গুড নিউজ ইজ এখন আর যৌতুক নেই। ব্যাড নিউজ ইজ খুশী হবার কোন কারণ নাই। এখন আছে যৌতুকের বড় ঘর সাজান।
- আপনাদের কি আবদার বলেন ভাইজান
- ইয়ে মানে দেখেন আমরা শুধু আপনার মেয়েটাকেই চাই তবে
- সংকোচবোধ করবেন না বলুন
- ইয়ে মানে বুঝেনিত দুইজনের নতুন সংসার। একটা টিভি, একটা ফ্রিজ, একটা এসি , একটা আলমিরা, একটা ফ্যান না আচ্ছা এসিত আছেই, একটা ডাবলসাইজের অটবির খাট এইত ঘর সাজাতে যা লাগে আর কি। বাকি আপনারা আপনাদের জামাইতে খুশী করে যা দেন। এমনিতে আমাদের কোন দাবী দাওয়া নেই কিন্তু
- আপনাদের কি আবদার বলেন ভাইজান
- ইয়ে মানে দেখেন আমরা শুধু আপনার মেয়েটাকেই চাই তবে
- সংকোচবোধ করবেন না বলুন
- ইয়ে মানে বুঝেনিত দুইজনের নতুন সংসার। একটা টিভি, একটা ফ্রিজ, একটা এসি , একটা আলমিরা, একটা ফ্যান না আচ্ছা এসিত আছেই, একটা ডাবলসাইজের অটবির খাট এইত ঘর সাজাতে যা লাগে আর কি। বাকি আপনারা আপনাদের জামাইতে খুশী করে যা দেন। এমনিতে আমাদের কোন দাবী দাওয়া নেই কিন্তু
আজ্ঞে হা যৌতুক নেই কিন্তু যৌতুকের বড়ভাই ঘর সাজান আছে। এমনিতে কোন দাবী দাওয়া নেই কিন্তু
বিয়ে ব্যাপারটা আজকাল আসলে বিজনেস হয়ে গেছে। এককালে দেশে যৌতুক নামে কিছু একটা ছিল। সে যৌতুকের বিরুদ্ধে বিশাল প্রচারণা চালান হল। আইন হল।
এদিকে শহরের দিকে পরিস্থিতি পাল্টেছে। তবে গ্রামের দিকে এখনো বিয়ের জন্য মেয়ে দেখা আর কোরবানের জন্য গরু দেখার মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। কেমন ছেলেপক্ষ মেয়ে দেখতে যাবে। মেয়ে তার বাবা মায়ের মাঝে একটা ভারি শাড়ি পরে যুবুতুবু হয়ে বসে আছে। যেন একটু পরেই তার মৃত্যুদন্ড ঘোষনা করা হবে। ছেলে এসেছে ছেলের বাবা মা এসেছে চাচা জ্যাঠা মামাতো ভাই খালত ভাই এমন কি একজন বন্ধু এসেছে। বেবাকে চোখ বড় বড় কইরা মেয়ের দিকে তাকায় আছে। এখনো বুঝা যাচ্ছেনা বিয়েটা করবে কে। ছেলে না ছেলের মামাত খালাত ভাইরা। এরপর শুরু হবে প্রশ্নবান। মেয়ের এখন এক জ্বালা। কোরবান হবে কোরবানের আগে ইন্টারভিউও দিতে হবে।
সবচেয়ে বড় কথা বিয়ে হবে ছেলে মেয়ের। কিন্তু সে ছেলে মেয়েরেই মাননীয় স্পিকার বানাইয়া দুই পরিবার বিয়ে করে ফেলবে। ছেলেরে বোধহয় এক দুইবার জিজ্ঞেস করা হয় বাবা মেয়ে পছন্দ হয়েছে তো। মেয়েরেও জিজ্ঞেস করা হয়। যদি ছেলে মেয়ে অধিকারসচেতন থাকেত। তাও এমন ভাবে, পছন্দ না হইলেও কিছু করার নাই বাপ
একবার এক রেস্টুরেন্টে এক ছেলেপক্ষ মেয়ে দেখতে গেছে। ফস কইরা ছেলের বন্ধু বইলা ফেলল মুরুব্বিদের সামনে
- আচ্ছা আপনার কি আগে রিলেশান ছিল
কি আজব কাজকারবার। এই কথা তো মেয়েকে ছেলের জিজ্ঞেস করার কথা পার্সোনালি।
এককালে মেয়েদের হাটা,,হাতের লেখা দেখা হত। আজকাল ছেলেদের মানিব্যাগের ওজনটাও সেইরকম নেয়া হয়।
-স্যালারি কত
- ২০০০০
- এত কম
মেয়েদের গায়ের রং যেমন দেখা হয় ,মাপা হয় ছেলেদের হাইট
- হাইট কত
- ৫.২
- একটু কমই বোধহয়
বিয়ের ক্ষেত্রে ইনডিসক্রিমিনেশন তাই ছেলেদের সাথেও কম হয়না।
আর আমাদের দেশে বিয়ে পরবর্তী সমস্ত ঝামেলার অন্যতম বড় কারণ এইটাই। এখন যৌতুকের পরিমার্জিত রুপ হইল ঘর সাজায় দিবেন। ভদ্রভাবে রক্তচোষা। কারা চায়? ছেলের পরিবার্। আবার ছেলের মানিব্যাগ ওজন করে কারা? মেয়ের পরিবার্। হাস্যকর ব্যাপার্। বিয়ে করবে ছেলে মেয়ে। কিন্তু সে ছেলে মেয়েকেই এক সাইডে সরিয়ে রেখে বিয়ে করাতে নামে দুই পরিবার
বিয়ে ব্যাপারটা আজকাল আসলে বিজনেস হয়ে গেছে। এককালে দেশে যৌতুক নামে কিছু একটা ছিল। সে যৌতুকের বিরুদ্ধে বিশাল প্রচারণা চালান হল। আইন হল।
এদিকে শহরের দিকে পরিস্থিতি পাল্টেছে। তবে গ্রামের দিকে এখনো বিয়ের জন্য মেয়ে দেখা আর কোরবানের জন্য গরু দেখার মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। কেমন ছেলেপক্ষ মেয়ে দেখতে যাবে। মেয়ে তার বাবা মায়ের মাঝে একটা ভারি শাড়ি পরে যুবুতুবু হয়ে বসে আছে। যেন একটু পরেই তার মৃত্যুদন্ড ঘোষনা করা হবে। ছেলে এসেছে ছেলের বাবা মা এসেছে চাচা জ্যাঠা মামাতো ভাই খালত ভাই এমন কি একজন বন্ধু এসেছে। বেবাকে চোখ বড় বড় কইরা মেয়ের দিকে তাকায় আছে। এখনো বুঝা যাচ্ছেনা বিয়েটা করবে কে। ছেলে না ছেলের মামাত খালাত ভাইরা। এরপর শুরু হবে প্রশ্নবান। মেয়ের এখন এক জ্বালা। কোরবান হবে কোরবানের আগে ইন্টারভিউও দিতে হবে।
সবচেয়ে বড় কথা বিয়ে হবে ছেলে মেয়ের। কিন্তু সে ছেলে মেয়েরেই মাননীয় স্পিকার বানাইয়া দুই পরিবার বিয়ে করে ফেলবে। ছেলেরে বোধহয় এক দুইবার জিজ্ঞেস করা হয় বাবা মেয়ে পছন্দ হয়েছে তো। মেয়েরেও জিজ্ঞেস করা হয়। যদি ছেলে মেয়ে অধিকারসচেতন থাকেত। তাও এমন ভাবে, পছন্দ না হইলেও কিছু করার নাই বাপ
একবার এক রেস্টুরেন্টে এক ছেলেপক্ষ মেয়ে দেখতে গেছে। ফস কইরা ছেলের বন্ধু বইলা ফেলল মুরুব্বিদের সামনে
- আচ্ছা আপনার কি আগে রিলেশান ছিল
কি আজব কাজকারবার। এই কথা তো মেয়েকে ছেলের জিজ্ঞেস করার কথা পার্সোনালি।
এককালে মেয়েদের হাটা,,হাতের লেখা দেখা হত। আজকাল ছেলেদের মানিব্যাগের ওজনটাও সেইরকম নেয়া হয়।
-স্যালারি কত
- ২০০০০
- এত কম
মেয়েদের গায়ের রং যেমন দেখা হয় ,মাপা হয় ছেলেদের হাইট
- হাইট কত
- ৫.২
- একটু কমই বোধহয়
বিয়ের ক্ষেত্রে ইনডিসক্রিমিনেশন তাই ছেলেদের সাথেও কম হয়না।
আর আমাদের দেশে বিয়ে পরবর্তী সমস্ত ঝামেলার অন্যতম বড় কারণ এইটাই। এখন যৌতুকের পরিমার্জিত রুপ হইল ঘর সাজায় দিবেন। ভদ্রভাবে রক্তচোষা। কারা চায়? ছেলের পরিবার্। আবার ছেলের মানিব্যাগ ওজন করে কারা? মেয়ের পরিবার্। হাস্যকর ব্যাপার্। বিয়ে করবে ছেলে মেয়ে। কিন্তু সে ছেলে মেয়েকেই এক সাইডে সরিয়ে রেখে বিয়ে করাতে নামে দুই পরিবার
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন