Comilla:এক বছর আগের পাসপোর্ট অফিসে চিত্র এখন সম্পূর্ণরুপে পাল্টে গিয়েছে। আগে
দালালদের দৌড়াত্ম ছিল চরমে। তখন বহিরাগমণ ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে দালাল,
প্রতারক ও কিছু কর্মকর্তা কর্মচারীকে ঘুষ দেওয়া ছাড়া পাসপোর্ট পাওয়া ছিল
দুরুহ ব্যাপার।
স্বাভাবিক নিয়মে পেতে হলে দুই ২/৩ মাস অপেক্ষা করতে হতো- আর ছিল চরম ভোগান্তি। এ টেবিল থেকে ও টেবিল করতে করতে হাফিয়ে উঠতে হতো সাধারণকে।
এই ভোগান্তি দূর করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। যার সুফল এখন সাধারণরা পাচ্ছেন। ২০১০ সালের ১ এপ্রিল থেকে সরকার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) কার্যক্রম শুরু করেন। এর থেকেই পাসপোর্ট অফিসে ফিরে এসেছে শৃংখলা। এখন জনসাধারণের আর আগের মত ভোগান্তি পোহাতে হয় না।
মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে আগারগাঁও বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা গেছে। পাসপোর্ট অফিসের গেট থেকেই দেখা গেলো পাসপোর্ট ইচ্ছুকদের সুশৃংখল খন্ড খন্ড লাইন। সবাই দাঁড়িয়ে আছেন।
কাজ দ্রুত হওয়ায় লাইনে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে না । প্রকাশ্যে দালাল প্রতারকদের দেখা যাচ্ছে না। আগের দৃশ্যের সঙ্গে বর্তমান দৃশ্যের কোন মিলই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর এজন্য পুরো কৃতিত্বই সেনাবাহিনীকে দিলেন পাসপোর্ট প্রত্যাশী জনসাধারণ।
দুবাই যাওয়ার উদ্দেশ্যে পাসপোর্ট নিতে এসেছেন মোঃ মাহাবুল হোসেন। তিনি বলেন, পরিবেশ অনেক ভাল। তাছাড়া সেনাভাইরা আমাদের অনেক আন্তরিকতার সঙ্গে সাহায্য করছেন।
দালাল-প্রতারকের খপ্পড়ে পড়েছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না এদের এখনও দেখিনি। তাজুল নামে কর্তব্যরত সৈনিক জানান, সকাল ৮টা থেকে ৫টা পর্যন্ত তাদের ডিউটি করতে হয়। কিন্তু মানুষের চাপ বেশি থাকলে রাত ৯টা পর্যন্তও কাজ করতে হয়।
কি কাজ করতে হয় এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ এখানকার অনেক কিছুই জানে না। আমরা তাদের তথ্য দিই এবং ফরমে কোন ভুল আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখি।
সেনাবাহিনীর এত নিরাপত্তার পরও যে দালাল প্রতারকদের চিহ্ন একেবারেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে একথা কেউ কেউ মানতে নারাজ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, সেনাবহিনী ঠিক থাকলেও এখানকার কিছু অসধু কর্মকর্তা, কর্মচারী অর্থের বিনিময়ে কাজ করে দেয়। কিছুক্ষণ পরে অবশ্য এর সত্যতা পাওয়া গেল। এক কর্মকর্তাকে টাকা নিয়ে কাজ করতে দেখা গেল । এই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া আর কোন অপ্রীতিকর ঘটনা চোখে পড়েনি।
সেনাবাহিনীর সার্বিক কর্মকান্ড নিয়ে এমআরপি এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর বলেন, আমরা দেশের ৩৪ জায়গায় মেশিন রিডেবল কর্যক্রম শুরু করেছি। এখন আর বেশি আপেক্ষা করতে হয় না। এমনকি আমরা ১ দিনেও পাসপোর্ট হস্তান্তর করে থাকি।
তিনি আরো বলেন, ২০১০ এর জুলাই থেকে আমরা কাজ শুরু করেছি ৫ বছরের লক্ষ্য নিয়ে। প্রতিদিন ৩০-৪০ জন সেনা সদস্য এই কার্যালয়ে কাজ করেন। গড়ে প্রতিদিন ১২ হাজার আবেদন জমা পড়ে।
এই দেড় বছরে পাঁচশত ছাব্বিশ কোটি টাকার প্রজেক্টে আমরা চারশ’ তিন কোটি সাতান্ন লাখ টাকা আয় এবং এগারো লাখ পাসপোর্ট বিতরণ করেছেন বলে তিনি জানান।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন,এই পাঁচ বছরে আমরা দুই হাজার কোটি টাকার উপরে আয় করব এজন্য তিনি জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন।
স্বাভাবিক নিয়মে পেতে হলে দুই ২/৩ মাস অপেক্ষা করতে হতো- আর ছিল চরম ভোগান্তি। এ টেবিল থেকে ও টেবিল করতে করতে হাফিয়ে উঠতে হতো সাধারণকে।
এই ভোগান্তি দূর করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। যার সুফল এখন সাধারণরা পাচ্ছেন। ২০১০ সালের ১ এপ্রিল থেকে সরকার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) কার্যক্রম শুরু করেন। এর থেকেই পাসপোর্ট অফিসে ফিরে এসেছে শৃংখলা। এখন জনসাধারণের আর আগের মত ভোগান্তি পোহাতে হয় না।
মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে আগারগাঁও বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা গেছে। পাসপোর্ট অফিসের গেট থেকেই দেখা গেলো পাসপোর্ট ইচ্ছুকদের সুশৃংখল খন্ড খন্ড লাইন। সবাই দাঁড়িয়ে আছেন।
কাজ দ্রুত হওয়ায় লাইনে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে না । প্রকাশ্যে দালাল প্রতারকদের দেখা যাচ্ছে না। আগের দৃশ্যের সঙ্গে বর্তমান দৃশ্যের কোন মিলই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর এজন্য পুরো কৃতিত্বই সেনাবাহিনীকে দিলেন পাসপোর্ট প্রত্যাশী জনসাধারণ।
দুবাই যাওয়ার উদ্দেশ্যে পাসপোর্ট নিতে এসেছেন মোঃ মাহাবুল হোসেন। তিনি বলেন, পরিবেশ অনেক ভাল। তাছাড়া সেনাভাইরা আমাদের অনেক আন্তরিকতার সঙ্গে সাহায্য করছেন।
দালাল-প্রতারকের খপ্পড়ে পড়েছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না এদের এখনও দেখিনি। তাজুল নামে কর্তব্যরত সৈনিক জানান, সকাল ৮টা থেকে ৫টা পর্যন্ত তাদের ডিউটি করতে হয়। কিন্তু মানুষের চাপ বেশি থাকলে রাত ৯টা পর্যন্তও কাজ করতে হয়।
কি কাজ করতে হয় এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ এখানকার অনেক কিছুই জানে না। আমরা তাদের তথ্য দিই এবং ফরমে কোন ভুল আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখি।
সেনাবাহিনীর এত নিরাপত্তার পরও যে দালাল প্রতারকদের চিহ্ন একেবারেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে একথা কেউ কেউ মানতে নারাজ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, সেনাবহিনী ঠিক থাকলেও এখানকার কিছু অসধু কর্মকর্তা, কর্মচারী অর্থের বিনিময়ে কাজ করে দেয়। কিছুক্ষণ পরে অবশ্য এর সত্যতা পাওয়া গেল। এক কর্মকর্তাকে টাকা নিয়ে কাজ করতে দেখা গেল । এই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া আর কোন অপ্রীতিকর ঘটনা চোখে পড়েনি।
সেনাবাহিনীর সার্বিক কর্মকান্ড নিয়ে এমআরপি এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর বলেন, আমরা দেশের ৩৪ জায়গায় মেশিন রিডেবল কর্যক্রম শুরু করেছি। এখন আর বেশি আপেক্ষা করতে হয় না। এমনকি আমরা ১ দিনেও পাসপোর্ট হস্তান্তর করে থাকি।
তিনি আরো বলেন, ২০১০ এর জুলাই থেকে আমরা কাজ শুরু করেছি ৫ বছরের লক্ষ্য নিয়ে। প্রতিদিন ৩০-৪০ জন সেনা সদস্য এই কার্যালয়ে কাজ করেন। গড়ে প্রতিদিন ১২ হাজার আবেদন জমা পড়ে।
এই দেড় বছরে পাঁচশত ছাব্বিশ কোটি টাকার প্রজেক্টে আমরা চারশ’ তিন কোটি সাতান্ন লাখ টাকা আয় এবং এগারো লাখ পাসপোর্ট বিতরণ করেছেন বলে তিনি জানান।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন,এই পাঁচ বছরে আমরা দুই হাজার কোটি টাকার উপরে আয় করব এজন্য তিনি জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন