শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

নেটওয়ার্কিং (NETWORKING) ধারাবাহিক টিউটোরিয়াল :পর্ব -২

কম্পিউটার নেটওয়ার্কের উপাদানসমূহ

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে কম্পিউটারের বাইরে আরো কিছু অত্যাবশ্যকীয় উপাদানের প্রয়োজন হয় । কোন নেটওয়ার্কে কি কি উপাদান প্রয়োজন হবে তা নির্ভর করে ঐ নেটওয়ার্কের ধরন এবং বিস্ত্রৃতির উপর ।
নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড বা নিক
এটিকে নিক বাদেও আরো অনেক নামে ডাকা হয় সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নেটওয়ার্ক কার্ড ও নেটওয়ার্ক এডাপ্টার । এটি এমন একটি  হার্ড ওয়্যার যা প্রতিটি কম্পিউটারে ইন্সটল থাকতে হবে। এটি একটি কম্পিউটারের সাথে অন্য কম্পিউটারের ফিজিক্যালি সংযোগ স্থাপন করে ।এটি ডিজিটাল আকারে ডেটা একটি লেন্দেন করে থাকে । নেটওয়ার্ক কার্ডের একটি পোর্ট নেটওয়ার্ক ক্যাবলের সাথে যুক্ত থাকে । এটিকে সক্রিয় করার জন্য একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয় সেটিকে বলা হয় নিক ড্রাইভার । নিক যথাযথ ভাবে স্লটে স্থাপন করার পর পরেই নিক ড্রাইভার ইন্সটল দিতে হয় । অবশ্যই বর্তমানে সকল অপারেটিং সিস্টেম নিজ থেকে নিক কে চিনে নেয় ।এজন্য আলাদা করে সফটওয়্যার ইন্সটল দিতে হয় না
রিপিটার(REPEATER)
নেটওয়ার্ক ট্রান্সমিশন মিডিয়ার মধ্যে দিয়ে যখন ইলেকট্রনিকম্যাগনেটিক ওয়েব চলতে থাকে তখন মিডিয়া সিগন্যালকে দুর্বল করে ফেলে । দুর্বল করার এই সিস্টেমকে বলা হয় এটিনিউয়েশন । এটিনিউয়েশন মিডিয়ার মধ্যে চলাচল কারী সিগন্যালের অতিক্রম যোগ্য সীমানরইপরিমান ঠিক করে দেয় । এটিনিউয়েশন সংক্রান্ত বাধা দূর করার জন্য রিপিয়ার ব্যবহার করা হয়
ব্রিজ(BRIGE)
নন- রাউট্যাবল প্রোটোকলের ক্ষেত্রে সিগন্যালকে এক সেগমেন্ট থেকে অন্য সেগমেন্ট পাঠাতে ব্রিজ ব্যবহার হয় । ব্রিজ ছোট খাটো নেটওয়ার্কের জন্য অনেক কার্যকারী কানেকটিভিটি ডিভাইস ।
রাউটার (ROUTER)
আপনার সবাই কম বেশি রাউটারের নাম শুনেছেন । লজিক্যালি পৃথক এমন কিছু নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করতে রাউটার ব্যবহার হয়ে থাকে । রাউটার সংযোগ প্রদানের কাজতি সম্পন্ন করে থাকে বড় বড় নেটওয়ার্ককে ছোট ছোট লজিক্যাল নেটওয়ার্ক সেগমেন্ট থেকে অন্য সেগমেন্টকে বিভক্ত করার মাধ্যম । এ জাতিয় ছোট ছোট সেগমেন্ট কে বলা হয় সাব নেটওয়ার্ক । রাউটার এ জাতীয় সাব নেটওয়ার্কের বিপরীতে একটি করে এড্রেস বরাদ্ধ থাকে ।
ব্রাউটার(BROUTER)
ব্রাউতার হচ্ছে রাউটার এবং ব্রিজের সমষ্টি । এটি ব্যবহারের প্রধান সুবিধা হচ্ছে এটি দ্বারা যেকোন প্রোটোকল রাউটিং করা যায় ।রাউটিং হচ্ছে ডেটা প্যাকেট এক সেগম্যান্ট থেকে অন্য সেগম্যান্টে প্রেরন পদ্ধতি । ব্রাউটার মুলত একটি সফটওয়্যার যা কিনা রাউটারের উপর কাজ করে । 
গেটওয়ে (GATEWAY)
রাউটার শুধু মাত্র ঐ সকল নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করতে পারে যে সকল নেটওয়ার্কের প্রোটোকল সমূহ একই পদ্ধতিতে কাজ করে । আর একই পদ্ধতিতে কাজ না করে তাহলে রাউটারের থেকে অধিক শক্তিশালী ও বুদ্ধিমান ডিভাইসের প্রয়োজন হয় আর সেই ডিভাইসটির নাম হচ্ছে গেটওয়ে
হাব (HUB)
হাবের অন্য নাম হচ্ছে সুইচ । হাব নেটওয়ার্কের একটি অতন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা স্টার টপোলজিতে  একটি কেন্দ্রিয় ডিভাইস হিসেবে কাজ করে । বর্তমানে হাবের পরিবর্তে সুইচ ব্যবহার হচ্ছে । সুইচের সাথে হাবের পার্থক্য হচ্ছে সুইচ তার টার্গেট পোর্টে সরাসরি আঘাত করে কিন্তু হাব তার টার্গেট পোর্ট ছাড়াও অন্যান্য পোর্টেও আঘাত করে । এক্ষেত্রে টার্গেট পোর্ট সিগন্যাল গ্রহণ করে এবং অন্যান্য পোর্ট গুলো তা অগ্রাহ্য করে ।
ট্রান্সমিশন মাধ্যম (TRANSMISSION MEDYA)
যার মাধ্যমে একটি একটি নেটওয়ার্কের কম্পিউটার অন্য নেটওয়ার্ক কম্পিউটারের গুলোর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে তাকে ট্রান্সমিশন মাধ্যম বলে ।যেমনঃ ক্যাবল, রেডিও ওয়েব , মাইক্রো ওয়েব ইত্যাদি ।
ক্যাবল কানেক্টর (CABLE CONNECTER)
কানেক্টর অবস্থান করছে ক্যাবল এবং ইন্টারফেস কার্ডের মধ্যে । অর্থাৎ এটি ক্যাবল এবং নিক(NIC) এর মাঝে সংযোগ স্থাপন করেছে ।
প্রোটোকল ড্রাইভার ( PROTOCOL DRIVER)
 
Protocol driver with data source as “SQLServer_destination”
প্রোটোকল একটি অন্য একটি নাম হচ্ছে নেটওয়ার্কের ভাষা ।এটি নিশ্চয় আপনাদের বুঝিয়ে ব্লতে হবে না নেটওয়ার্কের ভাষা নেটওয়ার্কের জন্য কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ ।প্রোটোকলের দ্বারা নেটওয়ার্কের ডেটা একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পাঠানো হয় । এটি সেটআপের আগে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে আপনার প্রতিটি ক্লায়েন্ট এবং সার্ভার কম্পিউটার অভিন্ন প্রোটোকল ড্রাইভার ব্যবহার করে । বর্তমানে বহুল ব্যবহার হয় এ সকল প্রোটোকল হচ্ছে নেতবই, আইপিএক্স এবং আইপি ।
ডেটা প্যাকেট (DATE PACKET)
আপনার সকলেই ডেটা কি সে সম্পর্কে অবগত আছেন । ডেটা নেটওয়ার্কে প্যাকেট আকারে চলাচল করে।ডেটা প্যাকেটে থাকে বাইনারি বা ডিজিটাল আকারে অর্থাৎ ১ এবং ০ হিসেবে। নেটওয়ার্কিং এর সকল কাজই সম্পূর্ণ হয় ডেটাকে ঘিরে । নেটওয়ার্কিং এর জন্য যেমন ডেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তেমনি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ডেটা প্যাকেট ।ডেটা প্যাকেট হচ্ছে হচ্ছে অনেকটা চিঠি এর অন্য রুপ মানে চিঠির যেমন একটি সাইজ থাকে তেমনি ডেটা প্যাকেটের একটি নির্দিষ্ট সাইজ বিদ্যমান থাকে । একটি ছোট আকৃতির ডেটা প্যাকেটের সাইজ হচ্ছে মোটামুটি ২০০ বাইট এবং একটি বড় সাইজের ডেটা প্যাকেটের সাইজ হচ্ছে ২০ মেগাবাইট ।চিঠির যেমন একটি গন্তব্য নির্দিষ্ট করে দিতে হয় তেমনি ডেটা প্যাকেটেরও একটি নির্দিষ্ট গন্তব্য ঠিক করে দিতে হয় । প্রকৃত পক্ষে প্রত্যেকটি ডেটা প্যাকেটের প্রেরক এবং প্রাপক উভয়ই এড্রেস ই সংযুক্ত থাকে । যদি ডেটা প্যাকেটে কোন রুপ সমস্যা দেখা দেয়  তাহলে ডেটা প্যাকেট পুনরায় প্রেরনের জন্য প্রাপক ডিভাইস প্রেরন ডিভাইসের সাথে যোগাযোগ করে
প্রতিটি ডেটা প্যাকেটে একটি প্রোটকল আইডি থাকে । এই আইডির সাহায্যে নেটওয়ার্ক ডিভাইস গুলো জানতে পারে কি ভাবে ডেটা প্যাকেটকে ডিকোড করার মাধ্যমে বিষয় বস্তু উদ্ধার করা যাবে । এছাড়া ডেটা প্যাকেট এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে যাবার সময় বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে । এ সকল সমস্যা দ্বারা আক্রান্ত ত্রুটি পূর্ণ ডেটা প্যাকেট চিন্হিত করার জন্য ডেটা প্যাকেটে একটি সাইক্লিক রিডানডেন্সি
(CRC)চেক ফিল্ড সংযোজন করা হয় । প্রেরক ডিভাইস প্যাকেটের ডেটা ব্যবহার করেই সি আর সি ফিল্ডের মান নির্ধারণ করা হয় ।
(নেটওয়ার্ক সিগনাল)NETOYARK SIGNAL
ট্রান্সমিশনের জন্য কম্পিউটার সিগন্যাল তৈরি করে অন্য কম্পিউটারে ক্যাবলে প্রেরন করে থাকে । কপার ক্যাবল ডেটাকে চিহ্নিত করে ইলেক্ট্রনিক সিগন্যাল ফাইবার অপটিক্যাবল ডেটাকে লাইট পালস হিসেবে চিনিয়ে থাকে । প্রাপক কম্পিউটার তার সিগন্যালকে সফটওয়্যারের সাহায্যে তার বোধগম্য করে পরিবর্তন করে নেয় এবং প্রয়োজনে প্রসেস করে থাকে
নেটওয়ার্ক প্রোটোকল (NETWORK PROTOCOL)
ট্রান্সমিশনের জন্য কম্পিউটার ডিজিটাল সিগন্যাল তৈরি করে তা অপর কোন কম্পিউটারে প্রেরনের জন্য অন্য কম্পিউটারে ছেড়ে দেয় । কপার ক্যাবল ডেটাকে চিহ্নিত করে ইলেক্ট্রনিক সিগন্যাল আর ফাইবার অপটিক্যাল ফাইবার ডেটাকে লাইট পালস হিসেবে চিনে রাখে । প্রাপক কম্পিউটার এই সিগন্যাল সফটওয়্যারের সাহায্যে তার বোধগম্য উপযোগী বাইনারি বা ডিজিটাল সিগন্যাল পুনরায় পরিবর্তন করে নেয় এবং প্রয়োজনে প্রসেস করে থাকে 

নেটওয়ার্ক লেয়ারের মধ্য দিয়ে ডেটা প্যাকেট চলাচলের পদ্ধতি colorful butterflycolorful butterflycolorful butterfly

নেটওয়ার্ক ডেটা বিনিময়ের জন্য প্রতিটি ডিভাইস বা কম্পিউটারের একটি স্বতন্ত্র নেটওয়ার্ক এড্রেস থাকতে হয় । এর ফলে নেটওয়ার্ক ট্যাগকৃত প্রাপক কম্পিউটারে ডেটা পৌছে দিতে সক্ষম হয় । এপ্লিকেশন সমূহে আলাদা আলাদা এড্রেস থাকার জন্যই আইএসও মডেলের ট্রান্সপোর্ট লেয়ার একই সময়ে একাধিক এপ্লিকেশন সাপোর্ট করতে সক্ষম হয় ।
নেটওয়ার্কের বিভিন্ন লেয়ারের মধ্য দিয়ে ডেটা বিনিময়ের বিষয়টি সহজে বুঝার জন্য আইএসও বা ওআইএস মডেলকে তিন ভাগে ভাগ করা হয় ।যথাঃ
       ╬╬  এপ্লিকেশন লেয়ার 
   ╬╬ ট্রান্সপোর্ট লেয়ার
                 ╬╬নেটওয়ার্ক একসেস লেয়ার  
আসুন তাহলে একটি উদাহরণ দিয়ে শিখা যাকঃ
X কম্পিউটারের কোন এপ্লিকেশন Y কম্পিউটারে কিছু ডেটা পাঠাতে  চায় । এক্ষেত্রে X কম্পিউটার ডেটা প্যাকেটটি ট্রান্সপোর্ট লেয়ারে পাঠাবে । X কম্পিউটার স্থে সাথে একটি নির্দেশ  দিয়ে দিবে যেন ডেটা প্যাকেটটি Y কম্পিউটারের সংশ্লিষ্ট এপ্লিকেশনে জমা দেয়া হয় । ট্রান্সপোর্ট লেয়ার ডেটা প্যাকেটটিকে নির্দেশনা সহ নেটওয়ার্ক একসেস লেয়ারের নিকট হস্তান্তর করে । নেটওয়ার্ক একসেস লেয়ার ঐ ডেটা প্যাকেটের সাথে আরো একটি নির্দেশনা যোগ করে এই মর্মে যেন কমিনেকেসন নেটওয়ার্ক  ডেটা প্যাকেটটি  Y কম্পিউটারের নিকট পৌছে দেয় । নেটওয়ার্ক প্যাকেট ঠিকমতো প্রাপক কম্পিউটারের নিকট পৌছানোর জন্য  নেটওয়ার্ক শুধু প্রাপক কম্পিউটারের এড্রেস জানলেই হবে । আর কোন বিস্তারিতর প্রয়োজন হয় না । 
এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা প্রেরনের ক্ষেত্রে প্যাকেটের সাথে কন্ট্রোল সিগন্যাল ও পাঠাতে হয় । আসুন দেখা যাক কি ভাবে পাঠাতে হয় ।
X কম্পিউটারের কোন এপ্লিকেশন প্রোগ্রাম একটি ডেটা প্যাকেট Y কম্পিউটারে পাঠানোর জন্য উৎপন্ন করে ট্রান্সপোর্ট লেয়ারে আগ্রায়ন করেছে ।   কম্পিউটার ট্রান্সপোর্ট লেয়ার ডেটা প্যাকেটটিকে আরো সুস্থ ব্যবস্থাপনার জন্য একে কয়েকটি খণ্ডে বিভক্ত করবে ।ডেটা প্যাকেটের প্রতিটি খণ্ডে ট্রান্সপোর্ট লেয়ার ট্রান্সপোর্ট হেডার যোগ করবে ।ট্রান্সপোর্ট হেডারের মধ্যে প্রটোকল সম্পর্কিত তথ্য থাকবে ।   ডেটা প্যাকেট যখন ট্রান্সপোর্ট লেয়ার থাকে নেটওয়ার্ক একসেস লেয়ারে পৌছাবে তখন নেটওয়ার্ক একসেস লেয়ার ট্রান্সপোর্ট লেয়ারের মত ঠিক একই ভাবে নেটওয়ার্ক হেডার যোগ করবে । নেটওয়ার্ক লেয়ার ডেটা প্যাকেটটি নেটওয়ার্ক  একসেস পিডিইউ নামে পরিচিত । ডেটা প্যাকেটটি যখন Y কম্পিউটারের  নেটওয়ার্ক একসেস লেয়ার থেকে  ট্রান্সপোর্ট লেয়ারে যাবে তখন ট্রান্সপোর্ট লেয়ার হেডারটি বর্জন করবে ।আবার যখন Y কম্পিউটারের  নেটওয়ার্ক ট্রান্সপোর্ট লেয়ার থেকেএপ্লিকেশন লেয়ারে যাবে তখন এপ্লিকেশন  লেয়ার হেডারটি বর্জন করবে । এ প্রক্রিয়ায় X কম্পিউটারের কোন এপ্লিকেশন থেকে Y কম্পিউটারের টার্গেট এপ্লিকেশনে ডেটা প্যাকেটটি পৌছে  যাবে । 

         
ডিপার্টমেন্ট অফ ডিফেন্স বা ডড মডেলValentine's Day and mailValentine's Day and mailValentine's Day and mailValentine's Day and mail

এর আগে আমরা দেখেছি ওআইএস মডেলের নেটওয়ার্ক  স্তর  মোট সাতটি । কিন্তু ডড মডেলে স্তর আছে চারটি । ওআইএস মডেলের সাতটি স্তরকে পুনর্গঠন করেই ডড মডেলের চারটি স্তর তৈরি করা হয়েছে । দুটি মডেলকে তুলনা করলে এদের পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে যাবে। 
ডড  মডেলের নেটওয়ার্ক একসেস স্তর ওআইএস  মডেলের নেটওয়ার্ক একসেস স্তর  ওআইএস মডেলের ফিজিক্যাল ও ডেটালিংক স্তর দুটি প্রতিস্থাপন করেছে ।নেটওয়ার্ক একসেস স্তরের প্রধান কাজ হচ্ছে ডেটা ম্যাধমকে চিহ্নিত করা , ডেটা ফার্মিং এবং নেটওয়ার্ক যোগাযোগ স্থাপন করা । ওআইএস মডেলের নেটওয়ার্ক স্তরটি ডড মডেলে অনুপস্থিত । ডড মডেলে ইন্টারনেট রাউটিং  এর কাজ সম্পন্ন হয় ।
হোস্ট টু হোস্ট   স্তরটি নেটওয়ার্কের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ডেটা ফ্লো  নিয়ন্ত্রন করে । এ স্তরটি ডিভাইস সমূহ খুজে বের থাকে ।এছাড়া লেয়ারে উচ্চ পর্যায়ের সংযোগ প্রদান করে থাকে । হোস্ট টু হোস্ট ডেটা প্যাকেট সেগমেন্ট উন্নয়নের কাজটিও এখানে সম্পন্ন হয় । 
ডড মডেলের সর্ব শেষ স্তর হচ্ছে প্রসেস স্তর । প্রসেস স্তরটি ওএসআই মডেলের সেশন , প্রেজেন্টেশন এবং এপ্লিকেশন এ সবগুলো স্তরে কাজ করে । এখানে উল্লেখ্য  করা প্রয়োজন যে টিসিপি/ আই পি প্রোটোকল সাধারণত ডড মডেল অনুযায়ী কাজ করে । 

 এনডিআইএস এবং ওডিআই স্ট্যান্ডার্ড Stickman and billStickman and billStickman and billStickman and bill

নেটওয়ার্কভুক্ত পিসি ব্যবহারকারীরা যা আশা করেন তাহলো তাদের পিসিতেঁ  যেন একাধিক প্রোটোকল লোড করা থাকে যদিও  কোন কোন ক্ষেত্রে ঐ পিসিতে নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড বা নিক মাত্র একটি থাকে । একাধিক প্রোটোকল ইন্সটল থাকলে ইউজাররা  নেটওয়ার্কে বিভিন্ন প্রকারের নেটওয়ার্ক কার্ড ব্যবহার করতে সক্ষম হয় । এই সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবহার করতে হয় ড্রাইভার ইন্টারফেস । যেমনঃ NDIS ( NETWORK DRIVER INTERFACE STANDARD) এবং ODI ( OPEN DATE LINK INTERFACE)

নেটওয়ার্ক লেয়ারের মাঝে দিয়ে ডেটা প্যাকেট চলাচল পদ্ধতি


নেটওয়ার্ক ডেটা বিনিময়ের জন্য প্রতিটি কম্পিউটারে একটি নেটওয়ার্ক এড্রেস থাকতে হয় এটি কি আবার নতুন করে জানাতে হবে।তাহলে এখন আর আইপি এড্রেস বা নেটওয়ার্ক এড্রেস নিয়ে আলোচনা না করলেও হয় । নেটওয়ার্কের বিভিন্ন লেয়ারের মধ্য দিয়ে ডেটা আদান প্রদানের সুবিধার জন্য OSI মডেলকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে । ভাগ গুলো হচ্ছেঃ
1.Application Layer
2.Transport Layer
3.Physical and Network Access Layer
আসুন এখন দেখা যাক এরা কি করে কাজ করে ধরুন আমরা X কম্পিউটার থেকে Y কম্পিউটারে ডেটা পাঠাব । এক্ষেত্রে X কম্পিউটার ডেটা প্যাকেটটি ট্রান্সপোর্ট লেয়ারে পাঠাবে এবং  তখন  X এটিও বলে দিবে যে ডেটা প্যাকেটটি Y কম্পিউটারের সংশ্লিষ্ট এপ্লিকেশনের নিকট পাঠিয়ে দেয় । ট্রান্সপোর্ট লেয়ার আরও একটি নির্দেশ দিয়ে ডেটা প্যাকেটটি নেটওয়ার্ক   একসেস লেয়ার পাঠিয়ে দিবে । তখন একসেস লেয়ার ডেটাটিকে আরেকটি নির্দেশ দিয়ে পাঠিয়ে দিবে কমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের নিকট তখন কমিউনিকেশন  ডেটা প্যাকেটটি Y কম্পিউটারের নিকট  পৌছে দেয়  । আশা করি নিচের চিত্র দেখলে সম্পূর্ণ ক্লিয়ার হয়ে যাবেন
একটি কম্পিউটার থেকে অন্য একটি কম্পিউটারে ডেটা ট্রান্সফার হচ্ছে
 
ডেটা লেয়ারের সাথে কন্ট্রোল ইনফরমেশন যোগ হচ্ছে প্রতিটি লেয়ারে

 

Irish dancing elfডিপার্টমেন্ট অফ ডিফেন্স বা ডড মডেল (DOD MODEL)Irish dancing elf


ডড মডেলের স্তর হচ্ছে চারটি
 ওএসএই মডেলের সাতটি স্তরকে পুনর্গঠন করেই ডড মডেল তৈরি করা হয় । এই দুটি মডেলকে যদি এক করে তুলনা করা হয় তবেই এদের পার্থক্য গুলো স্পষ্ট হয়ে যাবে ।
১… নেটওয়ার্ক একসেস 
ডড মডেলের নেটওয়ার্ক একসেস ওএসআই মডেলের ফিজিক্যাল ও ডেটা লিংক এ দুটি স্তরের সমমানের । নেটওয়ার্ক একসেসের প্রধান কাজ হচ্ছে ডেটা মাধ্যমকে চিহ্নিত করা , ডেটা ফ্রেমিং এবং নেটওয়ার্ক যোগাযোগ স্থাপন করা ।
২…ইন্টারনেট 
ওএসআই মডেলের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্তর নেটওয়ার্ক স্তরটি ডড মডেলে নেই  । এখানে ইন্টারনেট স্তরে রাউটার তার কাজ সম্পূর্ণ করে ।
৩ …হোষ্ট টু হোষ্ট
হোষ্ট টু হোষ্ট স্তরটি নেটওয়ার্কের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে  ডেটা ফ্লো নিয়ন্ত্রন করে । এখানে ডিভাইস সমূহ খুঁজে বের করা হয় । এছাড়া এখানে উচ্চ পর্যায়ের লিংক আপ করা হয় । তাছারাও এই লিংকে ডেটা প্যাকেট সেগমেন্টের কাজ ও করা হয় ।
৪…প্রসেস 
ডড মডেলের সর্ব শেষ স্তরটি হচ্ছে প্রসেস । এই স্তরটি ওএসআই মডেলের সেশন , প্রেজেন্টেশন এবং এপ্লিকেশন এই সকল স্তরের কাজ সম্পন্ন  করে ।
এখানে বিশেষ ভাবে জানানো দরকার যে টিসিপি /আইপি প্রোটোকল  সাধারণত ডড মডেলের  অনুযায়ী হয় ।
Networking-for-latino-mbas-LAM-Social-Clubj
Random image: Atoms with three electronsএনডিআইএস এবং ওডিআই স্ট্যান্ডার্ড (NDIS and ODI Standard)Random image: Atoms with three electrons

নেটওয়ার্ক ভুক্ত পিসি ইউজারদের একই সাধারন আশা থাকে সেটি হচ্ছে  যেন তাদের পিসিতে একাধিক প্রটোকল লোড করা থাকে । যদি অধিকাংশ  ইন্টারফেস কার্ড বা নিক থাকে মাত্র একটি । এই অধিকাংশ প্রোটোকলের সমস্যা সমাধানের জন্য যে সিস্টেম  ব্যবহার করা  তাকে বলা হয় ড্রাইভার ইন্টারফেস

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন