শুক্রবার, ১১ জুন, ২০১০

মোবাইল ভাইরাস

বাংলাদেশে মোবাইল কন্টেট হিসাবে মোবাইল এর সফ্টওয়্যার রচনার সূচনা হয় CityCell এর বাংলা “এস,এম,এস” দিয়ে। তার পর থেকে এদেশের ছেলেরা প্রতিনিয়ত চেষ্টায় থাকে নতুন কিছু উদ্ভাবন করে বিশ্বকে তাগ লাগিয়ে দেবার জন্য। তেমনই একটি উদ্ভাবনের কাথা আজ আমরা আলোচনা করবো... আমরা প্রতিদিনের অতি প্রয়োজনীয এবং সহজ যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করচ্ছি।মোবাইল ফোন আর মোবাইল ফোনের মধ্য সিম্বিয়ান অপারেটিং সিষ্টেমের অন্তরভূক্ত মোবাইল ফোন সর্ব আধুনীক যার জন্য সকল বয়সের ব্যবহারকারীর কাছে সমাদ্রীত। বাংলাদেশের এক দল প্রোগ্রামার মিলে সিম্বিয়ান মোবাইল ফোনের কিছু ক্রটি/bug ব্যবহার করে একটি ভাইরাস রচনা করেছে। এখানে ক্রটি/bug ব্যবহার করে ভাইরাস রচনা করেছে এটা মূল বিষয় নয়, বিষয়টি হলো সিম্বিয়ান মোবাইল ফোনের ক্রটি/bug বের করার এবং তার সমাধান করার ক্ষমতা/ দক্ষতা অর্জন করা।হয়তো পাঠকরা শুনে অবাক হবেন যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত মোবাইল ফোনটি বিনামূলেয় প্রগ্রামার দলটি ভাইরাস রিমুভ করে দিচ্ছে। প্রগ্রামার দলটির সাথে কথবো-কখনে তারা জানায় আসলে মোবাইল ভাইরাস রচনা করে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের কোন ধরনের বিব্রতিকর পরিস্থিতে ফেলা তাদের উদ্দেশ্য না, এই দলটি চায় তাদের এই কাজটির মাধ্যমে সকল মহলে একটু সারা ফেলতে যাতে করে .. আমাদের দেশের প্রচুর প্রতিবাভান মেধাবী রয়েছেন যারা একটু সহযোগীতা এবং তাদের কাজের মূলায়নের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে লৰ মানুষের ভীরে। এই সকল মেধাবীদের মানুষ চিনুক আদের কাজের সঠিক মূল্যাযন হোক। সামান্য তম সাহয্য- সহযোগিতা পেলেই আইটি খাত থেকে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মূদ্যা অর্জন করতে পারবে। আইটি খাত বাংলাদেশের মত একটি উন্নয়নশীল দেশের জন্য খুবই সম্ভাবনাময় খাত তাই সরকার এবং সকল বিনিয়োগকারীদের নিকট আকুল অনুরোধ থাকবে তারা যেন আইটি খাত এবং আমাদের দেশের প্রতিবাভান মেধাবী ছেলে-মেয়েদের পাশে এসে দাড়িয়ে দেশ এবং জাতীর উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
ছবি
মোবাইল ভাইরাস সম্পর্কে বলবার আগে মেবাইল ভাইরাস কি সেই সম্পকে একটু আলোচনা করি:
মোবাইল ভাইরাস কম্পিউটার ভাইরাসের মতই মোবাইলের জন্য এক ক্ষতিকর প্রোগ্রাম যা একটি মোবাইলকে আক্রান্ত করে ক্ষতি সাধন করে এবং অন্য মোবাইলে অতি দ্রুত ছড়াতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে। প্রথম মোবাইল ফোন ভাইরাস ১৫ জুন ২০০৮ সালে আসে এবং পড়ে আরো কিছু ভাইরাস এর খবর পাওয়া যায়। এখন পযন্ত মোবাইলের জন্য ছোট বড় প্রায় দশ হাজার মোবাইল ভাইরাস রয়েছে যার সংখ্যা প্রতি নিয়ত বাড়ছে।এই সময়ের ভাইরাস “বাংলা ভাই মোবাইল গেম” সম্পর্কে আলোচনা করি,..... কম্পিউটারের ভাইরাস ইন্টারনেট থেকে ফাইল ডাউনলোড এবং ব্রাউজ করার সময়,ভা্রাস আক্রান্ত পিসি থেকে ডেটা শেয়ারে সহ বিভিন্ন ভাবে ব্যবহারকারির অজানতেই তার কম্পিউটারের ভাইরাস ছড়ায়।
কম্পউপারের ভাইরাসের মত মোবাইল ভাইরাস ও ইন্টারনেট থেকে ওয়েব ব্রাউজ সহ বিভিন্ন ফাইল ডাউনলোডের (রিংটোন, ওয়াল পেপার, থিম ডাইনলোড করার সময়) সময় ছড়ায়। মোবাইল টু মোবাইল, মোবাইল টু পিসি ডাটা শেয়ারের সময় ও ভাইরাস ছড়াতে পারে। শুধু তাই নয় বলটুথের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে মোবাইল ভাইরাস মোবাইল ব্যবহার কারীর অজানতে ছড়ায়। এবার জেনে নেওয়া যাক নতুন এই ভাইরাসটি সম্পর্কে।
ছবি
ভাইরাস "বাংলা ভাই মোবাইল গেমস"
"বাংলা ভাই মোবাইল গেমস" বা Commwarrior-Fontal.A" ভাইরাসটি Commwarrior.A এবং Fontal.A এর সমন্বয়ে তৈরি করেছে বাংলাদেশের এক দল প্রোগ্রামার। এই ভাইরাসটি ব্লুটুথ এবং এম.এম.এস এর মাধ্যমে ছড়ায়। কোন মোবাইল ফোন আক্রান্ত করা মাএ ভাইরাসটি ব্লুটুথ এর মাধ্যমে অন্যান্য মোবাইল ফোনে ছড়াতে থাকে।এই ভাইরাসটি আক্রান্ত মোবাইল ফোন অনবরত রিস্টার্ট নিতে থাকে এবং মোবাইল ফোনটির সকল Alphabet উধাও হযে যায় অথাৎ মোবাইল ফোনটিতে কোন অক্ষর থাকে না।এছাড়াও মোবাইলটির এপ্লিকেশন ম্যানেজার ক্ষতিগ্রস্থ হয়।একটি সময়ের পর এই ভাইরাস আক্রান্ত মোবাইল ফোনের সিষ্টেম ক্র্যাশ করে এবং মোবাইলটি অকাজ্য করে ফেলে। এই ভাইরাসটি আক্রান্ত মোবাইল ফোনটি অতিদ্রুতএউ প্রোগ্রামারদের নিকট অথবা NOKIA CARE এ নিয়ে ফোনটি কে ফ্লাস্‌ করিয়ে নিতে হবে। এখন পযন্ত এই ভইরাসটির জন্য কোন Antivirus নেই সূতরাং কালক্ষেপন নাকরাই হবে উতম। আর মোবাইল ফোনটি একটু সর্তকতার সাতে ব্যবহার করলেই এই ধরনের বিব্রতিকর পরিস্খিতি থেকেও রক্ষ পাওয়া সম্ভব হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন