ধনহীন ২ লাখ সিম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আরও যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। এমন নিবন্ধনহীন সিম পাওয়া গেলে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমরা এখন রাস্তায় দেখি পানের দোকানদারও সিমকার্ড বিক্রি করছেন। নতুন সিদ্ধান্তে এসএসসি পাস ছাড়া কেউ সিমকার্ড কিনতে পারবে না। মোবাইল ফোনে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মোবাইল অপারেটরদের একটি কমিটি থাকবে। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরও একটি পর্যবেক্ষক দল থাকবে। আজ থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে তিনি মোবাইল অপারেটরদের প্রতি আহ্বান জানান।
বর্তমানেও কোনো সিম বা রিম বিক্রির সময় নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। একই সঙ্গে পরিচয়পত্র দেখাতে হয়। কিন্তু এ নিয়ম তেমনভাবে মানা হয় না। বহু মুদি দোকানে নিবন্ধন ছাড়াই সিম বিক্রি হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সিম বা রিম বিক্রয়কারী ডিলারদের যথাযথ পুলিশ ভেরিফিকেশনের আওতায় আনা হবে। প্রত্যেক খুচরা বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র থাকতে হবে। প্রত্যেক অপারেটর সর্বোচ্চ এলাকাভিত্তিক একজন খুচরা বিক্রেতা নিয়োগ দিতে পারবেন। খুচরা বিক্রেতাদের ঘন ঘন পরিবর্তন করা যাবে না। খুচরা বিক্রেতা নিয়োগের ক্ষেত্রে সাধারণত যারা কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় মোবাইল সেট বিক্রি এবং মোবাইলের যন্ত্রাংশ বিক্রি করে তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। খুচরা বিক্রয়কারীর কাছে অপারেটরদের দেওয়া পরিচয়পত্র থাকতে হবে। তারা অবৈধ সিম বিক্রি করছে কি-না এটা পর্যবেক্ষণ করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নির্দিষ্ট সময় পরপর তাদের ব্যবসা কেন্দ্র পরিদর্শন করবে। প্রত্যেক অপারেটর সিম বা রিমের ক্রেতা, বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্ট ডিলার সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য একটি ডাটাবেজে সংরক্ষণ করবে। সিম এবং ফোন বিক্রয় সংক্রান্ত নির্দেশনা অপারেটরদের সব খুচরা বিক্রয়কারীর কাছে পেঁৗছতে হবে। সিম নিবন্ধন ফরমটি সাধারণ জনগণের কাছে সহজ করতে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায় প্রণয়ন করতে হবে। পাশাপাশি ফরমের কপির সংখ্যা বাড়িয়ে চার কপি করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন ফরমে কোনো ক্রেতা ইচ্ছাকৃত ভুল তথ্য সরবরাহ করলে তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৮৬০ ধারায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিম বা রিম বিক্রয় ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত ডিলার, সাব-ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণ না করলে এবং অসত্য তথ্য পরিবেশন করলে অপারেটররা তাদের জামানত বাজেয়াপ্তসহ তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, নিবন্ধন ছাড়া কোনো সিম কার্ড বিক্রি হলে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেশে বর্তমানে মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা দু'কোটি ছাড়িয়ে গেছে। বেশ কয়েকটি বিদেশি কোম্পানি বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের ব্যবসা করছে। অবৈধ সিম বন্ধ করতে সরকার যে আইন করতে যাচ্ছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কোম্পানির সিনিয়র কর্মকর্তা সমকালকে জানান, মোবাইল ফোনের দ্রুত প্রসার হওয়া জরুরি। আধুনিক এ যোগাযোগ ব্যবস্থা অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে। তবে একথাও সত্য, সিমের অবৈধ ব্যবহার হচ্ছে। সেটাও নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। তবে আইনের অপব্যবহার যেন না হয় সেটাও দেখতে হবে। কোনোভাবেই সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে কোনো ভীতি সৃষ্টি করা ঠিক হবে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন