রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

দিবস হোক না হোক মিনারটা যেন হৃদয়ে থাকে‬


আজ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে সুমেরিয়ান মানুষের মুখে প্রথম পূর্ণ ভাষার জন্ম হয় । তার চাইতে বহু শতাব্দী পরে ১৯৫২ তে বাংলাদেশ নামক এক তারছিড়া দেশের তারছিড়া পাগল সন্তানেরা ভাষার জন্য রক্ত দিয়ে গোটা পৃথিবীকে শিখিয়ে দেয় মায়ের ভাষাকে কিভাবে ভালোবাসতে হয়। আসলে এই তারছিড়া জাতটার জন্মই হইছে ইতিহাস লেখার জন্য

আঞ্চলিক বাংলা বললে বাংলা ভাষার অপমান হয় না। ভাষা শহিদেরা শুদ্ধ ভাষার জন্য প্রাণ দেয় নাই। বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য প্রাণ দিয়েছেন। হোক সেটা আঞ্চলিক, সেটাই মায়ের ভাষা।

অনেকের ভুল ধারণা আঞ্চলিক রূপ শুধু বাংলা ভাষাতেই আছে। জ্বি না। ইংরেজিতেও অ্যাংলো স্যাক্সন ,স্কটিশ ইংলিশ ,ইয়র্কশায়ারী ইংলিশ থেকে শত শত আঞ্চলিক রূপ আছে। কুমিল্লা ,নোয়াখালি ,চট্টগ্রাম ,ময়মনসিংহ এর আঞ্চলিক ভাষাও সেরকম বাংলা ভাষার নানা আঞ্চলিক রূপ।

একসময় কলকাতার মানুষরা শুদ্ধ বাংলা না বলতে পারার কারণে বাংলাদেশের মানুষদের বাঙ্গাল বলে কটাক্ষ করত। সেই ক্ষেত বাঙ্গালই ৫২ তে বাংলা ভাষার জন্য রক্ত দিয়ে সারা বিশ্বকে বাংলা ভাষা কে চিনিয়েছে। ক্ষেত বাংগালের দেশের নামই বাংলাদেশ। যেখানে কলকাতার মানুষরা ইন্ডিয়ান আর বাঙ্গালী পরিচয়ের মাঝখানে পরে যাতা খাচ্ছে। আমরা সেখানে নিজেদের দেশ বানাইয়া নিজেদের পরিচয়ে নিজের ভাষায় কথা বলি। আর তাই আজ কলকাতার বিভিন্ন পত্রিকায় একুশের শ্রদ্ধাঞ্জলি দেখে হাসি পায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন