রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০১৬

ধার্মিকদের বিড়ম্বনা

ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি এলাকার বড় ভাইদের মধ্যে কেউ কেউ হঠাৎ চেইন্জ হয়ে যায় বেশ ধার্মিক হয়ে যায় বড় হয়ে দেখছি বন্ধুদের মধ্যে কেউ কেউ এই রকম ধার্মিক হয়ে গেছে কলেজ ক্যাম্পাসে দেখেছি উঠতি বয়সের কোন কোন ছোট ভাইদের মধ্যে এই প্রবনতা।

এরা সবাই লেখাপড়া,চাকুরি ও পরিবার নিয়ে স্বাভাবিক জীবনজাপন করছে। জ্বি হ্যা আমাদের চারপাশে এই ভাবে চেইন্জ হয়ে যাওয়া অধিকাংশ ছেলেই স্বাভাবিক জীবন জাপন করছে। নির্বাসদের মত চেইন্জ হয়ে উন্মাদ হয়ে যাওয়া ছেলেরা সংখ্যালঘু।

কিন্তু গুলশান হামলার পর থেকে এইইভাবে চেইনজ হয়ে যাওয়া ধার্মিক হয়ে যাওয়া ছেলেদেরকে নির্বাসদের উদাহরন দিয়ে যেভাবে জেনারালাইজ করা হচ্ছে তা রীতিমত ফাইজলামি।সব জায়গায় চলছে নানান রকম মতামত যেমন:
‘আমার সন্তান নেশা করে না, প্রেম করে না—কেবল একটু বেশি বেশি ধর্মচর্চা করে’ এই ভেবে আত্মতৃপ্তি পাবেন না।
____________ প্রথম আলো


ফ্রেন্ড লিস্টের কিছু স্টুপিডদের বলতে দেখি
"NSU এর সুন্দরীদের দিকে যাদের মন নাই সেগুলো কে সন্দেহ করা লাগবে"

"গার্ল ফ্রেন্ড না থাকা আর জঙ্গিবাদ চর্চা করা সমান কথা"

এই রকম আরো অনেক আজে বাজে কথা বার্তা।
যাদের মা বাবার পর্যাপ্ত/নূন্যতম ধর্মীয় জ্ঞান আছে তাদেের সন্তানদের কখনো জঙ্গি বানানো যায় না। যে সকল বাপ মায়ের বিসমিল্লাহ জ্ঞানও নাই তাদের ছেলেরাই পরে নির্বাসদের মত হয়ে যায়।

মা খালাদের কাছে শুনছি ওনাদের সময়ে পাত্রী দেখতে আসা পাত্র পক্ষের মুরুব্বিরা ইন্টারভিউ নিত এই ভাবে
"বলতো মা সূরা আর রহমান কত তম পারায়"
"একটু সূরা ইয়াসিন তেলোয়াত করে শোনাও"
আর পাত্র সম্পর্কে খোজ খবর নিতে গেলে প্রথমে খোজ নেওয়া হত পাত্র নামাজী কিনা।

বাই দ্য ওয়ে, আমরা যারা সেই সব বাবা মায়ের সন্তান তাদের কখনো ব্রেইনওয়াশ করতে পারেনা এবং পারবেও না।নির্বাসের মত ছাগু ছেলেগুলোরেই পারে। আনেন দশজন জঙ্গী কাউন্সিলর দেখি ব্রেইন ওয়াশ করুক আমার। পারবে না।নির্বাসের মত ব্রেইনলেস বাস্টার্ডরাই একদিন জঙ্গী হইয়া যায়। আর দেশটাকে রসাতলে নিয়া যায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন