বৃহস্পতিবার, ১১ মে, ২০১৭

ধর্ষক এবং তাদের সমর্থকদের সামাজিকভাবে সকল কিছু থেকে বয়কট করা উচিৎ

সাধারনত তেঁতুল গাছে তেঁতুলই হয়।

কোন পিতা যখন বলে, তিনি তার ধর্ষক সন্তানের পক্ষে আছেন, ঠিক তখনি তিনি একজন ধর্ষক সন্তানের জন্ম দেন।আমার বিশ্বাস ধর্ষনের মত জঘন্যতম অপরাধের প্রাথমিক শিক্ষাটা পারিবারিক নৈতিকতার উপরেই নির্ভর করে ( দু’একটি ব্যাতিক্রম ঘটনাও থাকতে পারে)।

তুমি যখন কোন নারীর দিকে তাকাবে, তখন তুমি সেখানে দেখতে পাবে তোমার মা/বোনের চেহারা । তুমি যেমন চাওনা তোমার মা/বোনের উপর কেউ জুলুম করুক। তেমনি ভাবে তুমি যাদের দিকে তাকাবে, তারাও কারো না কারো মা/বোন, তারাও যেন তোমার দ্বারা জুলুমের শিকার না হন। 

বি : দ্র : আমাদের দেশে ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে ৩২৫টি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এই ৩২৫ শিশুর মধ্যে ৪৮ জন শিশু গণধর্ষণের শিকার হয়েছে, ৩১ জন প্রতিবন্ধী বা বিশেষ শিশু, ৫ জন গৃহকর্মী শিশু। এদের মধ্যে ১৫ জন শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

২০১৫ সালে ৫২১ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে যাদের মধ্যে ৯৯ শিশু গণধর্ষণের শিকার হয়, ৩০ শিশুকে ধর্ষণের পরহত্যা করা হয় এবং ৪ জন শিশু ধর্ষণের অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে। ২০১৪ তে ১৯৯টি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে যাদের মধ্যে ২২টি শিশু গণধর্ষণের শিকার হয়েছে, ২১টি শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এবং ২৩টি শিশু ধর্ষণের অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে। ২০১৩ এবং ২০১২ সালে যথাক্রমে ১৭০ এবং ৮৬টি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়।

এগুলো কেবল সেই সকল ঘটনা, যেগুলোর ক্ষেত্রে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাহলে এবার ভাবুন, সারা দেশে ক’জন অভিভাবক ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরকরার দুঃসাহস করেছেন ? আর কতজন ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার সাহস করেননি ? কিংবা ভাবুন তো, মোট কতটি ঘটনায় অভিভাবক লোকলজ্জার ভয়ে ধামাচাপা দিয়ে ফেলেছেন ?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন