শুক্রবার, ১১ জুন, ২০১০

২০১১ সালে বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাবহারকারীর সংখ্যা ৭০ মিলিয়ন হবে

বেশ কয়েকটি বাজারের গবেষণা উপাত্ত বিশ্লেষন করে ধারণা করা হচ্ছে, ২০১১ সালে বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাবহারকারীর সংখ্যা ৭ কোটি হবে। এশিয়ার রমরমা মোবাইল বাজারগুলোর একটি বাংলাদেশের বর্তমান মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪ কোটি। খবর রয়টার্সের।

bangladeshcellphone1.gifনরওয়ে ভিত্তিক টেলিনর কোম্পানি কর্তৃক পরিচালিত বাংলাদেশের শীর্ষ মোবাইল ফোন কোম্পানি গ্রামীনফোন বিভিন্ন পাবলিক অফারের মাধ্যমে গ্রাহক চাহিদা পূরণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। টেলিকম রেগুলেটর এর তথ্য মতে, গ্রামীন ফোনের মোট গ্রাহক সংখ্যা এ বছরের জুন মাসে ছিল ২ কোটি ৩ লাখ ১০ হাজার , জুলাইয়ে তা বেড়ে দাড়ায় ২ কোটি ৮ লাখ ৪০ হাজার।

২য় স্থানে অবস্থানকারী মিশর ভিত্তিক ওরাসকম টেলিকমের বাংলালিংক টেলিকম জুলাইয়ে ৪ লাখ ৪০ হাজার নতুন গ্রাহক সংগ্রহ করে। বাংলালিংকের বর্তমান গ্রাহকসংখ্যা প্রায় ১ কোটি।
টেলিকম মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনালের মালিকানাধীন একটেলের অবস্থান ৩য়। জুলাইয়ে ১ লাখ ৩০ হাজার গ্রাহক যোগ করায় মাস শেষে তাদের মোট গ্রাহক সংখ্যা দাড়ায় ৭৯ লাখ ৮ হাজারে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওয়ারিদ টেলিকম ২০০৭ এর মে মাসে বাংলদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। জুলাই মাসের শেষে তাদের গ্রাহক সংখ্যা ৩৩ লাখ ১ হাজার থেকে ৩৪ লাখ ৮ হাজারে এসে দাঁড়ায়।

প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম ও সিঙ্গাপুর টেলিকমিউনিকেশনের যৌথ মালিকানায় পরিচালিত বাংলাদেশের একমাত্র সিডিএমএ মোবাইল কোম্পানি সিটিসেল হাঁটছে উল্টোপথে। জুনে যেখানে তাদের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ সেখানে জুলাইয়ের শেষে তাদের গ্রাহক সংখ্যা কমে দাড়ায় ১৬ লাখ ৭০ হাজারে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল ফোন কোম্পানি টেলিটক এখনও ১০ লাখের মাইলফলক পার হয়নি। জুলাই মাসের শেষে তাদের মোট গ্রাহক হয় ৯ লাখ ৩০ হাজার জন।

বাংলাদেশ টেলিকম রেগুলেটরি কমিশনের মতে, প্রতিযোগিতা মূলক ট্যারিফ আর সস্তা হ্যন্ডসেটের সাহায্যে মোবাইল ফোন ব্যাবহারকারীর সংখ্যা প্রায় শতকরা ৫৮ ভাগ বৃদ্ধি পেয়ে ২০০৭ সালে দাড়ায় ৩ কোটি ৪৪ লাখে।

‘মোবাইল বেঞ্চমার্ক স্টাডিজ ইন সাউথ এশিয়া এন্ড ল্যাটিন আমেরিকা’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে জানান হয় যে, সর্বস্তরের মোবাইল ব্যাবহারের জন্য বাংলাদেশে গড় মাসিক খরচ সবচেয়ে কম।

মোবাইল ফোন সার্ভিস এই অঞ্চলের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখছে। উল্লেখ্য, এদেশের মোট ল্যান্ড লাইন গ্রাহক সংখ্যা ১২ লাখ ৭০ হাজার।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন