সোমবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

ভালোবাসাটার সাথে শো অফের সম্পর্ক কমিয়ে জীবনের সম্পর্ক টাকে বাড়ান

ভালোবাসারে তোমরা জীবন বল। কিন্তু ভালোবাসার সাথে জীবনের কোন সম্পর্ক রাখোনা। ভালোবাসা যদি জীবন হয় তাহলে জীবনের পড়াশুনা ,ক্যারিয়ার ,পারিবারিক সমস্যা সবকিছুতেই ভালোবাসার মানুষকে সাপোর্ট করাটাই আসল ভালোবাসা

শুধু সপ্তাহে চারবার দুইজন মিলে বাদাম চিবালেই ভালোবাসা হয় না। দুইজন মিলে ডি এস এল আর ওয়ালা বন্ধুরে ধইরা ফেসবুকে কাপল পিক দিলে লাইক হয়তো বাড়বে ভালোবাসার স্থায়িত্বের তাতে কোনই উপকার হবেনা

ভালোবাসা টা কে বিয়েতে রুপান্তর করার জন্য যদি বাস্তবতার উপর ভিত্তি করে লং টাইম প্ল্যানিং না করা যায় তাহলে ভ্যালেন্টাইন্সই আজীবন পালন করবেন ৭০ এ গিয়ে নাতী নাতনি নিয়ে দুজনের ম্যারেজ ডে আর পালন করা হবে না 

ভালোবাসা মানে এইটা না যে সারাদিন ফোনে কথা বলতে হবে ,আলোচনা সারাদিন তুমি আমি চুম্মা চাটিতে আটকায় রাখতে হবে। ফেসবুকে চ্যাটিং হবে কাপল পিকে লোক বাহ বাহ দিবে।

ভালোবাসা মানে এইটাও অনেক কথা বলতে ইচ্ছা করার পরেও পরেরদিন পরীক্ষা শুনে বলা
- যাও পড়তে বস
বেকারত্বের হতাশা কাটাতে প্রিয়জন কে বলা
- আগামী সপ্তাহ থেকেই চাকরি খোজতে নাম। চাকরি না হয়ে যাবে কই
অসুস্থ হলে নিজে হাত লাগান
- অসুস্থ হইচ তো কি হইছে ডাক্তারের কাছে আমি নিয়ে যাব

কারণ সত্যিটা হচ্ছে ক্যারিয়ার বিল্ড আপ যদি না করতে পারে তাহলে যতই বাদাম চিবান আপনার বাবা ঠিকই শুনায় দিব
- নিজেরেই তো চালাতে পারোনা আমার মেয়েরে কি চালাইবা

জি এটাই বাস্তবতা। কাপল পিক ,ডেটিং আর ভ্যালেন্টাইন্সে ভালোবাসা দেখানো হয় কিন্তু ভালোবাসার কোন ঠিকানা পাওয়া যায়না। ভালোবাসাত এন্টারটেইন মেন্ট না রে ভাই। ভালোবাসায় সবচাইতে বড় দায়িত্ব হল একে অন্যের ক্যারিয়ার বিল্ড আপে সাপোর্ট দেয়া। কারণ বাস্তবতাটা হইল দুইজন মিলে যে খাটে থাকবেন ওই খাট কিনতেও পয়সা লাগবে। বলিউডি মুভির মত তুমি যা দিবা তাই খাব তুমি কাট কাইটা আনবা আমি রাধব এইসব চাপা বাস্তবে চলেনা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন