আজ থেকে কোটি কোটি বছর আগের পৃথিবী থেকে ১৩০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে দুটো
ব্ল্যাক হোল একে অন্যের চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে পরস্পরের কাছে অগ্রসর হচ্ছিল।
যার একটা সূর্যের চাইতে ২৯ গুণ এবং আরেকটা ৩৬ গুণ বড়। ব্ল্যাক হোল দুটোর
মধ্যে দূরত্ব মাত্র যখন কয়েকশ মাইল তখন তাদের ঘুর্ণন গতি প্রায় আলোর গতির
সমান হয়ে গেল। এরপরই সেই দুইটি ব্ল্যাক হোল একে অন্যের সাথে মিলে গেল।
ঘটল ভয়ঙ্কর এক সংঘর্ষ
.
সে দুইটি ব্ল্যাক হোলের সংঘর্ষে যে পরিমাণ শক্তি নির্গত হল সেটা এই মহাবিশ্বের সমস্ত নক্ষত্রের মোট শক্তির চাইতে ৫০গুণ বেশী। সেই প্রচন্ড শক্তি ব্ল্যাক হোল দুটির চার পাশের মহাশুন্যের স্পেসটাইম বা স্থান কালে ধাক্কা দিয়ে বিচ্যুতি ঘটাল সৃষ্টি করল ঢেউর্।
একটা পুকুরের পানিতে যেমন পাথর ছুড়ে মারলে ঠিক যেমন পানিতে ঢেউ উঠে।
সে মহাকর্ষীয় তড়ঙ্গের ঢেউ ছড়িয়ে পড়তে লাগল দূর মহাশুন্যে। শুরু হল এক অনন্ত যাত্রার
.
সেই মহাকর্ষীয় তড়ঙ্গের ঢেউ ছুটলে লাগল অনন্তকাল ধরে। এদিকে পৃথিবীতে তখন এক কোষী প্রাণ এমিবা দিয়ে শুরু হয়ে ডাইনোসোরের আবির্ভাব এবং পতন হয়ে গেছে
.
আজ থেকে পঞ্চাশ হাজার বছর আগের কথা। সূমাত্রার গূহাগুলোতে তখন হোমো স্যাপিয়েন্সের পায়ের ছাপ পরেছে। পূর্বপুরুষ বানর জাতির নিয়ানডারথাল এপ্স দের হটিয়ে দিয়ে পৃথিবীতে তখন মানুষের রাজত্ব শুরু।
.
ঠিক সে সময়ে আমাদের গ্যালাক্সি মিল্কিওয়ের সীমানা পেড়িয়ে আগমন ঘটল সেই মহাকর্ষীয় ঢেউ এর যে ঢেউ শুরু হয়েছিল ১২০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
.
তারও অনেক পরের কথা। উনিশ শতকের শুরুর দিকে (১৯১৬) এলবার্ট আইন্সটাইন নামক এক কোকরাচুলো জিনিয়াস তার বিখ্যাত জেনারেল থিউরি অফ রিলেটিভিটিতে উল্লেখ করল গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভের কথা। মহাশুন্যে দুই বা ততোধিক নক্ষত্র অথবা ব্ল্যাক হোলের সংঘর্ষে তার আশে পাশের স্পেসটাইমে ঢেউ সৃষ্টি হয় যা ধীরে ধীরে সমস্ত মহাশুন্যে ছড়িয়ে পড়ে।
আইন্সটাইন নাকি নিজেও তার এই গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভের অস্থিত্বের ব্যাপারে সন্দেহে ছিলেন
.
আইন্সটাইন কি জানতেন তার থিউরির গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ তখন তারই পৃথিবীর গ্যালাক্সি মিল্কিওয়ের সীমানা বহু আগে পেরিয়ে ছুটে আসছে পৃথিবীর দিকে
.
এর পরের ১০০ বছর ছিল ধারণা ,ভূল ধারণা ,তত্ত্ব ,গুজব সন্দেহের সময়
আসলেই কি আছে গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ বলে কোন কিছু?
.
আজ থেকে ২২ বছর আগে স্থাপন করা হলো দা লেজার ইনটারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ অবজারভেটরি। গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ সনাক্তকরার চার কিলোমিটার লম্বা এক যন্ত্র যেটি কোটি আলোকবর্ষ দূরে স্পেসটাইমের চুল পরিমাণ বিচ্যুতি হলেও ধরতে পারবে
.
সেপ্টেম্বর ১৪ ,২০১৫
দুই ব্ল্যাকবোলের সংঘর্ষের ফলে সৃষ্ট মহাকর্ষীয় তড়ঙ্গের ঢেউটি শেষমেষ আমাদের পৃথিবীতে এসে পৌছোল
.
সকাল বাজে তখন এগারোটা। মার্কো ড্রেগো নামে এক ইতালিয়ান পোস্ট ডক্টরেট ছাত্র যে গবেষনার সাথে যুক্ত ছিল সেই ছেলে তার সামনে কম্পিউটারে গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ ডিটেক্টর যন্ত্রের রিডিং দেখে বিষ্মিত হয়ে গেল। শেষপর্যন্ত ডিটেক্ট করা হয়েছে গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ। আইন্সটাইনের থিউরি একশত ভাগ প্রমাণিত
.
মজার ব্যাপার হলো প্রথম কোন মানুষ হিসবে মহাকর্ষীয় তড়ঙ্গের অস্তিত্ব চাক্ষুষ করার সময় মার্কো ড্রেগো বসে ছিল হ্যানোভারের আলবার্ট আইন্সটাইন ইন্সটিউটের পিসির সামনে। এ যেন এক মহাকাব্য।
.
আরো একবার সঠিক প্রমাণিত হলেন সেই কোকড়োচুলো জিনিয়াসটি। প্রমাণিত হল এই মহাবিশ্বকে আইন্সটাইনের মত করে কেউ বোঝেনি।
.
সে আবিস্কারের নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা সত্যতা যাচাইয়ের পর লিগোর বিজ্ঞানীরা ২০১৬ সালে ১২ ই ফেব্রুয়ারিতে এক যোগে ওয়াশিংটন ,ইন্ডিয়ার পুনে এবং ইতালি থেকে ঘোষণা দিলেন এই শতাব্দীর সবচাইতে যুগান্তকারী আবিস্কারের্।
.
হা পাওয়া গেছে গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ। আইন্সটাইন ওয়াজ রাইট
.
.
সারাবিশ্ব এই আবিস্কার নিয়ে মেতেছে। কারণ আজকের পর থেকে মহাবিশ্বকে আমরা নতুন করে জানব। এস্ট্রোনমিকাল সায়েন্স উইল নেভার বি দা সেইম এগেইন।
সহজ কথায় বলতে গেলে আমরা এতদিন জানতাম না বিগব্যাঙ্গের সময় আসলে কি ঘটেছিল। গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েব হবে আমাদের জন্য মহাবিশ্ব কে বুঝে নেবার রেডিও সিগন্যাল। জেনে নেব মহাবিশ্ব সৃষ্টির সব কলাকৌশল।
.
পৃথিবী আছে এই ঘটনা নিয়া
আর আমরা আছি কিস ডে ,রোজ ডে ,হাগু দে চুম্মাচাটি ভ্যালেন্টাইন্স নিয়া। আমাগো ম্যাক্সিমামের ধারণা হইল ওয়েস্টার্র্ন ওয়ার্ল্ডের পোলাপাইন সারাদিন নেশা করে আর সেক্স করে। ওপেন সেক্স।
.
লজ্জা লাগলেও বলি গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ আবিস্কারের সাথে জড়িত আছে ইন্ডিয়ার শত শত বিজ্ঞানী। জি হা তোমরা যারা মনে কর ইন্ডিয়ার পাবলিক সারাদিন স্টার জলসা দেখে
.
আসলে ইন্ডিয়া বলেন আর আমেরিকা। আমরা অন্য দেশ থেকে খালি বলিউড ,কারিনা জুতা ,নাচ গান ,চুম্মা চাটি কিস ডে ভ্যালেন্টাইন্স এইসবই নিতে পারি
.
আমরা সালমানের বাইসেপের সাইজ জানি ,পাখি ড্রেসের কথা জানি আমরা জানিই না ইন্ডিয়ার পুনেতে মহাকাশ পর্যবেক্ষণের আস্ত একটা অব্জারভেটরী আছে। ভাল লাগবে কেন?
মহাশুন্যে তো আর সানি লিওন নাই
.
প্রযুক্তিতে আমরা মোটেও বেশী আগায় নাই। অন্যদেশের প্রোডাক্ট টাকা দিয়া কিনা ইউজ করলে সেটারে প্রযুক্তিতে আগান বলেনা। যেদিন নিজেদের গাড়ি নিজেদের স্যাটেলাইট নিজেরা বানামু সেদিন আগামু। তার আগে না। ও হা আমাগো দেশে আরেকদল আছে। সায়েন্সে বাজেট বেশী রাখলে বলে অপচয়। যেদিন আর গ্যাস পাবেনা পানি খুইড়াও বের করতে পারবে না যেদিন খাদ্যচাহিদা উতপাদনের তিন গুণ হবে সেদিন বুঝবে সায়েন্সের দরকার কি গবেষণার দরকার কি।
-
সময় হয়েছে আমাদের বদলাবার্। আজকে ইন্ডিয়াতে উতসব হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী ১২০০ কোটি রুপী বাজেট দিয়েছেন মহাকাশ গবেষণায় আজকেই। আর আমরা এখনো চুম্মা চাটি ভ্যালেন্টাইন্স নিয়া পইরা আছি। পৃথিবী মঙ্গলে চইলা গেল আর আমরা এখনো চুম্মাচাটিতেই পইরা আছি
.
সে দুইটি ব্ল্যাক হোলের সংঘর্ষে যে পরিমাণ শক্তি নির্গত হল সেটা এই মহাবিশ্বের সমস্ত নক্ষত্রের মোট শক্তির চাইতে ৫০গুণ বেশী। সেই প্রচন্ড শক্তি ব্ল্যাক হোল দুটির চার পাশের মহাশুন্যের স্পেসটাইম বা স্থান কালে ধাক্কা দিয়ে বিচ্যুতি ঘটাল সৃষ্টি করল ঢেউর্।
(এইরকম হয়েছিল ঘটনাটা। কালো দুইটা ব্ল্যাকহোল। আর তাদের চারপাশের জ্বাল বা চাদেরর মত জিনিসটা স্পেসটাইম। আসলে খালি চোখে আমরা মহাকাশে যে অন্ধকার জায়গা দেখি সেটাই আর কি। আসলে এটা খালি না। এই দুইটা ব্ল্যাকহোল একসাথে মিলে গিয়েছিল। সে সংঘর্ষ চারপাশের চাদরে ঢেউ উতপন্ন করে। সেটাকেই গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ বলে। সে ঢেউ সাগরের ঢেউর মত ছুটে চলে)
একটা পুকুরের পানিতে যেমন পাথর ছুড়ে মারলে ঠিক যেমন পানিতে ঢেউ উঠে।
সে মহাকর্ষীয় তড়ঙ্গের ঢেউ ছড়িয়ে পড়তে লাগল দূর মহাশুন্যে। শুরু হল এক অনন্ত যাত্রার
.
সেই মহাকর্ষীয় তড়ঙ্গের ঢেউ ছুটলে লাগল অনন্তকাল ধরে। এদিকে পৃথিবীতে তখন এক কোষী প্রাণ এমিবা দিয়ে শুরু হয়ে ডাইনোসোরের আবির্ভাব এবং পতন হয়ে গেছে
.
আজ থেকে পঞ্চাশ হাজার বছর আগের কথা। সূমাত্রার গূহাগুলোতে তখন হোমো স্যাপিয়েন্সের পায়ের ছাপ পরেছে। পূর্বপুরুষ বানর জাতির নিয়ানডারথাল এপ্স দের হটিয়ে দিয়ে পৃথিবীতে তখন মানুষের রাজত্ব শুরু।
.
ঠিক সে সময়ে আমাদের গ্যালাক্সি মিল্কিওয়ের সীমানা পেড়িয়ে আগমন ঘটল সেই মহাকর্ষীয় ঢেউ এর যে ঢেউ শুরু হয়েছিল ১২০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
.
তারও অনেক পরের কথা। উনিশ শতকের শুরুর দিকে (১৯১৬) এলবার্ট আইন্সটাইন নামক এক কোকরাচুলো জিনিয়াস তার বিখ্যাত জেনারেল থিউরি অফ রিলেটিভিটিতে উল্লেখ করল গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভের কথা। মহাশুন্যে দুই বা ততোধিক নক্ষত্র অথবা ব্ল্যাক হোলের সংঘর্ষে তার আশে পাশের স্পেসটাইমে ঢেউ সৃষ্টি হয় যা ধীরে ধীরে সমস্ত মহাশুন্যে ছড়িয়ে পড়ে।
আইন্সটাইন নাকি নিজেও তার এই গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভের অস্থিত্বের ব্যাপারে সন্দেহে ছিলেন
.
আইন্সটাইন কি জানতেন তার থিউরির গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ তখন তারই পৃথিবীর গ্যালাক্সি মিল্কিওয়ের সীমানা বহু আগে পেরিয়ে ছুটে আসছে পৃথিবীর দিকে
.
এর পরের ১০০ বছর ছিল ধারণা ,ভূল ধারণা ,তত্ত্ব ,গুজব সন্দেহের সময়
আসলেই কি আছে গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ বলে কোন কিছু?
.
আজ থেকে ২২ বছর আগে স্থাপন করা হলো দা লেজার ইনটারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ অবজারভেটরি। গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ সনাক্তকরার চার কিলোমিটার লম্বা এক যন্ত্র যেটি কোটি আলোকবর্ষ দূরে স্পেসটাইমের চুল পরিমাণ বিচ্যুতি হলেও ধরতে পারবে
.
সেপ্টেম্বর ১৪ ,২০১৫
দুই ব্ল্যাকবোলের সংঘর্ষের ফলে সৃষ্ট মহাকর্ষীয় তড়ঙ্গের ঢেউটি শেষমেষ আমাদের পৃথিবীতে এসে পৌছোল
.
সকাল বাজে তখন এগারোটা। মার্কো ড্রেগো নামে এক ইতালিয়ান পোস্ট ডক্টরেট ছাত্র যে গবেষনার সাথে যুক্ত ছিল সেই ছেলে তার সামনে কম্পিউটারে গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ ডিটেক্টর যন্ত্রের রিডিং দেখে বিষ্মিত হয়ে গেল। শেষপর্যন্ত ডিটেক্ট করা হয়েছে গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ। আইন্সটাইনের থিউরি একশত ভাগ প্রমাণিত
.
মজার ব্যাপার হলো প্রথম কোন মানুষ হিসবে মহাকর্ষীয় তড়ঙ্গের অস্তিত্ব চাক্ষুষ করার সময় মার্কো ড্রেগো বসে ছিল হ্যানোভারের আলবার্ট আইন্সটাইন ইন্সটিউটের পিসির সামনে। এ যেন এক মহাকাব্য।
.
আরো একবার সঠিক প্রমাণিত হলেন সেই কোকড়োচুলো জিনিয়াসটি। প্রমাণিত হল এই মহাবিশ্বকে আইন্সটাইনের মত করে কেউ বোঝেনি।
.
সে আবিস্কারের নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা সত্যতা যাচাইয়ের পর লিগোর বিজ্ঞানীরা ২০১৬ সালে ১২ ই ফেব্রুয়ারিতে এক যোগে ওয়াশিংটন ,ইন্ডিয়ার পুনে এবং ইতালি থেকে ঘোষণা দিলেন এই শতাব্দীর সবচাইতে যুগান্তকারী আবিস্কারের্।
.
হা পাওয়া গেছে গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ। আইন্সটাইন ওয়াজ রাইট
.
.
সারাবিশ্ব এই আবিস্কার নিয়ে মেতেছে। কারণ আজকের পর থেকে মহাবিশ্বকে আমরা নতুন করে জানব। এস্ট্রোনমিকাল সায়েন্স উইল নেভার বি দা সেইম এগেইন।
সহজ কথায় বলতে গেলে আমরা এতদিন জানতাম না বিগব্যাঙ্গের সময় আসলে কি ঘটেছিল। গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েব হবে আমাদের জন্য মহাবিশ্ব কে বুঝে নেবার রেডিও সিগন্যাল। জেনে নেব মহাবিশ্ব সৃষ্টির সব কলাকৌশল।
.
পৃথিবী আছে এই ঘটনা নিয়া
আর আমরা আছি কিস ডে ,রোজ ডে ,হাগু দে চুম্মাচাটি ভ্যালেন্টাইন্স নিয়া। আমাগো ম্যাক্সিমামের ধারণা হইল ওয়েস্টার্র্ন ওয়ার্ল্ডের পোলাপাইন সারাদিন নেশা করে আর সেক্স করে। ওপেন সেক্স।
.
লজ্জা লাগলেও বলি গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ আবিস্কারের সাথে জড়িত আছে ইন্ডিয়ার শত শত বিজ্ঞানী। জি হা তোমরা যারা মনে কর ইন্ডিয়ার পাবলিক সারাদিন স্টার জলসা দেখে
.
আসলে ইন্ডিয়া বলেন আর আমেরিকা। আমরা অন্য দেশ থেকে খালি বলিউড ,কারিনা জুতা ,নাচ গান ,চুম্মা চাটি কিস ডে ভ্যালেন্টাইন্স এইসবই নিতে পারি
.
আমরা সালমানের বাইসেপের সাইজ জানি ,পাখি ড্রেসের কথা জানি আমরা জানিই না ইন্ডিয়ার পুনেতে মহাকাশ পর্যবেক্ষণের আস্ত একটা অব্জারভেটরী আছে। ভাল লাগবে কেন?
মহাশুন্যে তো আর সানি লিওন নাই
.
প্রযুক্তিতে আমরা মোটেও বেশী আগায় নাই। অন্যদেশের প্রোডাক্ট টাকা দিয়া কিনা ইউজ করলে সেটারে প্রযুক্তিতে আগান বলেনা। যেদিন নিজেদের গাড়ি নিজেদের স্যাটেলাইট নিজেরা বানামু সেদিন আগামু। তার আগে না। ও হা আমাগো দেশে আরেকদল আছে। সায়েন্সে বাজেট বেশী রাখলে বলে অপচয়। যেদিন আর গ্যাস পাবেনা পানি খুইড়াও বের করতে পারবে না যেদিন খাদ্যচাহিদা উতপাদনের তিন গুণ হবে সেদিন বুঝবে সায়েন্সের দরকার কি গবেষণার দরকার কি।
-
সময় হয়েছে আমাদের বদলাবার্। আজকে ইন্ডিয়াতে উতসব হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী ১২০০ কোটি রুপী বাজেট দিয়েছেন মহাকাশ গবেষণায় আজকেই। আর আমরা এখনো চুম্মা চাটি ভ্যালেন্টাইন্স নিয়া পইরা আছি। পৃথিবী মঙ্গলে চইলা গেল আর আমরা এখনো চুম্মাচাটিতেই পইরা আছি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন