নাশকতার পরিকল্পনা করার অভিযোগে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার একটি কোচিং সেন্টার থেকে অন্তত ২১ জনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
পুলিশের সন্দেহ, এরা সবাই ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মী। তবে জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত ছাত্র সংগঠনটির দাবি, গ্রেপ্তারকৃতরা শিবিরের সঙ্গে এদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ শাখার অতিরিক্ত উপ কমিশনার মাসুদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রেটিনা কোচিং সেন্টার থেকে ২১ জনকে আটক করা হয়।
“গোপন সূত্রে খবর পাওয়া যায়, কনকর্ড টাওয়ারের ওই কোচিং সেন্টারে একত্রিত হয়ে তারা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা চালাচ্ছে। তাই সেখানে অভিযান চালানো হয়।”
উপ কমিশনার মাসুদুর বলেন, আটক যুবকরা শিবিরকর্মী বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের পরিচয় যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
কনকর্ড টাওয়ারের একজন নিরাপত্তাকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পুলিশ ওই সময় ফোকাস কোচিং সেন্টারেও অভিযান চালায়।
তিনি বলেন, “পাঁচ বছর ধরে এই টাওয়ারে কাজ করি। মাঝে মধ্যে উপরে যাই। কখনও কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ দেখি নাই।”
তবে ঘটনার পর রেটিনা ও ফোকাস কোচিং সেন্টার তালাবন্ধ থাকতে দেখেছেন বলে জানান ওই নিরাপত্তাকর্মী।
এদিকে বিকালে ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের সঙ্গে তাদের সংগঠনের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
“ডিএমপি’র জনসংযোগ শাখার উপকমিশনার মাসুদুর রহমান এ বিষয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা শিবিরের বিরুদ্ধে চলমান ষড়যন্ত্রকেই প্রমাণ করে,” বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
শিবির আরো বলছে, ফার্মগেট এলাকা বা তার আশেপাশে তাদের কোনো ধরনের কর্মসূচি ছিলো না। আর নাশকতামূলক কোনো কর্মকাণ্ডে শিবির কোনোভাবেই জড়িত নয়।
রেটিনার ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৮ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি মেডিকেল কলেজের ভর্তি কোচিং চালিয়ে আসছে। সারা দেশে এ কোচিং সেন্টারের ১৩টি শাখা রয়েছে।
রেটিনা ও ফোকাস কোচিং সেন্টার শিবির দ্বারা পরিচালিত বলে মনে করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন