বৃহস্পতিবার, ১০ মে, ২০১২

১০ বিলিয়ন ডলারের নিচে রিজার্ভ

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ১০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও ডলারের বাজারে অস্থিরতা থাকায় দীর্ঘদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ছিল এক অঙ্কের ঘরে। এপ্রিলের ২৫ তারিখে বর্ধিত বাজেট সুবিধার আওতায় (ইসিএফ) আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ঋণের প্রথম কিস্তি ছাড় করলে রিজার্ভ দশ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। কিন্তু গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ৭২ কোটি ডলার পরিশোধ করে। এতে রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন বা ৯৫৯ কোটি ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে ২০০৯ সালের নভেম্বর থেকে ২০১১ সালের আগস্ট পর্যন্ত টানা ২২ মাস বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১০ বিলিয়ন ডলারের ওপর ছিল। তবে চাহিদা অনুপাতে ডলারের সরবরাহ না থাকায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে তা ৯ বিলিয়নে নেমে আসে। অক্টোবরে তা আবার ১০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়। পরবর্তীতে আবার নেমে আসে ৯ বিলিয়নে। গত ফেব্রুয়ারিতে তা আবার বেড়ে ১০ বিলিয়নে গিয়ে ঠেকে। তবে ওই মাসেই রিজার্ভ নেমে ৯ বিলিয়নে চলে আসে। এভাবে বাড়া-কমার
মধ্যে গত এপ্রিলের ২৩ তারিখ রিজার্ভ কিছুটা বেড়ে ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালেও গতকাল তা নেমে এসেছে ৯ বিলিয়নের ঘরে। তবে এই রিজার্ভ শিগগির ১০ বিলিয়ন ছাড়াবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশা করছে।
পণ্য আমদানি রফতানির লক্ষ্যে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, ইরান ও মালদ্বীপ এই নয়টি দেশের মধ্যে যে অর্থ প্রদান করতে হয় তাকেই আকু পেমেন্ট বলে। মার্কিন ডলার ও ইউরোর মাধ্যমে আকুর লেনদেন হয়ে থাকে। এশিয়ার এসব দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানির জন্য প্রতি দুই মাস পর পর অর্থ পরিশোধ করতে হয়। এসব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি পরিশোধ করে থাকে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন