সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

খারাপ টুপিতে নয় খারাপ দাড়িতে নয় খারাপ হৃদয়ে থাকে

কিছুদিন আগে জনৈকা নাস্তিক পোস্ট দিলেন
" যে দেশের বেশিরভাগ মানুষ মুহাম্মদের অনুসারী সে দেশের বেশিরভাগ মানুষ চোর বাটপার ধর্ষক হবে " ইত্যাদি

আমি সেই অতিজ্ঞ্যানী সরি মহাজ্ঞ্যানী নাস্তিকে জিগাইতে চাই
মুহাম্মদের অনুসারী হওয়া মানেই যদি চোর বাটপার হওয়া হয় তারমানে একজন মুক্তিযোদ্ধা ,একজন ক্রিকেটার একজন শ্রমিক দেশের জন্য সবকিছু করেও চোর বাটপার কারণ সে মুহাম্মদের অনুসারী?

বইমেলা থেকে তুলে নেয়া ইসলাম বিতর্ক নামক যে বইটিকে অশ্লীল বলায় মুক্তমনাদের গায়ে চুলকানি শুরু হয়েছে ,সেই মহান সাহিত্য কর্ম ইসলাম বিতর্ক বইয়ের দুইটা লাইন আসেন পড়ি
" এছাড়া আমরা নবীর চরম যৌন বিকৃতি সম্পর্কে জানি। তার অনিয়ন্ত্রিত বহুগামিতা ,ছোট বালিকা আয়েশাকে পাওয়ার জন্য লালসা .." বাকিটা আর বললাম না।

এম এ খান থেকে শুরু করে আরো কয়েকজনের লেখা অনুবাদ করে এই তৃতীয় শ্রেণীর সস্তা ভাষায় লেখা বই যদি অশ্লীল না হয় ,তাহলে আগামী বই মেলায় রসময় গুপ্তের জন্য আলাদা একটা স্টল রাখলে ক্ষতি কি? ?

নাস্তিকেরা এভাবেই বাংলাদেশের সাথে ,স্বাধীনতার চেতনার সাথে ইসলাম কে সাংঘর্ষিক প্রমাণ করতে ডেইলি চার বেলা কলম চালান।
" মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে অনেকে মুসলিম ছিল কই ইসলাম তো দেশের জন্য যুদ্ধ করায় তাদের কে বাধা দেয় নাই"

মজার ব্যাপার হইল একাত্তরে রাজাকারেরাও মুক্তিযুদ্ধ কে ইসলাম বিরোধী ট্যাগ দিয়া যাবতীয় আকাম কুকাম করছিল। কেমনে যেন মুক্তমনাদের সাথে মিলে যায়। 

কেমনে মিলে জনাব কেমনে?
বলি যার যার ধর্ম সে সে পালন করাই যদি ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশের চেতনা হয় ,তাহলে প্রতিমুহুর্তে ইসলাম কে গালি দিয়ে নাস্তিকেরা কি মুসলমান দের স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের অধিকার ক্ষুন্ন করছেন না?
উত্তর দেন মিয়া। উত্তর চাই

জঙ্গীরা হিন্দুদের প্রতিমা ভাংচুর করে হিন্দুদের ধর্ম পালনের অধিকার ক্ষুন্ন করে। একদল হিন্দুদের অধিকার কেড়ে নিতে চায় আরেকদল ইসলাম নিয়ে মুসলমানদের আঘাত দিতে চায়
আহা কেমনে যেন জঙ্গীদের সাথে এইভাবেও মিলে যায় 

দুই চাইর লাইন লিখা নিজেরে মহাজ্ঞ্যানী মনে কইরা ইসলামরে গালি দিয়া এইসব নাস্তিকেরা ভাবে আহা আমিত হিরো হইয়া গেছি।

সত্যিকারের হিরো হচ্ছে বাংলার সেই কৃষকরা যারা তলাবিহীন ঝুড়িকে আজকে বিলিয়ন ডলারের সেন্ট্রাল রিজার্ভে ভরিয়েছে ।

সত্যিকারের হিরো হচ্ছে দেড় কোটি প্রবাসী বাঙ্গালী যাদের রেমিটেন্সে বানান ফ্লাইওভার দিয়া যাইতে যাইতে আপনে দুই বেলা ধর্মরে গালি দেন। 

সত্যিকারের হিরো হচ্ছে গার্মেন্টসের সেই মেয়েরা যারা দেশপ্রেমটাকে সেলাই মেশিনে ঢুকিয়ে সুতোর অক্ষরে মেড ইন বাংলাদেশ লিখে দেয়।

সত্যিকারের হিরো হচ্ছে সেই মেয়েটা যে এস এ গেমসে স্বর্ণ জেতার পরে চোখের পানিতে দেশের প্রতিভালোবাসা ঝড়ায়।

এরা বিভেদ আনেনা এরা আপনাদের মত জ্ঞ্যানীনা এরা নিরবে দেশের জন্য করে যায়। জঙ্গীরা আর আপনারা যখন তখন ইসলামকে ব্যাবহার করেন আর গরম গরম ইফতার চাবাইয়া ইসলামরে গালি দেন। টুপি দাড়িতে আপনাগো চুল্কায়। মোহাম্মদ নাম শুনলে আপনাগো পাইলস ,একশিরা ,সিফিলিস হইয়া যায়

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন