কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষ্যে ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট
মিডিয়ার সম্পাদক সাংবাদিকদের সাথে গত মঙ্গলবার বিকেলে রিটানিং অফিসার
মতবিনিময় করেন। রিটানিং অফিসারের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রিটানিং অফিসার আব্দুল বাতেন বলেন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে
একটা লেবেল প্লেইং অবস্থায় নিতে হবে।
নগর জুড়ে ডিজিটাল ব্যানার, ফেষ্টুন,
রঙ্গীন পোষ্টার তফসীল ঘোষনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অপসারনের নির্দেশে সাধারণ
প্রার্থীর ব্যাপক সাড়া দেয়। পুরো নগর ৯ জন ম্যাজিষ্ট্রেটের ভ্রাম্যমান দল
আচরন বিধি ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দিন রাত কাজ করছে। তফসীল
ঘোষনার পর এ পর্যন্ত ২২ জনকে এ টিম সতর্ক ও জরিমানা করে বলেও তিনি জানান।
১৪ ডিসেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। বৃহস্পতিবার প্রতীক বরাদ্দ।
অনেক প্রার্থী হয়তো ভাবছেন বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারনা চালাবেন,
প্রতীক বরাদ্ধের পর থেকে সেটাও সম্ভব হবে না। সাদাকালো পোষ্টার আর ক্যাবল
টিভির মাধ্যমে কিছু প্রচারনা করা যাবে। নারায়নগঞ্জের ৫৮ টি কেন্দ্রে ইভিএম
ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে নির্বাচনী কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন বলেন সেখানে
সাড়ে ৪ শতাধিক কক্ষ ছিল। কুমিল্লায় ৬৫টি ভোটকেন্দ্র, কক্ষ বয়েছে মাত্র ৪২১
টি। এ জন্য কমিশন এখানে পুরোপুরি ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহারের চিন্তা করেছে।
তিনি আরো বলেন, ইভিএম পদ্ধতি সর্ম্পকে জনগনকে অবহিত করতে নির্বাচন অফিস,
টাউনহল মাঠ, টমছমব্রীজ, চকবাজার এলাকায় প্রর্দশনী চলছে। প্রতীক বরাদ্ধের পর
৬৫ টি কেন্দ্রে ইভিএম সর্ম্পকে প্রচরনার ব্যবস্থা করা হবে। তার বাইরে
নগরীর ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজ, কুমিল্লা সরকারী কলেজ, সরকারী মহিলা কলেজ সহ
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইভিএম প্রর্দশনীর ব্যবস্থা এবং ২০ থেকে ২৫
জানুয়ারী সময়ে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের ইভিএম,
সর্ম্পকে প্রশিক্ষন দেওয়া হবে। প্রশিক্ষক হিসেবে থাকবে বুয়েটের
শিক্ষকবৃন্দ। জেলা তথ্য অফিস ও ক্যবল অপারেটরদের মাধ্যমেও প্রচারনা চলবে।
নির্বাচনে নিরাপত্তার বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, কমঝুকিপূর্ণ
কেন্দ্রে ২২ জন এবং ঝুকিপূর্ন কেন্দ্রে ২৪ জন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনীর লোক দায়িত্ব পালন করবে। তাছাড়া বাইরে থাকবে অতিরিক্ত কোর্স ও কিছু
কিছু কেন্দ্রের নিরাপদ দুরত্বে আরো ৮ জন করে র্যাব বা আমর্ড ফোর্স সদস্য
নিয়োগ হবে। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে র্যাবের মোবাইল টিম, ০৫টি স্পেশাল
রিজার্ড ফোর্স ও থাকবে। প্রতীক বরাদ্দের পর নতুন করে ৯ জন নির্বাহী
ম্যাজিষ্ট্রেটেকে নিয়োগ দেয়া হবে। নির্বাচনের পূর্বে ও পরে অনাকাক্ষিত
পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ও ২৭টি ওয়ার্ডে ২৭ জন ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ দেয়া
হবে। অতিরিক্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য ৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটও
এসময় এখানে দায়িত্ব পালন করবেন। মতবিনিময় সভায় আরো বলা হয় ১৫ ডিসেম্বর
প্রতীকর বরাদ্দের পর নগরীতে চিরুনী অভিযান চালানো হবে। ৭ দিন পূর্বে বৈধ
অত্র জমাদানের নির্দেশেও রয়েছে। এর বাইরে কুমিল্লার আদর্শ সদর ও আর্দশ সদর
দক্ষিন থানায় আইন শৃংঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার জন্য দু’জন ‘ও সি’ র সাথে
কাজ করতে অতিরিক্ত ২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। উল্লেখ্য কুমিল্লা সিটি
কর্পেরেশন নির্বাচনে ৬৫ টি কেন্দ্রের সবকটিতেই সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা
হবে। নির্বাচন কর্মকর্তা আরো বলেন, কেন্দ্রের কাছের এলাকার লোকজনদের কোন
কেন্দ্রেই প্রজাইডিং কিংবা পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করতেও দেয়া হবে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন