শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৫

আই এ্যাম এ প্রাউড

দেশের বাইরে থাকি বলে,দেশের অস্তিত্ব নিজের মাঝে বড় বেশী টের পাই। আলাপ-আলোচনার মাঝে দেশের কথা বলতে বলতে আমি নিজেকে আবিষ্কার করলাম যে,আমি আসলে প্রচন্ড গর্বিত।
আমার ভাবটা অনেকের কাছে একটু বেশী মনে হতেই পারে কিন্তু আমি জানি মোটেও বেশী না।কারন এই দুনিয়ায় আমাদের মত জাতি কয়টা আছে একটু হিসাব করে দেখেন...........
জমিদার ভাব গলায় এনে বলি ‪#‎আবহাওয়ার‬ কথা,আমাদের দেশে প্রায় সারা বছরই খালি গায়ে থাকা যায়।দুনিয়ার সব দেশেই ঠান্ডা নাইলে গরম! মাঝে কয়েকমাস দিনের বেলা একটু শান্তি। কিন্তু নরমালি দৌড়ের উপরেই থাকতে হয়। আমি ভাবি , টেকনোলজির যুগে আসার আগে কি দৌড়ের উপরেই না ছিল এরা!
‪#‎পানি‬ যেই জিনিস সভ্যতার সূচনা করছে সেইটা তো আমাদের দেশে ফ্রি!
‪#‎মাটি‬ তো এতই উর্বর যে,ফল খেয়ে বিচি ফালালেই গাছ হয়ে যায়।শাক সব্জি জন্য কোন শ্রমেরই দরকার হয় না। ঘরে থাকা নারীরাই গৃহস্থালী কাজের ফাঁকে ওগুলা রক্ষানাবেক্ষন ও সংগ্রহ করতে পারে!
দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ‪#‎সিবিচ‬ তো আমার দেশেই! বিদেশী সি-বিচ যেটা একটা দৌড় দিলে একটু পরেই শেষ! আর আমাদের বিচে ঘোড়া নিয়ে ২ ঘন্টা দৌড়াইতে পারবেন।
‪#‎সাংস্কৃতি‬ হইলো আমাদের আত্মা। সেজন্যই খোলা আলো-বাতাসে প্রতিষ্ঠিত আমাদের সাংস্কৃতি।আমরা গান গাই সুরের। আমরা চর্চা করি কন্ঠে'র! আমাদের সাংস্কৃতি পাবেন আমাদের প্রবাদ বাক্যগুলোতে।
বাংলাদেশীরা আসলে ‪#‎শিক্ষা‬ দিতে যত আগ্রহী শিক্ষা নিতে ততটা না! তবুও বিশ্বের যেকোন দেশের যেকোন ক্লাসে উঁকি দিয়ে দেখো, যদি কোন বাংলাদেশী স্টুডেন্ট পাও তবে দেখো তো টপ ৫ এর নিচে কেউ আছে কি না?আমরা যেই ১০-১২ পৃষ্ঠার রচনা লেখে বড় হই, আমাদের সমবয়সী অন্য কোন দেশের মানুষ ঐ পরিক্ষায় বসারই সাহস পাইতো না!
এত এত ঐশ্বর্যের দেশ তারপর ও এত ‪#‎গরীব‬ কেন?প্রাকৃতিক সম্পদহীন ১৬ কোটি মানুষের দেশে। ৫ জনের পরিবারে একজনের ইনকামে ২০ বছর নিচে আর ৬০ বছরের উর্ধ্বের মানুষজন বসাইয়া বসাইয়া খাওয়ানের দায়িত্ব দিলে বিদেশীদের আত্মহত্যা করতে কয়দিন লাগবে! বিনিময় প্রথার অর্থনীতির যুগে আমরাই ছিলাম শ্রেষ্ঠ! আমাদের দেশ খুজে বের করার জন্য পুরা বিশ্ব পাগলা কুকুরের মত হয়ে উঠছিল!
আমাদের ‪#‎পকেটফাঁকা‬ তাই সবাই সুযোগ পাইলেই অপমান করে বসে।
তারপর ও আসুন সবাই এক সাথে বলি,ইয়েস আমি গর্বিত এক জন বাংলাদেশী হয়ে.......

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন