শনিবার, ৫ জুন, ২০১০

বাংলাদেশেও চালূ হলো IMEL Block (মোবাইল চোরের নিস্তার নেই)

মোবাইল সেট চুরি বা ছিনতাই ঠেকাতে এবং পরবর্তীতে সেটি উদ্ধারের প্রয়োজনে ব্যবহৃত মোবাইল সেটের আইএমইআই নম্বরটি সংরক্ষণের পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি ব্যবহৃত মোবাইল সেট কেনা থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হয়েছে। কারণ সেকেন্ড হ্যান্ড সেট হিসেবে পরিচিত এসব মোবাইল সেট ব্যবহারের কারণে নিরপরাধ হয়েও ভয়ংকর কোন খুনের ঘটনার আসামি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এ প্রসঙ্গে সিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মো. ওয়াহিদুল হক চৌধুরী বলেন, মোবাইল কোম্পানিগুলোকে আইনের আওতায় আনা জরুরি। পাশাপাশি মোবাইল সেটের আইএমইআই নম্বর সংরক্ষণ এবং ব্যবহৃত মোবাইল সেট কেনার ব্যাপারে সতর্ক থাকার প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে ছিনতাইকারী, অজ্ঞান পার্টি, মলমপার্টি, চোর-ডাকাতদের প্রথম টার্গেট থাকে মোবাইল সেট। শুধুমাত্র মোবাইল সেট চুরি করে, নগরীতে এমন অন্তত ২৮টি উপগ্রুপ সক্রিয় আছে নগরীতে। এসব চোরাই মোবাইল সেটের বড় বাজার তামাকুমন্ডি লেইন, রেয়াজউদ্দিন বাজার, কর্ণফুলী মার্কেট ও স্টেশন রোডস’ চোরা মার্কেট। মোবাইল ছিনতাই ঠেকাতে পুলিশ সদর দপ্তরে সিআইডির উদ্যোগে গঠন করা হয়েছে সাইবার ক্রাইম স্কোয়াড। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ এ স্কোয়াডের কাছে হারানো মোবাইল সেটের আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইক্যুপমেন্ট আইডেনটি) নম্বরটি দিলে সেটটি বর্তমানে কোথায় কার কাছে আছে, সেটটি কত নম্বর সিম ব্যবহৃত হচ্ছে তা বের করা সম্ভব। গত ২২ জুন থেকে এ স্কোয়াড কাজ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু সাফল্যও এসেছে। সূত্র মতে, মোবাইল সেট চুরি, ছিনতাই একটি স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন’ মোবাইল সেটটির আইএমইআই নম্বরটি জানা না থাকায় হারানো সেটটি ফেরত পাওয়া সম্ভব হয় না। অথচ এ নম্বরটির সাহায্যে খুব সহজেই সমস্যাটির সমাধান হতে পারে। মোবাইল সেটের বৈধ মালিক বৈধ কাগজপত্র প্রশাসনের কাছে উপস’াপন করলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিযোগ যাচাই বাছাইয়ের পর সেই আইএমইআই নম্বরটি ঢাকায় হেড কোয়ার্টারে পাঠায়। এর পর সেটটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়, অথবা উদ্ধার না করা গেলেও সেটি নিষ্ক্রিয় অথবা চিরতরে অচল করে দেয়া যায়। ফলশ্রুতিতে সেটটির আর্থিক কোন মূল্য থাকে না। প্রক্রিয়াটি আরো প্রচার পেলে জনসচেতনতা বাড়বে। একই সাথে মোবাইল ছিনতাই ও চুরির ঘটনা অনেকাংশে হ্রাস পাবে বলে মনে করছেন সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। জানা গেছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে জঙ্গি তৎপরতা বন্ধের লক্ষ্যে আইএমইআই নম্বর বা নন ব্যান্ড মোবাইল সেট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এদিকে ব্যবহৃত সেট প্রকৃত মূল্যের চেয়ে অনেক কম মূল্যে কেনার হিড়িক পড়েছে। এর মাধ্যমে লাভবান হচ্ছে বলে ক্রেতা মনে করলেও, প্রকৃত অর্থে অনেক বড় কোন বিপদে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সিএমপির গোয়েন্দা শাখার সহকারী কমিশনার ওয়াহিদুল হক চৌধুরী ইতোপূর্বে ব্যবহৃত সেট কিনে বিপাকে পড়া কয়েকজনের উদাহরণ টেনে বলেন, সস্তায় দামি মোবাইল ব্যবহারের জন্য ব্যবহৃত কোন সেট কিনলাম মার্কেট থেকে। এর আগে কে ব্যবহার করেছে জানি না। দেখা গেছে, সেটটি একটি বাসা থেকে ডাকাতরা অন্যান্য মালামালের সাথে নিয়ে গেছে। সেই সেটটি ডাকাতদের কেউ একজন কিছুদিন ব্যবহারের পর বিক্রি করে দিয়েছে। এতদিন সেটটি উদ্ধার হয়নি। দেখা গেল আমি কিনে ব্যবহার করার সময় প্রশাসন আমার থেকে উদ্ধার করলো সেটটি। প্রথম অবস’ায় চোরাই সেট ব্যবহারের অভিযোগ আসবে আমার বিরুদ্ধে, দ্বিতীয়ত : ডাকাত দলের সাথে আমার সম্পৃক্ততার বিষয়ে সন্দেহ আসবে। তৃতীয়ত : ডাকাত দল সেটটি ডাকাতির পর থেকে যে যে অপরাধ, খুন, রাহাজানির সাথে জড়িতণ্ডসবকিছুতেই আমার যোগসাজশ আছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে। অথচ আমি এসবের কিছুই জানি না। এ ধরনের হয়রানি থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই নতুন সেট দোকান থেকে কিনে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন