শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৫

আমি গর্বিত এক জন বাংলাদেশী হয়ে

দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রটির জন্ম।এরকম গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রামের ইতিহাস বিশ্বের আরও কোন দেশের রয়েছে?????
>>>>>>>আমি বাংলা না,আমি বাংলাদেশী<<<<<<<<
বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলার আগে বাংলাদেশের ইতিহাস জানার জন্যে একটু চেষ্টা করার অনুরোধ করছিল
বাংলাদেশ:>>>>>
১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজউদৌল্লার পরাজয়ের ফলে শাসনক্ষমতা যে এদেশীয়দের কাছ থেকে বিদেশীদের হাতে চলে গিয়েছিল, এটা বুঝতে এখানকার জনগণের বেশ সময় লেগেছিল। তিতুমীরের নেতৃত্বে মুসলিম সাধারণ সমাজ বিশেষ করে রায়তের অধিকার আদায়ের আন্দোলন (১৮৩০-১৮৩২)। উত্তর চব্বিশ পরগনায় অবস্থিত নারকেল বাড়িয়ায় তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা নামে একটি দেশীয় দুর্গ নির্মাণ করেই ইংরেজদের আক্রমণ প্রতিরোধ করেছিলো। প্রায় একই সময়ে আরম্ভ হয়েছিল দক্ষিণ-মধ্য বঙ্গে ফরায়েজি আন্দোলন। এই আন্দোলনও ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামের রূপ পরিগ্রহ করেছিলো। হাজী শরীয়তুল্লাহ (১৭৮১-১৮৪০) এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করলে তার পুত্র পীর মুহসীনউদ্দীন দুদু মিয়া (১৮১৯-২৪ সেপ্টেম্বর, ১৮৬২) পরবর্তীতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সিপাহি বিদ্রোহকে বলা যায় উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সূতিকাগার।আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহ। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ, ১৯১১ সালে এই বঙ্গভঙ্গ রদ হয়। দ্বিতীয়বার বাংলা ভাগ হয় ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন এ সকল সংগ্রামে বাঙালির অবদান অনস্বীকার্য।বাঙালিরা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে মূল্যবান ভূমিকা পালন করে। বাঙালি মুসলমানরা সর্বপ্রথম ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সূচনা করে। ১৯৪৭ সালে ভারত উপমহাদেশ বিভক্ত হয়ে ভারত ও পাকিস্তান নামে দু’টি দেশের সৃষ্টি হয়। পাকিস্তানের জন্ম হয় দু’টি আলাদা আলাদা ভূখন্ড নিয়ে। পাকিস্তান সরকারের শোষণ, নিপীড়নের কারণে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের মাঝে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হতে থাকে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মাঝে দূরত্ব শুরু। বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আসে সত্তরের নির্বাচন। এতে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলেও সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানায়। এ বিষয়ে সমঝোতা না হওয়ায় পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জেনারেল ইয়াহিয়া খান ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গভীর রাতে শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করেন এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনী অপারেশন সার্চলাইটের নামে বাঙালিদের ওপর নির্বিচারে আক্রমণ শুরু করে। ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেন স্বাধীনতার। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা দীর্ঘ ৯ মাস অবিরাম যুদ্ধ করে ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তান বাহিনীকে পরাভূত করেন। মিত্রবাহিনী প্রধান জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে ১৯৭১ সালের ১৬ডিসেম্বর পাকিস্তান বাহিনীর প্রধান জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি আত্মসমর্পণ করেন। এর মধ্য দিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয় স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন