শনিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৭

ফেলানী হত্যার বিচারহীনতায় ব্যর্থতা আমাদের






কিছুদিন পরেই মেয়েটির বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কত স্বপ্ন, কত আশা, কত উচ্ছ্বাস ছিল নিজের বিয়েকে ঘিরে। কিন্তু ২০১১ সালে আজকের দিনটিতে অর্থাৎ ৭ জানুয়ারি, বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখল এক বুক স্বপ্ন নিয়ে ফেলানী ঝুলে আছে কাঁটাতারে।

ভারতীয়রা কতটা অসভ্য সেটা বিএসএস-এর বর্ডার কিলিং দেখলেই বোঝা যায়। বিএসএফ বাংলাদেশী সীমান্তে যে ভাবে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে তা মধ্য যুগের অসভ্যতা আর বর্বরতাকেও হার মানায়।আজকের এই দিনেই কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানী খাতুনকে গুলি করে হত্যা করে। এরপর তার নিথর দেহ কাঁটাতারের সঙ্গে পাঁচ ঘন্টারও বেশী সময় ঝুলিয়ে রাখে।



ফেলানী খাতুন ১৯৯৬ সালে জন্মেছিলেন, তখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা কি জানতেন যে, এই রকম এক বিখ্যাত কন্যা জন্মেছেন বাংলায়, যার মৃত ঝুলন্ত ছবি বিশ্বের প্রায় ৩০০/৪০০ কোটী মানুষ দেখবে?
২০১১ সালে ফেলানীর ১০ শ্রেনীর পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিলো,মেয়েটি যে ক্লাশে নেই, উহা কি শেখ হাসিনা জানতেন, আমাদের মন্ত্রী নাহিদ সাহেব জানতেন? আপনি বলবেন, উনারা কি করে জানবেন? ২০১১ সালেও, আমাদের মন্ত্রী নাহিদ সাহেবের কাছে ১টা ডাটাবেস ছিল, ডাটাবেসটি যদি ঠিক মতো ব্যবহার করা হতো, উনি জানতে পারতেন যে, ৭/৮ লাখ ফেলানী স্কুলে আসছে না।

মেজর জিয়ার ২ ছেলেকে পড়ানোর জন্য আমাদের প্রেসিডেন্ট জাতির পক্ষ থেকে বেগম জিয়াকে ২ টি বাড়ী, ১ টি গাড়ী, ১০ লাখ টাকা, চাকর বাকর সবই দিয়েছিলেন, শেখ হাসিনার ছেলেকে স্কুলে স্হান দিয়েছে ভারত সরকার,কিন্তু এই ২ মহিলার ১ জনও এই মেয়েটাকে স্কুলে নিতে পারলো না,কি রকম ২ হতভাগী আমাদের মাথার উপর সারাক্ষণ?

বাই দ্য ওয়ে,ফেলানী হত্যার বিচার আমরা পায়নি সত্য। কিন্তু এই বিচারহীনতার দায়টা কার? ভারতের?নাকি আমাদেরই?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন