আমাদের দেশে দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের নানাভাবে প্রতারনা করে আসছে। ৫০ পয়সায় যে কথা বলানো সম্ভব সেটা একসময় সাত টাকা করে নেয়া হতো প্রতি মিনিটে। এখনও প্রতি মিনিটে ২ টাকার বেশি নেয়া হচ্ছে।
মোবাইল বিষয়ক কর্পোরেট কোম্পানীগুলো নানান প্রলোভনমূলক অফার দেয়ার নাম করে সুদে-আসলে ডবল, ট্রিপল এমনকি বহুগুন টাকা লুটে নিচ্ছে গ্রাহকদের কাছ থেকে। অফ টাইমে কম টাকায় কথা বলার অফার দিয়ে আমাদের তরুণ-তরুণী বিশেষ করে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের বরোটা বাজিয়ে দিয়েছে এসব অর্থলোলুপ প্রতিষ্ঠান।
এটা সত্য যে, মোবাইল ফোন যোগাযোগ ব্যবস্থায় একটা বিরাট বিপ্লব সাধিত করেছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, জনগণকে গিনিপিগ বানিয়ে যা ইচ্ছে তাই হিসেবে টাকা নিতে হবে গ্রাহকদের কাছ থেকে। মোবাইল ফোন কাম্পানীগুলোর রেট বিষয়ক কোন নীতিমলা নেই সরকারের তরফ থেকে। ফলে জনগণ প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা খোয়াচ্ছে এসব কর্পোরেট কোম্পানীর ফাঁদে পা দিয়ে।
গত ১১ মার্চ সিটিসেল কাস্টমার কেয়ার সেন্টার রাজশাহীর প্রধান কার্যালয় থেকে আমি আমার সিটিসেল মোবাইল ফোন সেটের ডিসপ্লে মেরামত করিয়ে নিয়েছি। এজন্য সেন্টারে সরাসরি গেলে সেখানকার দায়িত্বরত কর্মী আমাকে প্রথমে বলেছিলেন যে, ৬০০ টাকার মত খরচ হবে। পরে মোবাইল করে এই ফি বাড়িয়ে বলা হয় সাড়ে ৭০০ টাকা দিতে হবে। তাই করি। ১১ মার্চ ডেলিভারী নেয়ার পর গত ১৩ মার্চ আবার নষ্ট হয়ে যায় ডিসপ্লেটি। অদ্য ১৫ মার্চ আবার কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে গেলাম। সেখান থেকে আমাকে বলা হলো মাদার বোর্ড বিনষ্ট। এজন্য সাড়ে ১২০০ টাকা খরচ করতে হবে। সিটিসেল নতুন একটা সেট নিতে যেখানে খরচ হয় মাত্র ১৩০০ টাকা। সেখানে একটা সেটের ডিসপ্লে বা মাদারবোর্ড মেরামত করতে সাড়ে ১২০০ টাকা এটা কি করে সম্ভব? তাও আবার মাত্র দু'দিন আগে ডিসপ্লে ঠিক করা হয়েছে সাড়ে ৭০০ টাকায়।
আমাদের মিডিয়া এই কর্পোরেট কোম্পানী তথা মোবাইল ফোন কোম্পানীগুলোর প্রতারনা ও বিপুল অংকের টাকা জনগণের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়ার ব্যাপারে কোন কথা বলে না। আমরা যারা ক্ষতিগ্রস্ত জনগণ বা গ্রাহক তারাও ঐকবদ্ধ নই।চরম হতাশায় ছিলাম। সিটিসেল আমাকে যে কথা বলেছিলেন তার সঙ্গে বাস্তবের কোন মিল পেলাম না। সিটিসেল কর্তৃপক্ষ বলেছিল যে, আমার সেটটার মাদারবোর্ড গেছে। কিন্তু আমার রিমটা অন্য একটা সিটিসেলের সেটে পুরে নেয়ার পর দেখলাম সবই ঠিক আছে। আবার অন্য একটা রিম আমার সেটটাতে পুরে দেখা গেলো সেটাও ভালই চলছে। এথেকে কি এটা প্রমাণ হচ্ছে না যে সিটিসেল একটা বড় ধাপ্পাবাজি কথা লেছে আমাকে। এটা প্রতারনা ছাড়া আর কি হতে পারে।
সিটিসেল কর্তৃপক্ষের জবাব কি, তা জানতে গেলে কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই একটা গোজামিল দিয়ে বক্তব্য প্রদান করবে। তাই আর তাদের কাছে গেলাম না।
আসুন, আমরা কর্পোরেট প্রতারনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হই। শুধু ঐক্যবদ্ধ হলেই চলবে না আন্দোলন ছাড়া কোন অর্জন হয় না এদেশে।
মোবাইল বিষয়ক কর্পোরেট কোম্পানীগুলো নানান প্রলোভনমূলক অফার দেয়ার নাম করে সুদে-আসলে ডবল, ট্রিপল এমনকি বহুগুন টাকা লুটে নিচ্ছে গ্রাহকদের কাছ থেকে। অফ টাইমে কম টাকায় কথা বলার অফার দিয়ে আমাদের তরুণ-তরুণী বিশেষ করে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের বরোটা বাজিয়ে দিয়েছে এসব অর্থলোলুপ প্রতিষ্ঠান।
এটা সত্য যে, মোবাইল ফোন যোগাযোগ ব্যবস্থায় একটা বিরাট বিপ্লব সাধিত করেছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, জনগণকে গিনিপিগ বানিয়ে যা ইচ্ছে তাই হিসেবে টাকা নিতে হবে গ্রাহকদের কাছ থেকে। মোবাইল ফোন কাম্পানীগুলোর রেট বিষয়ক কোন নীতিমলা নেই সরকারের তরফ থেকে। ফলে জনগণ প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা খোয়াচ্ছে এসব কর্পোরেট কোম্পানীর ফাঁদে পা দিয়ে।
গত ১১ মার্চ সিটিসেল কাস্টমার কেয়ার সেন্টার রাজশাহীর প্রধান কার্যালয় থেকে আমি আমার সিটিসেল মোবাইল ফোন সেটের ডিসপ্লে মেরামত করিয়ে নিয়েছি। এজন্য সেন্টারে সরাসরি গেলে সেখানকার দায়িত্বরত কর্মী আমাকে প্রথমে বলেছিলেন যে, ৬০০ টাকার মত খরচ হবে। পরে মোবাইল করে এই ফি বাড়িয়ে বলা হয় সাড়ে ৭০০ টাকা দিতে হবে। তাই করি। ১১ মার্চ ডেলিভারী নেয়ার পর গত ১৩ মার্চ আবার নষ্ট হয়ে যায় ডিসপ্লেটি। অদ্য ১৫ মার্চ আবার কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে গেলাম। সেখান থেকে আমাকে বলা হলো মাদার বোর্ড বিনষ্ট। এজন্য সাড়ে ১২০০ টাকা খরচ করতে হবে। সিটিসেল নতুন একটা সেট নিতে যেখানে খরচ হয় মাত্র ১৩০০ টাকা। সেখানে একটা সেটের ডিসপ্লে বা মাদারবোর্ড মেরামত করতে সাড়ে ১২০০ টাকা এটা কি করে সম্ভব? তাও আবার মাত্র দু'দিন আগে ডিসপ্লে ঠিক করা হয়েছে সাড়ে ৭০০ টাকায়।
আমাদের মিডিয়া এই কর্পোরেট কোম্পানী তথা মোবাইল ফোন কোম্পানীগুলোর প্রতারনা ও বিপুল অংকের টাকা জনগণের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়ার ব্যাপারে কোন কথা বলে না। আমরা যারা ক্ষতিগ্রস্ত জনগণ বা গ্রাহক তারাও ঐকবদ্ধ নই।চরম হতাশায় ছিলাম। সিটিসেল আমাকে যে কথা বলেছিলেন তার সঙ্গে বাস্তবের কোন মিল পেলাম না। সিটিসেল কর্তৃপক্ষ বলেছিল যে, আমার সেটটার মাদারবোর্ড গেছে। কিন্তু আমার রিমটা অন্য একটা সিটিসেলের সেটে পুরে নেয়ার পর দেখলাম সবই ঠিক আছে। আবার অন্য একটা রিম আমার সেটটাতে পুরে দেখা গেলো সেটাও ভালই চলছে। এথেকে কি এটা প্রমাণ হচ্ছে না যে সিটিসেল একটা বড় ধাপ্পাবাজি কথা লেছে আমাকে। এটা প্রতারনা ছাড়া আর কি হতে পারে।
সিটিসেল কর্তৃপক্ষের জবাব কি, তা জানতে গেলে কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই একটা গোজামিল দিয়ে বক্তব্য প্রদান করবে। তাই আর তাদের কাছে গেলাম না।
আসুন, আমরা কর্পোরেট প্রতারনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হই। শুধু ঐক্যবদ্ধ হলেই চলবে না আন্দোলন ছাড়া কোন অর্জন হয় না এদেশে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন